শাথা হাসুন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাথা হাসুন
شذى حسون
প্রাথমিক তথ্য
জন্ম (1981-03-03) ৩ মার্চ ১৯৮১ (বয়স ৪৩)[১]
কাসাব্লাংকা, মরক্কো
উদ্ভবইরাক, মরক্কো
ধরনইরাকি সঙ্গীত, আরবি, বিশ্ব
পেশাগায়িকা, গীতিকার, নৃত্যশিল্পী, সঙ্গিতজ্ঞ, অভিনেত্রী, লেখিকা
কার্যকাল২০০৭ – বর্তমান
ওয়েবসাইটwww.shathahassoun.me

শাথা আমজাদ হাসুন (আরবি: شذى أمجد الحسون) (জন্ম: ৩ মার্চ ১৯৮১, কাসাব্লাংকা, মরক্কো), অধিক পরিচিত শাথা হাসুন নামে (আরবি: شذى حسون), হচ্ছেন ইরাকের একজন গায়িকা। তিনি ইরাকমরক্কো উভয় দেশের পূর্বসূরি। তিনি প্যান-আরব টেলিভিশনের প্রতিভা প্রদর্শনকারী অনুষ্ঠান স্টার একাডেমী আরব ওয়ার্ল্ড এর চতুর্থ আসরের বিজয়ী হওয়ার পর অধিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি উক্ত প্রতিযোগিতায় জয়ী প্রথম মহিলা ছিলেন।[২] তিনি বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য এবং মাগরেব অঞ্চলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়িকা, এবং সেখানে তিনি "মেসোপটেমিয়া কন্যা" হিসাবে অধিক পরিচিত।[৩]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

হাসুন এর বাবা হচ্ছেন একজন ইরাকি ব্যক্তি, যিনি আল-হিলা এর একজন সুপরিচিত রিপোর্টার, এবং তার মা হচ্ছেন মরক্কোর অধিবাসী, যিনি সাফির একটি বিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। বড় হওয়ার সময়, হাসুন তার শৈশবের অধিকাংশ সময় তিনি মরোক্কো এবং ফ্রান্সে কাটিয়েছেন।[৪] তিনি কাসাব্লাংকাতে ইংরেজি সাহিত্য এ অধ্যয়ন করেন এবং ট্যানজিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশোনা চালিয়ে যান, যেখানে তিনি হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এর প্রোগ্রামে অংশ নেন। তারপর তিনি ফ্রান্সে তার গবেষণা অব্যাহত রাখেন, যেখানে তিনি তার মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করেন।

হাসুন অনেক ভাষায় গান করার ক্ষমতা রাখেন। তাদের মধ্যে আরবি, ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, ইতালীয় ভাষা এবং জার্মান ভাষা অন্যতম।[৫][৬][৭][৮]

তার পরিবার, যেখানে তার বাবা এবং তার একমাত্র ভাই রয়েছে, একসাথে মরক্কোতে থাকেন এবং তিনি বর্তমানে দুবাইতে রয়েছেন।

ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে হাসুন স্টার একাডেমী প্রতিযোগিতার চতুর্থ আসর জেতেন, এবং তিনি প্রথম মহিলা হিসেবে এই কীর্তি অর্জন করেন। লেবানন এর গায়ক ফোরাউজ গান "বাগদাদ" এর মাধ্যমে তিনি ৫৪.৮% ভোট অর্জন করেছিলেন,[৩] যেটি তাকে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। চারজন চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে হাসুন ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।[৯]

প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর, হাসুন তার প্রথম একক "রওহ" প্রকাশ করেন, যা লেবানন এর গীতিকার নিকোলা সাডা নিখলা কর্তৃক লিখিত এবং পরিচালিত ছিল। এটি রোটানার "পেপসি শীর্ষ ২০" চার্টে এক নম্বর স্থানে অভিষেক কর, কয়েক সপ্তাহ পর গানটি তালিকার নিচে চলে আসে। অতঃপর এটি দুই সপ্তাহের জন্য উক্ত স্থানে থাকার পর পুনরায় গানটি এক নম্বর এ উঠে। দ্বিতীয় গান, "অাসমাল্লা অাসমাল্লা" বা "ইবিন ব্লাদি" যেটি ইরাকি কবি, করিম আল ইরাকি কর্তৃক লিখিত, গানটি তিনি ইরাকি জনগণ এবং ইরাক জাতীয় ফুটবল দল এর জন্য উৎসর্গ করে গেয়েছেন, যারা ২০০৭ সালে এশিয়া কাপ জয়লাভ করেছে। "ওশাক" ছিল লেবাননের গায়ক মারওয়ান খৌরী দ্বারা লিখিত এবং রচিত। হাসুন বেশ কিছু ঐতিহ্যগত ইরাকি গান পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন; "এল্লেলা এলোওয়া" এবং "আলেক আস'আল" ইয়েলহাম আল-মাদফাইয় সাথে মিলে যুগ্ম শিল্পী হিসেবে গানগুলো গেয়েছেন। তিনি একটি ইরাকি গান, "মজা'এলনি" প্রকাশ করেন, যেটি অমর আলমেরহন এর দ্বারা লেখা ছিল এবং মোহাম্মাদ মেজেস দ্বারা রচনা করা হয়েছিল এবং "লো আলফ মারা" যেটি অ-লেবাননী শিল্পীদের জন্য মাহমুদ বারাকাত তার প্রথম গান হিসেবে নির্মিত করেছেন। এছাড়াও হাসুন ইরাকি লেখক করিম আল ইরামি এর সাথে কাজ করেছেন, যিনি তার সাথে মিলে বেশ কয়েকটি ইরাকি গান প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও হাসুন সালাহ আল-শারনবি, রামি আয়াচ, আসি ল হেলানি, আবাদি আলজাওয়াহের এবং জর্জ ওয়াসুফ এর মতো শিল্পীদের সাথে কাজ করেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩০ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "WALEG: Shatha First Live Interview"। ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. http://6doi.net/videos/shada-hassoun-an-inspiration-for-iraq.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জুন ২০০৯ তারিখে Shada Hassoun: An Inspiration For Iraq
  4. http://www.al-shorfa.com/cocoon/meii/xhtml/en_GB/features/meii/features/2009/08/14/feature-02 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে Shatha Hassoun performs in Baghdad
  5. "Idol TV show contestant unites war-weary Iraqis"। CNN News। ২০০৭-০৩-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-২৯ 
  6. "Iraq unites over talent show star"। BBC News। ২০০৭-০৩-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-৩১ 
  7. "Shada Hassoun is an Iraqi Idol"। Desicritics.org। ২০০৭-০৪-০৫। ২০০৭-০৪-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-০৫ 
  8. "Singing the same tune on Iraq"। The Christian Science Monitor। ২০০৭-০৪-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-১৩ 
  9. Singer transcends sectarian tensions in her father’s native country

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]