লুইস কোম্পানিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লুইস কোম্পানিস

জেনারালিতাত দ্য কাতালুনিয়ার ১২৩তম রাষ্ট্রপতি[১]
কাজের মেয়াদ
২৫শে ডিসেম্বর, ১৯৩৩ – ১৫ই অক্টোবর, ১৯৪০
(১লা জানুয়ারি, ১৯৩৪ পর্যন্ত কর্মরত
২৩শে জানুয়ারি, ১৯৩৯ থেকে ১৫ই অক্টোবর, ১৯৪০ পর্যন্ত নির্বাসন
পূর্বসূরীফ্রান্সেস ম্যাঁসিয়া
উত্তরসূরীজোসেপ ইরলা
কাতালান রিপাবলিক-এর চতুর্থ কর্মরত রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
৬ই অক্টোবর, ১৯৩৪ – ৭ই অক্টোবর, ১৯৩৪
পূর্বসূরীফ্রান্সেস ম্যাঁসিয়া
১৯৩১-এ
উত্তরসূরীতিনি নিজেই, জেনারালিতাত দ্য কাতালুনিয়ার রাষ্ট্রপতি
১ম কাতালোনিয়া পার্লামেন্টের রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৩২ – ২০শে জুন, ১৯৩৩
পূর্বসূরীনতুন শিরোনাম
উত্তরসূরীজোয়ান কাসানোভাস ই ম্যারিস্টানি
স্পেনের সামুদ্রিক মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২০শে জুন, ১৯৩৩ – ১২ই সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩
পূর্বসূরীজোস গিরাল
উত্তরসূরীভিসেন্টে ইরাঞ্জো এঙ্গুইতা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৮৮২-০৬-২১)২১ জুন ১৮৮২
এল তারোস, আরজেল
মৃত্যু১৫ অক্টোবর ১৯৪০(1940-10-15) (বয়স ৫৮)
মন্টেজুঁয়ে, বার্সেলোনা
জাতীয়তাস্প্যানিশ
রাজনৈতিক দলইআরসি
দাম্পত্য সঙ্গীমারসে মিকো (বিচ্ছেদ)
কার্মে ব্যালেস্টার
সন্তানলুইস (১৯১১-১৯৫৬)
জেনারালিতাত দ্য কাতালুনিয়ার ব্যাঙ্ক নোট (১৯৩৬)।
লুইস কোম্পানিসের মৃত্যুদন্ডের আদেশ

লুইস কোম্পানিস ই জোভের (কাতালান উচ্চারণ: [ʎuˈis kumˈpaɲs]) (২১ জুন, ১৮৮২ – ১৫ অক্টোবর, ১৯৪০) ছিলেন কাতালুনিয়ার ১২৩তম রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৩৪ সাল থেকে স্পেনের গৃহযুদ্ধ পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন।

তিনি একজন আইনজীবী এবং কাতালোনিয়ার বামপন্থী রিপাবলিকা (ইআরসি) রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন। যুদ্ধের পর নির্বাসিত অবস্থায় তিনি ধরা পড়েন এবং স্প্যানিশ একনায়কতান্ত্রিক নেতা ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর গেসটাপো নাজি সিক্রেট পুলিশের হাতে হস্তান্তরিত হন এবং তারাই ১৯৪০ সালে ফায়ারিং স্কোয়াডে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে। ইউরোপীয় ইতিহাসে কোম্পানিই একমাত্র আরোপিত গণতন্ত্রের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি যাকে নিষ্পত্তি করা হয়েছে,[৩][৪] এবং ৭২ বছর পর যুদ্ধের কাউন্সিল, যা তাকে শাস্তি দিয়েছিল, এখনও বলবৎ আছে।[৫]

প্রথম জীবন[সম্পাদনা]

