সনাতন রুদ্র পাল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সনাতন রুদ্র পাল
জন্ম (1955-03-01) ১ মার্চ ১৯৫৫ (বয়স ৬৯)
পেশামৃৎশিল্পী
পিতা-মাতামোহনবাঁশি রুদ্র পাল(পিতা)
রাণীবালা রুদ্র পাল (মাতা)
পুরস্কার পদ্মশ্রী (২০২৪)

সনাতন রুদ্র পাল (জন্ম: ১ মার্চ, ১৯৫৫ ) হলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি মৃৎশিল্পী। কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ও মর্যাদাপূর্ণ দুর্গাপূজা মণ্ডপগুলির প্রতিমার অন্যতম ভাস্কর তথা মূর্তিকার তিনি। তার হাতের ছোঁয়ায় প্রতিমার মৃন্ময়ী রূপ হয়ে ওঠে অনন্য। ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ চতুর্থ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রীতে ভূষিত করে। [১]

জীবনী[সম্পাদনা]

সনাতন রুদ্র পাল উত্তর কলকাতার কুমারটুলি এলাকায় ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ এক মৃৎশিল্পী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোহনবাঁশি রুদ্র পাল ছিলেন একজন নামজাদা দুর্গা-স্রষ্টা। মাতা রাণীবালা রুদ্র পাল। তাদের আদি নিবাস ছিল পূর্ববঙ্গে অধুনা বাংলাদেশের বিক্রমপুরে। স্বাধীনতার পর সপরিবারে কলকাতায় চলে আসেন তারা। সনাতন রুদ্র পাল স্থানীয় শ্যামবাজার এ ভি স্কুলে পড়তেন। পড়াশোনা চলাকালীন দশ বৎসর বয়সেই স্কুল ফেরত প্রতিমা তৈরির নানা কাজে পিতার সঙ্গে হাত লাগাতেন। মূর্তি গড়ার হাতেখড়ি হওয়ার পর ধীরে ধীরে পটু করে তোলেন নিজেকে। [২]সে সময় তিনি তার পিতা ও জ্যেঠু রাখালচন্দ্র পালকেও (যিনি রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন) নানা ভাবে সহায়তা করেন। সমস্ত কাজ নিজে করেও স্বীকৃতি না পাওয়ায় সনাতন দক্ষিণ কলকাতার বোস পুকুরে শীতলা মন্দির পূজা কমিটির সাহায্যে দুই বিঘা জমির ইজারা নিয়ে নতুন কুমারটুলি স্থাপন করেন। দিনে কুড়ি ঘন্টারও বেশি পরিশ্রম করে ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ নিজের রুদ্র পাল ধারায় একডালিয়া এভারগ্রীণ, আহিরীটোলা, বাবু বাগান, বোস পুকুরের মতো আশিটি পূজা আয়োজকদের প্রতিমা গড়েন। ১৫০০ জন কারিগর নিয়ে কাজ করে পিতার থেকে ৪০ শতাংশ কম দামে বিক্রয় করায় তিনি এই সফলতা পান। [৩]

সাবেকি থেকে থিমের সবরকমের প্রতিমা গড়তে স্বাচ্ছন্দ্য সনাতনের। তার হাতের ছোঁয়ায় মায়ের মৃন্ময়ী রূপ হয়ে ওঠে অনন্য। থিমের জৌলুসে সবেকিয়ানাতেও তার নিপুণ শিল্পকর্ম প্রশংসনীয়। সাবেকিয়ানার প্রতিমায় তাকে জাদুকর বলা হয়।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]