লিটল আউল
লিটল আউল | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Strigiformes |
পরিবার: | Strigidae |
গণ: | Athene |
প্রজাতি: | A. noctua |
দ্বিপদী নাম | |
Athene noctua (Scopoli, 1769) | |
Range of the Little Owl | |
প্রতিশব্দ | |
Carine noctua |
লিটল আউল (Athene noctua) হল এক প্রজাতির পাখি যারা প্রধানত ইউরোপ, এশিয়া, কোরিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন উষ্ণ অঞ্চলে বসবাস করে। এরা গ্রেট ব্রিটেনের কাছাকাছি থাকে না, যেখানেই তাদের ব্যাপারে প্রথম বল হয়ে থাকে ১৮৪২ সালে,[২] এবং এদেরকে নিয়ে প্রথম বলেছিলেন থমাস পোইস। এরা সফলভাবেই নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ড দ্বীপে এসেছিল বিংশ শতাব্দীর আগেই।
এই প্রজাতিটি টিপিকাল আউল প্রজাতির মধ্যে পড়ে, যারা সবথেকে বেশি প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। অন্য দলটি হল লক্ষ্মীপেঁচাদের দল।
বর্ণনা
[সম্পাদনা]এই পেঁচাটি একটি ছোটো প্রজাতির প্যাঁচা, প্রধানত ২২ সেন্টিমিটার (৮.৭ ইঞ্চি) লম্বা এবং এদের ডানার পরিমাপ হল ৫৬ সেন্টিমিটার (২২ ইঞ্চি) উভয় পুরুষ এবং মহিলা দুজনেরই জন্য। এদের ওজন হয় প্রধানত ১৮০ গ্রাম (৬.৩ আউন্স).[৩]
প্রাপ্তবয়স্ক লিটল আউলদের সংখ্যা সবথেকে বেশি হয় যারা হল A. n. noctua, এদের দেহের ওপরের অংশ প্রধানত যাদামি সাদা দাগযুক্ত হয়।, এবং দেহের নিচের অংশে বাদামি এবং সাদা রঙের বিদ্যুতের মতোন দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এদের মাথা হয় বড়ো, পা হয় লম্বা এবং চোখের রঙ হয় হলুদ। এবং এদের সাদা রঙের ভ্রূ এদেরকে একটা চতুরতার ছোঁয়া দিয়ে যায়। এদের উড়ান অনেকটা সীমাবদ্ধ থাকে কাঠঠোকরাদের মতোন। তরুণরা অনেকটা মলিন রঙের হয় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মতোন মাথার ওপরে সাদা রঙের শিরস্ত্রাণের মতোন অংশ থাকে না এদের ডাক শুনতে অনেকটা এরকম - কি-ইক।
এই প্রজাতির একটা অংশ ফ্যাকাশে ধূসর-বাদামি রঙের হয় যারা প্রধানত A. n. lilith। এদের অন্যান্য উপজাতিগুলো হল, উত্তর আফ্রিকার A. n. desertae, এবং তিনটি মধ্যবর্তী উপজাতি, দক্ষীণ-পূর্ব ইউরোপের এবং আনাতোলিয়ার A. n. indigena , A. n. glaux যাদেরকে পাওয়া যায় উত্তর আফ্রিকাতে এবং দক্ষিণপশ্চিম এশিয়াতে, এবং A. n. bactriana যারা প্রধানত মধ্য এশিয়াতে বিস্তার করে।
বিস্তার এবং অবস্থা
[সম্পাদনা]সারা পৃথিবীতে ১৩ টা উপজাতি পয়া গেছে এই লিটল আউল প্রজাতির এবং সবকটাই প্রধানত ইউরোপ এবং এশিয়া জুড়ে বিস্তার করে। লিটল আউল গ্রিক দেবী আথেনার পবিত্র ছিল, যেখান থেকেই এই প্রজাতিটি তাদের গণের নামকরণ পেয়েছে। এরা সবথেকে বেশি বিস্তার করে এবং এদের সংখ্যা অনেক বেশি অন্যান্য প্রজাতিদের তুলনায়। খুব সম্ভবত এরা বিশ্বের সবথেকে বেশি সংখ্যায় বিরাজ করে।
লিটল আউলদের আয়ু প্রধানত ৩ বছর অবধি থাকে।[৩]
ব্যবহার এবং আবাসস্থল
[সম্পাদনা]এই প্রজাতিদের প্রধানত বিভিন্ন চাষাবাদের ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য সমতলভূমিতে দেখতে পাওয়া যায়। এদের প্রধান শিকার হল পোকামাকড়, কেঁচো, ছোটো ছোটো সরীসৃপ ইত্যাদি। এছাড়াও এরা ছোটো ছোটো পাখি এবং প্রাণীও শিকার করে থাকে। এরা অনেক বড়ো আকারের প্রজাতির পাখিদেরও আক্রমণ করতে পারে। এরা আংশিকভাবে দিবাচর পাখি এবং মাঝে মাঝে দিনের বেলাতেও অত্যন্ত সাহসের সাথে শিকার ধরে।[৪]
এরা প্রধানত রাতেরবেলায় ডাকে এবং প্রজনন কাল আসলে আরোও জোরে জোরে ডাক্তে শোনা যায় এদেরকে। এদের বাসস্থান পরিবর্তন হয় তাদের স্বভাবের ওপরে নির্ভর করে। এরা প্রধানত গাছের গর্তে বাসা বাঁধে, এছাড়াও পাথরের ফাটলে, নদীর পাড়ে, দেওয়ালে, বাড়ি-ঘরেও এদের বাসা দেখতে পাওয়া যায়।[৪] এরা প্রধানত ৩ থেকে ৫ টা ডিম পাড়ে এবং সেই ডিম গুলো মহিলা পেঁচা তা দেয় ২৮-২৯ দিন ধরে। লিটল আউলরা বাড়িতেও বাসা বাঁধে এবং তারা সেখানে মানুষের তৈরি বাসায় থাকে। যদি তাদের বসবাসের স্থানে প্রচুর মানুষের বসবাস থেকে তারা ওই সকল মানুষদের সামনেই শিকার ধরতে অভ্যস্ত হয়ে পরে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ BirdLife International (২০১২)। "Athene noctua"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ Greenoak, Francesca (১৯৯৭-১০-৩১)। British Birds: Their Names, Folklore and Literature। Christopher Helm Publishers Ltd। আইএসবিএন 0-7136-4814-7।
- ↑ ক খ "Little Owl (Athene noctua)"। British Trust for Ornithology। ১৬ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৩।
- ↑ ক খ Baker, ECS (১৯২৭)। Fauna of British India. Birds। 4 (2 সংস্করণ)। Taylor and Francis, London। পৃষ্ঠা 441–443।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Little Owl videos, photos & sounds ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে on the Internet Bird Collection
- Little Owl in New Zealand
- Ageing and sexing (PDF; 5.5 MB) by Javier Blasco-Zumeta & Gerd-Michael Heinze