২১শে জুন, ১৮৮২ সালে তারোসে এক রাজকীয় ঐতিহ্যবাহী কৃষক পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দশ ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তার পিতামাতা হলেন জোসেপ কোম্পানিস ও মারিয়া লুইসা দ্য জোভার।[৬] ইউনিভার্সিতাত দ্য বার্সেলোনা থেকে আইনে ডিগ্রীপ্রাপ্ত হবার পর কোম্পানিস তরুণাবস্থায়ই কাতালোনিয়ার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পা রাখেন। ১৯০৬ সালে কাতালান সংবাদপত্র কু-কাট! এবং লাঁ ভেউ দ্য কাতালুনিয়ার লেখনী সামরিকভাবে জ্বালানোর ফলে, এবং লে দ্য জুরিসডিকিশনস ("বিচারব্যবস্থার আইন") পাস, যা স্পেনের বিরুদ্ধে বাণীধারণ করে এবং এক ধরনের সন্ত্রাসকে চিহ্নিত করে, তিনি সলিডারিতাত কাতালানায় অংশ নেন।

এরপরে তিনি ক্ষণজীবী ইউনিও ফেডেরাল ন্যাশনালিস্তা রিপাবলিকানায় অধিভুক্ত হন, যার তরুণ শাখার রাষ্ট্রপতি হবার যোগ্যতা তিনি অল্প বয়সেই অর্জন করেন। তার নানা কর্মসূচীর ফলে তিনি পনের বার জেলে যান এবং বার্সেলোনার ট্র্যাজিক সপ্তাহের পর পুলিশ রেকর্ডে তিনি একজন "ডেঞ্জারাস ইন্‌ডিভিজুয়াল" হিসেবে চিহ্নিত হন।

ফ্রান্সেস লেরেট এর সাথে কোম্পানিস কাতালান রিপাবলিকান পার্টির বামপন্থী শ্রমিক চক্রের প্রতিনিধিত্ব করেন যার ফলে তিনি ১৯১৬ সালে বার্সেলোনার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯২০ সালের নভেম্বরে তিনি সালভাদর সেগুই (এল নই দেল সাক্রে হিসেবে পরিচিত), মার্টি ব্যারেরা, জোসেপ ভিয়াদিউ এবং অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়নের কর্মচারীদের সাথে আটককৃত হন এবং মেনোর্কার মাহোন-এর ক্যাস্টোল দ্য লাঁ মোলা-এ বিতাড়িত হন। এর কিছুকাল পরেই লেরেট প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির সময় নিহত হন।

তার বিতারণ সত্ত্বেও ১৯২০ সালের বিধানিক নির্বাচনে, কোম্পানিস সাবাদেলের ডেপুটি নির্বাচিত হন, লেরেটের স্থানে যিনি পূর্বেই নিহত হন। এটি তাকে সংসদীয় অনাক্রম্যতা দেয় যা তার কাতামুক্তিকে আরো নিশ্চিত করে।

কোম্পানিস ইউনিও দ্য রাবাসাইরেস (১৯২২)-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এর জন্য তিনি প্রিমো দ্য রিভেরার শাসনের সময় একজন আইনজীবী হিসেবে এবং লা তেরা ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেন।

আবারও বিতাড়িত হওয়ার ফলে তিনি কনফারেন্সিয়া দ্য ইজকুইয়ারদাস বা বামপন্থীদের সম্মেলন (১২-১৩ মার্চ, ১৯৩১)-এ যোগ দিতে পারেন না। উক্ত সম্মেলন থেকেই ইআরসি রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হ। তবে তিনি পার্টিট রিপাবলিকা কাতালাকে প্রতিনিধিত্বপূর্বক উক্ত দলের একজন এক্সিকিউটিভ সদস্য হন। এর জন্য ধন্যবাদ পাবেন স্প্যানিশ শ্রমজীবী আন্দোলন এবং স্প্যানিশ ইউনিয়ন আন্দোলন; কারণ কোম্পানির নির্বাচন ইআরসিকে বামপন্থী অন্যান্য সংস্থার মধ্যে এক আলাদা স্থান করে দেয় এবং জনসমর্থন আদায় করে। এটিকে একটি ছোট প্রগতিশীল বুর্জোয়া দল বলে মনে করা হয়েছিল।

কাতালান রাষ্ট্রের ঘোষণা[সম্পাদনা]

৬ই অক্টোবর, ১৯৩৪ সালে কোম্পানিস কেন্দ্রীয় এবং ডানপন্থী রিপাবলিকান সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে কাতালান জাতীয়তাবাদের নেতৃত্ব দেয় এবং কাতালান রাষ্ট্রের (এস্তাত কাতালা) ঘোষণা দেয়।[৭] এইরুপ পদক্ষেপের ফলে তাকে আটক করা হয় এবং ত্রিশ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়।[৮] তবে ১৯৩৬ সালের নির্বাচনের উদ্দেশ্যে এবং বামপন্থী জোট ফ্রেন্তে পপুলারের বিজয়ের ফলে তিনি নতুন সরকার কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত হন।

