শরীফা বিজলিওয়ালা
শরীফা বিজলিওয়ালা | |
---|---|
জন্ম | শরীফা কাসামভাই বিজলিওয়ালা ৪ আগস্ট ১৯৬২ অমরগড়, ভাবনগর, গুজরাট, ভারত |
পেশা | সম্পাদক, সমালোচক, অনুবাদক এবং চরিত্রের স্কেচ লেখক |
ভাষা | গুজরাটি |
শিক্ষা | |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার |
|
সক্রিয় বছর | ১৯৯১ – বর্তমান |
উচ্চশিক্ষায়তনিক পটভূমি | |
অভিসন্দর্ভ | পয়েন্ট অফ ভিউ ইন শর্ট স্টোরিজ : এ ক্রিটিক্যাল স্টাডিজ উইথ পার্টিকুলার রেফারেন্স টু সাম গুজরাটি শর্ট স্টোরিজ (১৯৯৪) |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | শিরীষ পাঞ্চাল |
শরীফা বিজলিওয়ালা (জন্ম ৪ আগস্ট ১৯৬২) হলেন একজন ভারতীয় গুজরাটি ভাষার লেখক, সমালোচক, অনুবাদক এবং সম্পাদক। তিনি ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাট অঞ্চলের মানুষ। তিনি গুজরাটি ভাষায় সমালোচনামূলক প্রবন্ধের সংকলন, বিভাজন নি ব্যথা-র জন্য ২০১৮ সালের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারের একজন প্রাপক এবং সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি গুজরাত সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার জিতেছেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]শরীফা বিজলিওয়ালা ১৯৬২ সালের ৪ আগস্ট ভারতের গুজরাটের ভাবনগর জেলার শিহোরের একটি গ্রাম অমরগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ও মায়ের নাম যথাক্রমে কাসামভাই এবং হাজারাবেন। তিনি অমরগড়ে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন,[১] এবং যথাক্রমে ১৯৭৮ ও ১৯৮১ সালে তাঁর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৫ সালে, তিনি বরোদার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদ থেকে ফার্মাসিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[২] তিনি পাঁচ বছর ধরে ফার্মাসিস্ট হিসাবে কাজ করেছিলেন। সাহিত্যে তাঁর আগ্রহের কারণে, ১৯৮৬ সালে তিনি গুজরাটি সাহিত্য অধ্যয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গুজরাটি বিভাগে যোগদান করেছিলেন।[২] ১৯৯০ সালে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং কান্তাওয়ালা স্বর্ণপদক সহ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। সাহিত্য অধ্যয়নের সময়, তিনি জাতীয় যোগ্যতা পরীক্ষা (ইউজিসি নেট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং একটি জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ অর্জন করেন। ১৯৯৪ সালে, শিরীষ পাঞ্চালের নির্দেশনায়, তিনি আখ্যানবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করেন। বিজলিওয়ালা তাঁর গবেষণামূলক লেখাপয়েন্ট অফ ভিউ ইন শর্ট স্টোরিজ: এ ক্রিটিকাল স্টাডি উইথ পার্টিকুলার রেফারেন্স টু সাম গুজরাটি শর্ট স্টোরিজ-এর জন্য পিএইচডি পেয়েছিলেন।[১][৩] তিনি ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সুরাটের এমটিবি আর্টস কলেজে[২] গুজরাটি সাহিত্য পড়ান। ২০১৩ সাল থেকে, বিজলিওয়ালা সুরাটের বীর নর্মদ দক্ষিণ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে গুজরাটি বিভাগের অধ্যাপক এবং প্রধান।[৪]
কাজ
