লিডু
লিডু | |
---|---|
শহর | |
স্থানাঙ্ক: ২৭°১৮′০″ উত্তর ৯৫°৪৪′০″ পূর্ব / ২৭.৩০০০০° উত্তর ৯৫.৭৩৩৩৩° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | India |
রাজ্য | আসাম |
জেলা | তিনসুকীয়া জেলা |
উচ্চতা | ১৫০ মিটার (৪৯০ ফুট) |
ভাষা | |
• আনুষ্ঠানিক | অসমীয়া |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় মান সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৭৮৬১৮২ |
টেলিফোন কোড | ৯১ – (০) ৩৭৫১ – XX XXXX |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-AS |
যানবাহন নিবন্ধন | AS-23 |
লিডু আসামের তিনসুকীয়া জেলার মার্ঘেরিটা মহকুমার অন্তর্গত একটি ছোট শহর।[১] লিডু রেলওয়ে স্টেশন ভারতের পূর্ব প্রান্তের ব্রডগজ রেলওয়ে স্টেশন।[২] এই শহরটির থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-এর সময়ে বার্মার মধ্য দিয়ে চীনে সামরিক যোগানের পথ হিসাবে আমেরিকান এবং ইংরেজ সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য নির্মাণ করা ষ্টিলওয়েল পথ-এর শুরু ঘটেছে।
১৮৮২ সালে পূর্বের আসাম রেলওয়ে অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানী মিটারগজ বসাতে লিডুতে প্রথম কয়লাখনি আরম্ভ করা হয়েছিল।[৩][৪] কোনো কোনো ভূতত্ত্ববিদের মতে, এই অঞ্চলে উপলব্ধ হওয়া কয়লার গুণগত মান উচ্চ এবং একে লিডু কয়লা বলে জনা যায়৷ স্থানবিশেষে ভূপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ ফুট অভ্যন্তরে এই অঞ্চলে কয়লার স্তরসমূহ দৃশ্যমান হয় এবং এর গভীরতা পঁচিশ ফুট পর্যন্ত হয়৷ তাই এখানে কয়লার খননকার্য সুবিধাজনক এবং কম ব্যয়বহুল৷[৫]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
লিডু নামটির উৎপত্তি সন্দর্ভে কয়েক জনশ্রুতি আছে। কিছুসংখ্যক লোকের মতে এই স্থানের পুরানো অধিবাসী চিংফৌদের ভাষায় লি মানে নৌকা এবং ড মানে কাটা৷ লিড শব্দ নৌকা কাটা বা নৌকা তৈরি করা স্থানকে বোঝায়৷ লিড নামের অপভ্রংশ ঘটে পরবর্তীকালে লিডু হিসাবে পরিচিত হয়ে পড়ে বলা হয়৷ ইংরাজ শাসনকালে কয়লার আবিষ্কার হওয়ার পরেই লিডু অঞ্চলটি সর্বভারতীয় মানচিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান লাভ করে। পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর সময় লিডু মিত্রবাহিনীর সামরিক ঘাঁটি ছিল এবং সামরিক উদ্দেশ্যেই লিডু থেকে আরম্ভ হওয়া বিখ্যাত ষ্টিলওয়াল পথের নির্মাণ করা হয়েছিল।[১]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ[সম্পাদনা]
- লিডু মহাবিদ্যালয়
- লিডু কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়
- লিডু কনিষ্ঠ মহাবিদ্যালয়
- লিডু শংকরদেব বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "Ledo"। www.india9.com (ইংরেজি ভাষায়)। অক্টোবর ১৫, ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৮।
- ↑ "[IRFCA] Indian Railways FAQ: Trivia"। www.irfca.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৮।
- ↑ "Makum Coalfields – an Insight – Assam"। Kaziranga National Park and Tiger Reserve (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-০৬। ২০১৯-১০-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৮।
- ↑ Sen, Sanjay (২০১৬)। Coal mining industry in Assam - a study of Tinsukia district - 1865-1940 (পিডিএফ)।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "আসামে ক'লা হীরার ক'লা সাম্রাজ্য"। Janambhumi। 23 February, 2018। সংগ্রহের তারিখ 25 April 2020। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]