শিবা ম্যাগন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিবা ম্যাগন
২০১৪ সালে শিবা ম্যাগন
জন্ম (1980-03-16) ১৬ই মার্চ ১৯৮০ (age 42)

জাতীয়তা India ভারতীয়
শিক্ষা সেক্টর ১৮ স্কুল, চণ্ডীগড়
প্রাক্তন শিক্ষায়তন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড় (১৯৯৬)

সাউথওয়েস্টার্ন ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি - অ্যাথলেটিক ট্রেনিং - ওয়েদারফোর্ড, ওকলাহোমা (২০০০)

মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী বিশ্ববিদ্যালয়, আজমের

Iআন্তর্জাতিক অলিম্পিক একাডেমি, তরুণ ক্রীড়াবিদ সেশন (২০০৮)

ডিপ্লোমা ইন আমেরিকান স্পোর্টস এডুকেশন, জর্জ মেসন ইউনিভার্সিটি, ফেয়ারফ্যাক্স, ভার্জিনিয়া (২০১০) আন্তর্জাতিক কোচিং সমৃদ্ধি সার্টিফিকেট প্রোগ্রামে সাম্মানিক
পেশা এফআইবিএ প্রশিক্ষক সিনিয়র মহিলা কমনওয়েলথ গেমস ২০১৮, ফআইবিএ ​​এশিয়া কাপ ২০১৭, উইলিয়াম জোন্স কাপ ২০১৭, প্রধান প্রশিক্ষক জুনিয়র মহিলা ২০১৬, প্রশিক্ষক জুনিয়র মহিলা ২০১২ এবং ২০১০, প্রশিক্ষক জাতীয় যুব মহিলা দল ২০১১

এফআইবিএ রেফারি,

প্রধান সমন্বয়কারী এনবিএ (দিল্লি)
জানা যায় বাস্কেটবলের রানি নামে পরিচিত
ওয়েবসাইট www.shibamaggon.in ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ আগস্ট ২০১৯ তারিখে পাওয়ারড বাই www.ujudebug.com

শিবা ম্যাগন ( হিন্দি :'शीबा मग्गोन') (জন্ম ১৬ই মার্চ ১৯৭৬) হলেন একজন ভারতীয় বাস্কেটবল খেলোয়াড় যিনি ভারতের জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন।[১][২] তিনি বর্তমানে ভারতীয় সিনিয়র মহিলা দলের প্রশিক্ষক,[৩][৪] পাশাপাশি একজন আন্তর্জাতিক রেফারি।[৫] রেফারি হিসেবে যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম নারীদের একজন ছিলেন তিনি।[৬]

প্রাথমিজ জীবন[সম্পাদনা]

শিবা ১৯৮৯ সাল থেকে বাস্কেটবল খেলা শুরু করেন।[৭] তিনি স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (সাই) হয়ে খেলেছেন। ১৯৯২ সালে, তিনি ভারতীয় জুনিয়র দলের জন্য নির্বাচিত হন। শিবা প্রাথমিকভাবে কার্নালে পড়াশোনা করেছেন এবং পরে চণ্ডীগড়ে সাই-তে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। তিনি পরে ১৯৯৬ সালে, আজমেরে পশ্চিম রেলওয়েতে যোগদান করেন এবং ২০০২ সাল পর্যন্ত তাদের সাথে ছিলেন। ২০০২ সালে শিবা এমটিএনএল দিল্লিতে যোগদান করেন[৮] এবং ২০১১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের সাথে খেলেন। তিনি ভারতীয় কলেজিয়েট অ্যাথলেটিক প্রোগ্রামের জন্য বাস্কেটবলের পরামর্শদাতা হতে সম্মত হয়েছেন। তিনি কুহ স্পোর্টসের প্রযুক্তিগত পরিচালক এবং ভারতব্যাপী (প্যান ইন্ডিয়া) প্রোগ্রাম পোশাক এর ডিরেক্টর।

জাতীয় অর্জন[সম্পাদনা]

যুবা বয়সে ম্যাগন বাস্কেটবলে যথেষ্ট কৃতিত্ব দেখিয়েছেন, সে তালিকায় রয়েছে তিনি নিজের কর্মজীবনে যা পদক জিতেছেন; সেগুলি হল:

  • ১৯৯১ সালে যুব বিভাগে একটি স্বর্ণপদক
  • ১৯৯৩ সালে একটি স্বর্ণপদক এবং ১৯৯৪ সালে যুব জাতীয় দলে একটি রৌপ্য পদক এবং ১৯৯১ সালে ব্রোঞ্জ।