গৃহযুদ্ধ[সম্পাদনা]

এর কিছুকাল পরেই জুলাই, ১৯৩৬ সালে স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ শুরু হয় এবং কম্পানিস দ্বিতীয় স্প্যানিশ রিপাবলিকের পক্ষ নিয়ে ন্যাশনালস-এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং কেন্দ্রীয় বিরোধী ফ্যাসিবাদী মিলিশিয়া বাহিনীর পক্ষ নেন, যাকে স্পন্সর করে কাতালান সরকার এবং মার্কসবাদী সমন্বিত দল (পিওইউএম), একটি বিপ্লবী বিরোধী স্তালিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টি ও কনফেডারেশন ন্যাশনাল দেল ট্রাবাজো (সিএনটি), একটি বিশ্বব্যাপী নৈরাজ্যবাদী ট্রেড ইউনিয়ন।[৯]

যুদ্ধের সময়, কোম্পানিস রাজনৈতিক জোটের ঐক্য ধরে রাখার চেষ্টা করে, তবে এর পরপরই সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর দূত, ভ্লাদিমির এন্টোনোভ-ওভসিনকো, কাতালোনিয়াকে সাহায্য বন্ধ করার হুমকি দেয় এবং ডিসেম্বর, ১৯৩৬ সালে এন্ড্রেস নিনকে বিচার-মন্ত্রিত্ব থেকে বহিষ্কার করেন।

নির্বাসন ও মৃত্যুদন্ড[সম্পাদনা]

১৯৩৯ সালে গৃহযুদ্ধের অল্পকাল পরেই কোম্পানিস ফ্রান্স ত্যাগের নানা সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দেন কারণ তার ছেলে লুইস প্যারিসের একটি ক্লিনিকে মারাত্মক অসুস্থ ছিল।[১০] ১৩ই আগস্ট ১৯৪০ সালে নান্তেস-এর নিকট লা বাউল-লেস-পিনস এ তিনি গ্রেপ্তার হন এবং লা সান্তে কারাগার-এ থাকেন। এরপর সেপ্টেম্বর, ১৯৪০ সালের দিকে তাকে মাদ্রিদের স্প্যানিশ সরকার কর্তৃপক্ষ নাজি জার্মানের হাতে হস্তান্তর করা হয় এবং পুয়ের্টা দেল সোলের রিয়াল কাসা দ্য কোরেওসের ডিরেকশন জেনারেল দ্য সিগুরিদাদ (স্টেট-সিকিউরিটি)-এর প্রধান শাখার কুঠুরীতে বন্দী রাখা হয়। তাকে সেখানে পাঁচ সপ্তাহের মত রাখা হয় একটি নির্জন কারাঘরে। সেখানে ফ্রাঙ্কোর শাসনপরিষদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাকে অত্যাচার করত, মারত এবং ধাতব মুদ্রা বা পাঁউরুটির টুকরো ছুঁড়ে তাকে অপমান করত।[১০][১১] এক ঘণ্টারও কম মিলিটারি ট্রায়ালে বৈধ নিয়ম অমান্যের অভিযোগে, যা সামরিক অভ্যুত্থান নামে অভিহিত করা হয়, তাকে মন্টেজুঁয়ের দুর্গে আটক রাখা হয়।[১২] বার্সেলোনায় সকাল ৬:৩০ মিনিটে তাকে চোখ বাঁধতে বলা হলে তিনি না বলেন। এরপর তাকে সিভিল গার্ডের ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা গুলি করা মাত্র তিনি চিৎকার করে বলেন, 'পার কাতালুনিয়া' (কাতালোনিয়ার জন্য')।[২] মন্টেজুঁয়ে কবরস্থান, যা দুর্গের নিকটেই অবস্থিত, সেখানে তাকে কবর দেয়া হয়। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয় আঘাতমূলক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ।[১৩]

