শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর
Shri Shri Athkhelia Namghar
শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘরের বাটচ'রা
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাগোলাঘাট জেলা
অবস্থান
অবস্থানঘিলাধারী মৌজা
দেশভারত
স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীগদাপানি
ওয়েবসাইট
athkhelianamghar.org

শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর (ইংরেজি: Shri Shri Athkhelia Namghar), আসাম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চল-এর উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থানসমূহের মধ্যে অন্যতম। এটি গোলাঘাট জেলা-এর ঘিলাধারী মৌজার বচা গ্রামে অবস্থিত। এটি গোলাঘাট জেলার ঘিলাধারী, মক্রং এবং কাকডোঙা – এই তিনটি নদীর কাছে থাকা সঙ্গমস্থলে অবস্থিত।[১] শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘরের নামকরণ নামঘরের চৌপাশে থাকা আটটা কুরির থেকেই হয়েছে। এর থেকেই আঠকুরিয়া শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। মানুষের মুখে মুখে বাগরি এটি আঠখেলীয়ার রূপ নেয়। ১৬৮১ সালে আহোম রাজা গদাপানি এই নামঘরটি নির্মাণ করিয়েছিলেন।[২] ১৯৭০ সালের আগ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানগৃহের নাম শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া হরি মন্দির ছিল। ১৯৭০ সালে বৈষ্ণব ধর্মের পন্থা অনুসারে ‘হরি মন্দির’ের পরিবর্তে ’নামঘর’ শব্দটি সংযোগ করে শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর নামে নামকরণ করেন। ভাদ্র মাসে (আগস্ট-সেপ্টেম্বর) নামঘরে লক্ষাধিক সেবকীর সমাগম হয়। এখানে দৈনিক প্রাতঃপ্রসঙ্গ, মধ্যাহ্ন প্রসঙ্গ, বিয়লি প্রসঙ্গ এবং সন্ধ্যা প্রসঙ্গ এই চারিপ্রসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়। শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘরে উৎযাপন করা উল্লেখযোগ্য সূত্রসমূহ হচ্ছে বরসবাহ, পানীতোলা সবাহ, নামলোয়া সবাহ এবং ন-চাউলের সবাহ, রাস মহোৎসব, বরষা ভাওনা ইত্যাদি।

নামকরণ[সম্পাদনা]

শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘরের নামকরণ নামঘরের চৌপাশে থাকা আটটা কুরির থেকেই হয়েছে। বিশ শব্দের অর্থ হচ্ছে চুবুরি বা কোনো স্থানের একখণ্ড। এই আটটা কুরির নাগরিকরা একসাথে সমাজ করে ধর্মীয় কর্ম পালন করে খাওয়া নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্যই আঠখেলীয়া নামে পরিগণিত হয়েছে।[১][৩] আসাম ইতিহাস মতে আহোম স্বর্গদেউরা প্রণালীবদ্ধভাবে কৃষক লোকদের বাদ দিয়ে প্রসারণমুখী কৃষি করার জন্য পাইক প্রথার ব্যবস্থা করেছিলেন। পাইকের উপর থাকা বড়ো বড়ো গোষ্ঠীর কেন্দ্রগুলিকে খেল বলা হত। রাজপরিবারের তেমন একজন বাব খোয়া লোক এক-একটা বিশ বা চুবুরীতে বসবাস করে বিয়ে করে সেই সমাজের লোকের মধ্যে মিলে গিয়েছিল। সেই রাজপরিবারের বাব খোয়া লোকের সেই বিষয় বাব অনুসারেই এক একটা খেলারও নামকরণ করা হয়েছিল।[৪]

১৯৭০ সালের আগ পর্যন্ত শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া হরিমন্দির বলেই পরিচিত ছিল। বর্তমান প্রবেশদ্বারের জপনাতেও পূর্বে শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া হরি মন্দির বলেই খোদিত আছে। ১৯৭০ সালের পর থেকে শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর বলে নামকরণ করা হয়।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘরের বিষয়ে"Merrylook Technologies Private Limited। শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর। সংগ্রহের তারিখ November 03, 2012  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘরের ইতিহাস"Merrylook Technologies Private Limited। শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর। সংগ্রহের তারিখ November 03, 2012  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "ইতিহাস প্রসিদ্ধ শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর"। ইতিহাস প্রসিদ্ধ শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর। সম্পাদক, সম্পাদনা সমিতি, শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর: ৩০র থেকে ৪১ পৃ্ষ্ঠা। ষষ্ঠ প্রকাশ, ২০১৩ সাল।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. শ্রী যোগেন শইকীয়া (ষষ্ঠ প্রকাশ, ২০১৩ সাল)। "উপক্রমনিকা"। ইতিহাস প্রসিদ্ধ শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর। সম্পাদক, সম্পাদনা সমিতি, শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর: ২২, ২৩ এবং ২৪ পৃ্ষ্ঠা।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  5. শ্রী যোগেন শইকীয়া (ষষ্ঠ প্রকাশ, ২০১৩ সাল)। "শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘরর ইতিবৃত্তর মূল তথ্যেরে ঐতিহাসিক ভেটির এক অনুসন্ধানমূলক পর্যালোচনা"। ইতিহাস প্রসিদ্ধ শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর। সম্পাদক, সম্পাদনা সমিতি, শ্রী শ্রী আঠখেলীয়া নামঘর: ১১৩রথেকে ১৩১ পৃ্ষ্ঠা পর্যন্ত।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)