বিষয়বস্তুতে চলুন

শিব নিবাস প্যালেস

স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৪′২৮″ উত্তর ৭৩°৪০′৫৪″ পূর্ব / ২৪.৫৭৪৩২৮৮° উত্তর ৭৩.৬৮১৬৮৫৮° পূর্ব / 24.5743288; 73.6816858
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শিব নিবাস প্যালেস (বাংলা: শিব নিবাস প্রাসাদ) রাজস্থানের উদয়পুরের মহারানার পূর্বের বাসভবন, যা পিকোলা হ্রদের তীরে অবস্থিত।[][]

শিব নিবাস।

অতিথি ঘর

[সম্পাদনা]

সিটি প্যালেস কমপ্লেক্সের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত, এই ভবনটির কাজ মহারানা সজ্জন শম্ভু সিং (১৮৭৪ থেকে ১৮৮৪) শুরু করেন এবং তার উত্তরাধিকারী মহারানা ফতেহ সিং বিংশ শতাব্দীর শুরুতে একটি রাজকীয় গেস্টহাউস হিসেবে এর কাজ সমাপ্ত করেন।

অতিথি ঘর হিসাবে বিভিন্ন সময়ে ভবনটি বিশ্বের বিভিন্ন স্থান হতে আসা অতিথি এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের অবস্থানের স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন ১৯০৫ সালে যুক্তরাজ্যের পঞ্চম জর্জ এবং এডওয়ার্ড দ্যা প্রিন্স অব ওয়েলস প্রমুখ ব্যক্তিত্ব এখানে অবস্থান করেছেন।

১৯৫৫ সালে যে সময় ভাগওয়াত সিং মেওয়ার এর সিংহাসনে উপবেশন করেন, সে সময়টাতে রাজপরিবারের জন্য তাদের সবগুলো রাজকীয় বাসস্থানের খরচ বহন করা ক্রমে ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছিলো, বিশেষ করে সিটি প্যালেস। লেক প্যালেসকে একটি আয়বর্ধক হোটেলে রূপান্তরিত করার সফলতাকে অনুসরণ করে তিনি শিব নিবাস এবং ফতেহ প্রকাশ প্যালেসকেও ঐতিহ্যবাহী লাক্সারী হোটেলে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন। দীর্ঘ ৪ বছর রূপান্তর প্রক্রিয়া চালানোর পর ১৯৮২ সালে শিব নিবাসকে একটি হোটেল হিসাবে উন্মুক্ত করা হয়।

হোটেল

[সম্পাদনা]

রাজবাড়ীরটির ৩ তলা একটি অভ্যন্তরীণ কোর্টইয়ার্ডের মাঝখানে একটি মার্বেল পুল সহকারে একটি অর্ধবৃত্তাকার আকৃতিতে সাজানো হয়েছে। বেলকনি এবং ছাদের উপরের চত্বরগুলো যা বিভিন্ন কক্ষে নিয়ে যায়, সেখান থেকে পিকোলা হ্রদের বাঁধ প্রাচীরের নিচে অবস্থিত বাগানের দক্ষিণ অংশের সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়; অপরদিকে পশ্চিমে উপভোগ করা যায়, জাগ মন্দির এবং প্যালেস হ্রদের দৃশ্য। ভবনটি প্রাচীন রাজপুত স্থাপত্য শৈলীর একটি অনন্য নিদর্শন। প্রাসাদটির অভ্যন্তরভাগে গজদন্ত এবং মুক্তা দিয়ে বাঁধানো কারুকাজ শিল্প বিদ্যমান, এছড়াও গ্লাস মোজাইক এবং ফ্রেস্কো পেইন্টিং দ্বারা প্রাসাদের শোভা বর্ধণ করা হয়েছে। এই কারুকাজগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই খাজা ওস্তাদ এবং কুন্দল লাল এর দ্বারা করা, যাদেরকে মহারানা গ্লাস মোজাইক শিল্প এবং ফ্রেস্কো পেইন্টিং সম্পর্কে শিক্ষা লাভের জন্য ইংল্যান্ড পাঠিয়েছিলেন।[]

প্রাসাদটি যখন প্রথম নির্মিত হয়, তখন প্রাসাদটিতে নয়টি স্যুইট ছিল, যার সবগুলো ছিলো নিচতলায়। প্রাসাদটিকে হোটেলে রূপান্তর করার সময় এতে দ্বিতীয় তলায় আরও আটটি নতুন এপার্টমেন্ট যুক্ত করা হয়, যার ফলে বর্তমানে হোটেলটিতে ৩৬ টি গেস্টরুম বিদ্যমান।

  • ১৯টি শৌখিন কক্ষ
  • ৮টি টেরেস স্যুইট
  • ৬টি রয়াল স্যুইট
  • ৩টি ইমপেরিয়াল স্যুইট

প্রাসাদটি হোটেলে রূপান্তরিত হওয়ার পর এখানে বিভিন্ন সময়ে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, নেপালের রাজা, ইরানের শাহ, এবং জ্যাকুলিন কেনেডির মত বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন।

হোটেলটি এইচআরএইচ (HRH) গ্রুপ অব হোটেলস দ্বারা পরিচালিত হয়, যার মালিক হচ্ছেন বর্তমান মহারানা।

প্রাসাদটি জেমস বন্ড চলচ্চিত্র অক্টোপাসির দৃশ্যে প্রদর্শিত হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "History of Shiv Niwas Palace,Udaipur" (ইংরেজি ভাষায়)। udaipuronline.in। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬ 
  2. "Udaipur Hotels" (ইংরেজি ভাষায়)। cleartrip.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬ 
  3. "Shiv Niwas Palace Udaipur" (ইংরেজি ভাষায়)। hrhhotels.com। ২১ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