বিষয়বস্তুতে চলুন

সড়ক নিরাপত্তা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সড়ক নিরাপত্তা বলতে সড়ক ব্যবহারকারীদেরকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে আহত বা নিহত হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য পদ্ধতি ও সমাধানসমূহের আলোচনাকে বোঝায়। সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে রয়েছে পথচারী, রিকশা ও ভ্যান চালক ও আরোহী, বিভিন্ন ধরনের (দুই, তিন, চার বা তারও বেশি চাকাবিশিষ্ট) মোটরযান চালক ও আরোহী, গণপরিবহন ব্যবস্থা যেমন বাস, ট্রাম, ইত্যাদির চালক ও আরোহীগণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযারে প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও বেশি লোক (সিংহভাগ ক্ষেত্রে সুস্থ সবল মানুষ) সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় এবং প্রায় কোটি লোক আহত হয়। সড়ক দুর্ঘটনাকে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের প্রাণহানির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।[][] উন্নত দেশগুলির তুলনায় উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশগুলিতে সড়ক নিরাপত্তা অনেক কম এবং সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের হার অনেক বেশি।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

[সম্পাদনা]

১৯৬৫ সালে মার্কিন তরুণ উকিল (পরবর্তীতে রাজনীতিবিদ) রালফ নেডার তার আনসেফ অ্যাট এনি স্পিড নামক গ্রন্থে মোটরগাড়ি নির্মাতাদের তীব্র সমালোচনা করেন এবং দেখান যে গাড়িনির্মাতা খরচের অজুহাত দেখিয়ে নিরাপত্তা পেটি তথা সিটবেল্টসহ অন্যান্য নিরাপত্তামূলক সেবাগুলি তাদের গাড়িতে স্থাপন করতে চায় না। নেডারের বইটির প্রথম বাক্যটি ছিল জ্বালাময়ী: “For over half a century the automobile has brought death, injury and the most inestimable sorrow and deprivation to millions of people” অর্থাৎ "বিগত অর্ধশতাব্দী ধরে মোটরযানগুলি বহু নিযুত মানুষের জন্য মৃত্যু, আঘাত আর অপরিমেয় দুঃখ ও বঞ্চনা বয়ে নিয়ে এসেছে।" বইটি প্রকাশের এক বছরের মধ্যে মার্কিন আইনসভার নিম্নকক্ষ কংগ্রেস একটি সড়ক নিরাপত্তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Statistical Annex, World report on road traffic injury prevention
  2. "World report on road traffic injury prevention"। World Health Organisation। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১০ 
  3. "UN raises child accidents alarm"BBC News। ১০ ডিসেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১০ 
  4. "50 Years Ago, 'Unsafe at Any Speed' Shook the Auto World"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৮