১৯৯২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকসের জন্য ব্যবহৃত আসল মাঠটি তার নামাঙ্কিত। ১৯৯৮ সালে বার্সেলোনার পাসিগ দ্য লুইস কোম্পানিসের আর্ক দ্য ট্রিমফ এর নিকট একটি ভাস্কর্য স্থাপিত হয়। কোনজিটা জুলিয়া নামের কোম্পানিসের এক বন্ধুর ছবি তার ভাস্কর্যের সাথেই রয়েছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Generalitat de Catalunya"Presidències i presidents de la Generalitat de Catalunya" (পিডিএফ)। ৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৪ 
  2. Burns, Jimmy (২০০০)। Barca: a people's passion। Bloomsbury। পৃষ্ঠা 126 
  3. (কাতালান) "La befa al president Companys continua" Retrieved 17 June 2013.
  4. Eaude, Michael (ডিসে ৬, ২০০৭)। Catalonia: A Cultural History। New York: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 10। আইএসবিএন 9780199886883। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৩ 
  5. Europa Press (১৫ অক্টোবর ২০১০)। "Artur Mas reclama anular el juicio de Companys para su completa restitución"La Vanguardia। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৪ 
  6. Finestres, Jordi (October 2012)। "Lluís Companys. El president màrtir" (Catalan ভাষায়) (121)। Barcelona: Sàpiens: 46–49।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য);
  7. Preston, Paul. The Spanish Civil War. Reaction, revolution & revenge. Harper Perennial. London. 2006. p.78
  8. Beevor, Antony. The battle for Spain. The Spanish Civil War 1936–1939. Penguin Books. 2006. London. p.30
  9. Preston, Paul. The Spanish Civil War. Reaction, revolution & revenge. Harper Perennial. London. 2006. pp.253–254
  10. Preston, Paul. (2012). The Spanish Holocaust. Harper Press. London p. 493
  11. Juliá, Santos; Casanova, Julián; Solé i Sabaté, Josep Maria; Villarroya; Moreno, Francisco. Victimas de la guerra civil. Ediciones Temas de Hoy. 1999. Madrid. p. 331
  12. Gary McDonogh, Gary (2009) Iberian Worlds. Taylor & Francis At Google Books. Retrieved 17 June 2013.
  13. Preston, Paul. (2012). The Spanish Holocaust. Harper Press. London p.493

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
ফ্রান্সেস ম্যাঁসিয়া
জেনারালিতাত দ্য কাতালুনিয়ার রাষ্ট্রপতি
১লা জানুয়ারি, ১৯৩৪ পর্যন্ত কর্মরত
২৩শে জানুয়ারি, ১৯৩৯ থেকে ১৫ই অক্টোবর, ১৯৪০ পর্যন্ত নির্বাসনে

1933–1940
উত্তরসূরী
জোসেপ ইরলা
নির্বাসনে
পূর্বসূরী
নতুন শিরোনাম
কাতালোনিয়া পার্লামেন্টের রাষ্ট্রপতি
১৯৩২-১৯৩৩
উত্তরসূরী
কোয়ান কাসানোভাস ই ম্যারিসটানি
পূর্বসূরী
ফ্রান্সেস ম্যাঁসিয়া,
১৯৩১-এ
কাতালান রিপাবলিকের কর্মরত রাষ্ট্রপতি
১৯৩৪
উত্তরসূরী
তিনি নিজেই, জেনারালিতাত দ্য কাতালুনিয়ার রাষ্ট্রপতি
পূর্বসূরী
জোস গিরাল
স্পেন এর সামুদ্রিক মন্ত্রী
১৯৩৩
উত্তরসূরী
ভিসেন্টে ইরাঞ্জো এঙ্গুইতা
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয়
পূর্বসূরী
ফ্রান্সেস ম্যাঁসিয়া
ইআরসি-এর রাষ্ট্রপতি
১৯৩৩-১৯৩৪
উত্তরসূরী
কার্লেস পি ই সুনিয়ের
পূর্বসূরী
কার্লেস পি ই সুনিয়ের
ইআরসি-এর রাষ্ট্রপতি
১৯৩৬-১৯৪০
উত্তরসূরী
শূন্য,
১৯৯৩-এ পরবর্তী, হারিবার্ট ব্যারেরা ই কস্তা

টেমপ্লেট:কাতালোনিয়ার রাষ্ট্রপতি