শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
"শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে"
শ্রাবণের মেঘ অ্যালবাম থেকে
ডিফারেন্ট টাচ কর্তৃক একক
ভাষাবাংলা
বিন্যাসঅডিও ক্যাসেট
রেকর্ডকৃত১৯৮৭
স্থানমালিবাগ, ঢাকা
ধারাআধুনিক
লেবেলইলেক্ট্রো ভয়েস
গান লেখকআশরাফ বাবু
গীতিকারআশরাফ বাবু

শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে বাংলাদেশের সঙ্গীতদল ডিফারেন্ট টাচের একটি একক আধুনিক গান। ১৯৮৭ সালের বর্ষা মৌসুমে লিখিত ও সুরারোপিত গানটি পরবর্তীতে ইলেক্ট্রো ভয়েস থেকে ডিফারেন্ট টাচের একটি অ্যালবামে শ্রাবণের মেঘ শিরোনামে সঙ্গীত তালিকার সর্বশেষ গান হিসেবে যুক্ত ও একইসাথে মুক্তি পায়।[১][২] আশরাফ বাবুর কথা ও সুরে প্রণীত গানটির প্রথম গায়ক ছিলেন আলী আহমেদ বাবু।[১] এটি ডিফারেন্ট টাচের অন্যতম জনপ্রিয় গান।[৩] শ্রাবণের বারিধারা নিয়ে রচিত গানটির পরিবেশনার সময় দুইবার অঝোর বৃষ্টি হওয়ার নজির রয়েছে।[১]

নির্মাণ[সম্পাদনা]

১৯৮৭ সালে পূর্নাঙ্গ সঙ্গীত অ্যালবামে ১২টি গানের সমন্বয় করা হতো। ডিফারেন্ট টাচের অ্যালবাম প্রকাশের জন্য ১১টি গান সঙ্গীত ধারণের জন্য প্রস্তুত ছিল। অ্যালবাম পূর্ণ করতে আরো একটি গানের দরকার ছিল। আশরাফ বাবু দলটির গীতিকবিতা রচনা ও সুরারোপের দায়িত্বে ছিলেন। গান সুর ও সঙ্গীত ধারণের জন্য দলের সদস্যরা রাতে খুলনা থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এসময় বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে শ্রাবণ মাস ছিল।[১][৩] টানা চারদিন অবিরাম বৃষ্টি পরছিল। যাত্রাপথে শ্রাবণের বৃষ্টিধারা দেখে আশরাফ বাবু গানটি রচনা ও সুরারোপ করেছিলেন।[১] পরদিন সকালে ঢাকার মালিবাগে অ্যালবামের অন্যান্য গানের সাথে আলি আহমেদ বাবুর কন্ঠে এটির সঙ্গীত ধারণ করা হয়।[২] এটির সঙ্গীতায়োজনে উইনিং-এর শেলি ও চন্দন জড়িত ছিলেন।[২]

প্রকাশ ও প্রচার[সম্পাদনা]

ইলেক্ট্রো ভয়েসের প্রযোজনায় গানটি ডিফারেন্ট টাচের একটি এ্যালবামে প্রকাশিত হয়।[১][২] প্রকাশের পর গানটি ইলেক্ট্রো ভয়েস হতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল।[২]

জনপ্রিয়তা ও কিংবদন্তী[সম্পাদনা]

সহজ-প্রাঞ্জল কথার জন্য গানটি বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় বিবেচিত। এটি ঘরোয়া কিংবা আনুষ্ঠানিক সঙ্গীত আসরে নিয়মিত পরিবেশিত হয় এবং বৃষ্টির দিনে শোনার উপযোগী গান হিসেবে শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নেয়।[১] শ্রাবণের অঝোর বৃষ্টি নিয়ে রচিত গানটি ১৯৯১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এক কনসার্টে গান শুরুর কয়েক মুহূর্ত পর বৃষ্টি নামে। ১৯৯২ সালে একই স্থানে আবারো গানটি পরিবেশনার সময় পুনরায় বৃষ্টি নামে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "'শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে' গানটির সৃষ্টি যেভাবে"প্রথম আলো। ২০২৩-০৮-০২। ২০২৩-০৮-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০২ 
  2. বিশ্বাস, বোরহান (২০২০-০৮-০৪)। "এই শ্রাবণে সেই 'ডিফরেন্ট টাচ'"ভোরের কাগজ। ২০২১-০৩-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০২ 
  3. "শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে' গানটি গাওয়ার সময় ঝুম বৃষ্টি হয়েছিলো"আমাদের সময়। ২০২৩-০৮-০২। ২০২৩-০৮-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০২