শশীবালা দেবী
শশীবালা দেবী | |
---|---|
জন্ম | ১৮৮৬ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
কর্মজীবন | ১৯৩০ সালে কংগ্রেস-আন্দোলন ১৯৩২ সাল আইন অমান্য আন্দোলন উত্তরবঙ্গের নারী-আন্দোলন |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
দাম্পত্য সঙ্গী | লোকনাথ মৈত্র |
পিতা-মাতা |
|
শশীবালা দেবী ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা।
জন্ম ও পরিবার
[সম্পাদনা]শশীবালা দেবী ১৮৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম চন্দ্রনাথ বাগচী। পিতার আদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনীতিতে ও সমাজসেবায় যোগ দেন। বার বছর বয়সে লোকনাথ মৈত্রের সাথে তার বিবাহ হয়।[১]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]শশীবালা দেবীর পরিবার রাজনৈতিক পরিবার। ১৯৩০ সালে কংগ্রেস-আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এর জন্য তিনি গ্রেপ্তার হন। গান্ধী-আরউইন চুক্তির ফলে তিনি কারাদণ্ডের সময় উত্তীর্ণ হবার পূর্বেই মুক্তি লাভ করেন এবং করাচী-কংগ্রেসে যোগদান করেন। পুনরায় তিনি ১৯৩২ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মোট চারবার কারারুদ্ধ হন। তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হন। নেলী সেনগুপ্তার নেতৃত্বে কলিকাতায় যখন বে-আইনী কংগ্রেসের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, সেসময়ে নেলী সেনগুপ্তার গ্রেপ্তারের পরে শশীবালা দেবীর সভানেতৃত্বে কংগ্রেসের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই স্মৃতিই সম্ভবত তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সর্বাপেক্ষা মূল্যবান।
তিনি উত্তরবঙ্গের নারী-আন্দোলনে প্রাণকেন্দ্র ছিলেন। তাঁর কর্মক্ষেত্র কেবলমাত্র রাজসাহী বিভাগের আটটি জেলায় সীমাবদ্ধ ছিল না; ফরিদপুর, কুচবিহার, মেদিনীপুর, খুলনা প্রভৃতি স্থানেও তিনি সফর করেছেন। সবার কাছে তিনি কংগ্রেসী বুড়ামা নামে পরিচিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ১১৩-১১৪। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।