[সম্পাদনা]বিজলিওয়ালা একজন অনুবাদক, সমালোচক এবং সম্পাদক।[৫] তিনি তাঁর প্রথম প্রবন্ধ "মারা বাপু" লিখেছিলেন, সেটি ১৯৮৮ সালে জোসেফ ম্যাকওয়ান দ্বারা সংকলিত পিতৃতর্পণে প্রকাশিত হয়েছিল।[১] তাঁর সমালোচনার প্রথম কাজ ছিল টুঙ্কি বর্তমা কথনকেন্দ্র, এটি তাঁর ডক্টরেট গবেষণার বিষয়ও ছিল। ভারতসন্দর্ভ, সম্প্রত্যয়, নভল বিশ্ব এবং বিভাজন নি ব্যথা হল তাঁর অন্যান্য সমালোচনার সংগ্রহ।[৬]
তিনি বেশ কিছু সাহিত্যকর্ম অনুবাদ করেছেন। তিনি ১৯৯৪ সালে পাশ্চাত্য সাহিত্যের সেরা ছোটগল্প অনুবাদ করে সাহিত্যের অনুবাদ শুরু করেন। অনন্যা (১৫টি বিদেশী গল্প), অনুসাং (১০টি বিদেশী গল্প), ত্রাণ কথা (স্টেফান জুইগের গল্প), বচন (কন্নড় বচন, সহ-অনুবাদক), গান্ধী নি কেড়ি (সরলা বেনের আত্মজীবনীর সংক্ষিপ্ত অনুবাদ) হলো তাঁর অনুবাদকর্ম। তিনি ভারত বিভাগের উপর ভিত্তি করে সাহিত্যের অনুবাদক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিভাজন-ভিত্তিক সাহিত্যে তাঁর অনুবাদের মধ্যে রয়েছে মান্টো নি বার্তাও (সাদত হাসান মান্টোর ২২টি উর্দু গল্প), বিভাজন নি বার্তাও (দেশভাগের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় গল্প), ইন্তিজার হোসেন নি বার্তাও (ইন্তিজার হোসেনের ১৮টি উর্দু গল্প)[৬] জেনে লাহোর নাথি জয়ু ই জন্মো জে নাথি (আসগর ওয়াজাহাতের একটি নাটক), সুকাতো ভাদ (মঞ্জুর আহতেশামের হিন্দি উপন্যাস), পিঞ্জর (অমৃতা প্রীতমের একটি উপন্যাস), বস্তি ( ইন্তিজার হোসেনের উর্দু উপন্যাস), আধা গাঁও (রাহি মাসুম রাজার একটি উপন্যাস) এবং মহাভোজ (মনু ভাণ্ডারীর রাজনৈতিক উপন্যাস)। তিনি নতুন দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দ্বারা অর্থায়িত বিভাজন বিষয়বস্তু-র উপর ভিত্তি করে অ্যানালাইটিক্যাল অ্যাণ্ড কমপ্যারেটিভ স্টাডি অফ লিটারেচার প্রকল্পটিও সম্পন্ন করেছেন।[৩]
তিনি ২০টিরও বেশি বই সম্পাদনা করেছেন যার মধ্যে রয়েছে: বানি ভাতু (লোকগল্পের সংকলন, ১৯৯৯), বকুলেশ নি বার্তাও (২০০৪), ২০০০ নি বার্তাও, শতরূপা (নারীবাদী গুজরাটি ছোট গল্পের সংকলন, ২০০৫),[৬] জয়ন্ত খত্রী নি গধ্যাসৃষ্টি (২০০৯), জয়ন্ত খত্রী ন বার্তাবৈভব (২০১০), বার্তা বিশেষ : হরিশ নাগরেচা (২০১০), বার্তা বিশেষ : সরোজ পাঠক (২০১২), বার্তা বিশেষ : হিমাংশী শেলাত (২০১২), রতিলাল অনিল না উত্তম চন্দ্রানা (২০১৪), বিভজন নি গুজরাটি বার্তাও (২০১৮), হিমাংশী শেলাত অধ্যয়ন গ্রন্থ (২০১৮), ভগবতীকুমার শর্মা নো বার্তা বৈভব (২০১৯), শিরীষ পাঞ্চাল অধ্যায়ন গ্রন্থ (২০২০), উমাশঙ্কর যোশী নো বার্তা বৈভব (২০২০), পান্নালাল প্যাটেল নো বার্তা বৈভব (২০২০), মেঘনী নো বার্তা বৈভব (২০২১), বর্ষা আদলজা নো বার্তা বৈভব (২০২১), ঘনশ্যাম দেশাই নো বার্তা বৈভব (২০২৩) এবং মোহন পারমার নো বার্তা বৈভব (২০২৩)।
তাঁর সাক্ষাৎকারের দুটি সংকলন হলো সম্মুখ এবং ব্যথা নি কথা [ক] সম্বন্ধো নু আকাশ তাঁর স্মৃতির সংগ্রহ। তাঁর অন্যান্য কাজের মধ্যে রয়েছে মান্টো নি বার্তাসৃষ্টি – ভূমিকা পুস্তিকা (২০২২), কোমি সমস্যা নি ভিতর্মা (অচ্যুত পট্টবর্ধন এবং অশোকা মেহতার "দ্য কমিউনাল ট্র্যাঙ্গেল ইন ইণ্ডিয়া" -এর একটি সংক্ষিপ্ত ভূমিকা, ২০১০) এবং হারমনি (২০১৮)।
পুরস্কার এবং স্বীকৃতি