শিবা ম্যাগন ১৯৮৯ থেকে শুরু করে ২০১০ সাল পর্যন্ত মোট ২০টি সিনিয়র ন্যাশনাল খেলেছেন।[৮][৯] সিনিয়র বিভাগে তাঁর কিছু অর্জন নীচে তালিকাভুক্ত করা হল:

  • ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ভারতীয় রেলওয়ের হয়ে সিনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে ছয়টি স্বর্ণপদক
  • ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দিল্লির হয়ে খেলছেন সিনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে একটি স্বর্ণপদক এবং আটটি রৌপ্য পদক।
  • ছয়টি ফেডারেশন কাপে তিনটি স্বর্ণ ও তিনটি ব্রোঞ্জ পদক।
  • সর্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে দুটি স্বর্ণপদক এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক।
  • শিবা বেশ কয়েকবার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পেয়েছিলেন এবং পিএনসি অল ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে হ্যাটট্রিক করে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন।
  • তিনি গত ২০ বছর ধরে একজন ধারাবাহিক খেলোয়াড় ছিলেন এবং ধারাবাহিকভাবে বাস্কেট করে গেছেন, গত চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য গড়ে ২০ পয়েন্ট স্কোর করেছিলেন।
  • তিনি ৩টি জাতীয় গেমসেও খেলেছেন। তিনি পুনেতে ১৯৯৪ জাতীয় গেমসে একটি ব্রোঞ্জ পদক এবং ২০০৭ সালের গুয়াহাটিতে জাতীয় গেমসে আরেকটি ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার এবং অর্জন[সম্পাদনা]

ম্যাগন মহিলাদের জন্য পাঁচটি এফআইবিএ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছেন এবং ২০০২ সালে এশিয়ান খেলোয়াড়দের জন্য শীর্ষ ৫য়ে স্থান পেয়েছেন। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি ভারতীয় দলেরও অংশ ছিলেন। তিনি ১৯৯৮ সালে সাউথওয়েস্টার্ন ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে একটি বৃত্তি পেয়েছিলেন। তিনি শারীরিক শিক্ষায় মেজর করেছেন। ম্যাগন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক একাডেমিতে অলিম্পিজম এবং মানবতাবাদে ওপর ডিপ্লোমা করার জন্য আবেদন করেন এবং ঐতিহাসিক শহর এথেন্সে সফলভাবে ডিপ্লোমা শেষ করেন। ম্যাগনকে সমগ্র বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল এবং সেই অধিবেশনে অংশ নেওয়া ৯৮টি দেশের প্রতিনিধি হয়ে তিনি ধন্যবাদ সূচক ভাষণ (ভোট অফ থ্যাঙ্কস) প্রদান করে ছিলেন।

মহারাষ্ট্রীয় স্নেহাল বেন্ডালের সঙ্গে ম্যাগনকে আন্তর্জাতিক এফআইবিএ প্রত্যয়িত রেফারি হওয়া প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তিনি একজন আন্তর্জাতিক কোচ, খণ্ডকালীন ভয়েস ওভার ধারাভাষ্যকার এবং অতীতে ভারতে এনবিএর সাথে কাজ করেছেন।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Interview of Shiba Maggon: India's Basketball All Rounder"। ২০১১-০৩-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৭ 
  2. "National pride keeps these women cagers on the hoop"The Indian Express। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১০ 
  3. "Shiba Maggon all praise for Indian team"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। Special Correspondent, Special Correspondent। ২০১২-১০-০৯। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৭ 
  4. "Interview with Shiba Maggon, Basketball Coach of Indian Junior team - Aapka Times"Aapka Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-১১-০৭। ২০১৮-০৪-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৭ 
  5. "Everything happens to make us better- Shiba Maggon - SportsCrunch"SportsCrunch (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৭ 
  6. "Not just another whistleblower, Snehal Bendke"Daily News and Analysis। ১৯ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১০ 
  7. "Interview with Shiba Maggon, Basketball captain/ referee/ coach"। ২০১০-১২-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৭ 
  8. Vagree, Danveer (২০২১-০৪-১০)। "11 Famous Indian Female Basketball Players"DESIblitz (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১১ 
  9. sidbreakball। "Interview with Shiba Maggon, Basketball captain/ referee/ coach"www.sportskeeda.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১১ 
  10. "Hoops of hope"fountainink.in 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]