[সম্পাদনা]বিজলিওয়ালা অনেক শিক্ষা ও সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।[৩] ১৯৮৮ সালে, তিনি প্রাণজীবন চ্যারিটেবল ট্রাস্ট পুরস্কার (রাজ্য স্তর) পেয়েছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং কান্তাওয়ালা স্বর্ণপদক পেয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।[১] সাহিত্য সমালোচনা ও অনুবাদের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান গুজরাট সাহিত্য আকাদেমি দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে। অনন্যা (২০০০), বা নি ভাতুন (২০০০),[১] বার্তা সন্দর্ভ (২০০২), সম্প্রত্যয় (২০০৩) এবং মান্টো নি বার্তাও (২০০৩) বইগুলি গুজরাট সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছে। বিজলিওয়ালার একটি গবেষণা পত্র, দ্য স্টাডি অফ সাম স্টোরিজ থ্রু ফেমিনিস্টিক পয়েন্ট অফ ভিউ ইন গুজরাটি ল্যাঙ্গুয়েজ, ভাইকাকা ইন্টার-ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট (১৯৯৮ - ৯৯) দ্বারা সেরা গবেষণাপত্রের পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। তাঁর পিএইচডি গবেষণামূলক লেখা, পয়েন্ট অফ ভিউ ইন শর্ট স্টোরিজ, গুজরাটি সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক রমনলাল জোশী সমালোচক পুরস্কারে (২০০২) ভূষিত হয়।[৫] তিনি তাঁর জিনে লাহোর নাথি জয়ু ই জন্মো জে নাথি অনুবাদের জন্য ২০১৫ সাহিত্য আকাদেমি অনুবাদ পুরস্কার,[৭] এবং বিভাজন নি ব্যথা-র জন্য ২০১৮ সালের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। এই দুটি লেখা ভারত বিভাগের উপর ভিত্তি করে গুজরাটি ভাষায় সমালোচনামূলক প্রবন্ধের একটি সংগ্রহ।[৮] তিনি ভারতীয় বিদ্যা ভবনের নবনীত সমর্পন দ্বারা সোহম পুরস্কার (২০১৬) এবং মহুয়ার সদভাবনা ট্রাস্ট দ্বারা সদভাবনা পুরস্কার (২০১৭) পেয়েছেন।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বিঃদ্রঃ
[সম্পাদনা]- ↑ interviews with victims of the Partition of India
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Sharma, Radheshyam (২০০৫)। Saksharno Sakshatkar: 8 (গুজরাটি ভাষায়) (First সংস্করণ)। Rannade Prakashan। পৃষ্ঠা 62–73।
- ↑ ক খ গ Vijaliwala, Sharifa (জুন ১৯৯৯)। તપસીલ : સાહિત્યકારો સાથે મુલાકાત (Tapsil : Meeting with litterateurs)। 8 (গুজরাটি ভাষায়)। Gujarat Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 313–316। আইএসবিএন 81-7227-046-1।
- ↑ ক খ গ "Dr. Sharifa K. Vijaliwala" (পিডিএফ)। www.vnsgu.ac.in। ২০২১-০৮-০৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Mehta, Yagnesh Bharat (১২ আগস্ট ২০১৯)। "Sahitya Akademi winner victim of VNSGU's whim"। The Times of India। ৩ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০২১।
- ↑ ক খ Shastri, Keshavram Kashiram (জুন ২০১৩)। ગુજરાતના સારસ્વતો-૨ (Gujarat Na Sarsvato)। મ-હ (গুজরাটি ভাষায়)। Gujarat Sahitya Sabha। পৃষ্ঠা 180–181।
- ↑ ক খ গ Shah, Dipti (মার্চ ২০০৯)। Gujarati Lekhikasuchi ગુજરાતી લેખિકાસૂચિ (গুজরাটি ভাষায়) (First সংস্করণ)। Gujarati Sahitya Parishad। পৃষ্ঠা 73।
- ↑ "Sahitya Akademi announces winners of translation prize"। India Today। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Sahityotsav : Festival of Latters (Daily News Bulletin)" (পিডিএফ)। www.sahitya-akademi.gov.in। ২০১৯-০২-০২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]পুরস্কার | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী উর্মি দেশাই |
গুজরাটির জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী প্রাপক ২০১৮ |
উত্তরসূরী রতিলাল বরিসাগর |