রামপাশার জমিদার বাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রামপাশার জমিদার বাড়ি
বিকল্প নামহাসন রাজার বাড়ি
সাধারণ তথ্য
ধরনবাসস্থান
অবস্থানবিশ্বনাথ উপজেলা
শহরবিশ্বনাথ উপজেলা, সিলেট জেলা
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছেঅজানা
স্বত্বাধিকারীঅজানা
কারিগরী বিবরণ
উপাদানইট, সুরকি ও রড

রামপাশার জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলা অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। এটি বিশেষ করে মরমি কবি হাসন রাজার বাড়ি হিসেবে বেশ পরিচিত এবং ঐতিহাসিক। [১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

অন্যান্য জমিদার বাড়ি থেকে এই জমিদার বাড়িটি একদমই ভিন্ন। এটি ইতিহাসের পাতায় আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছে। কারণ এটি মরমি কবি হাছন রাজার জমিদার বাড়ি। হাছন রাজার জমিদার বাড়ি হিসেবে এটি অধিক পরিচিত। হাছন রাজার পূর্ব পুরুষরা ছিলেন হিন্দু ধর্মালম্বী। এই জমিদার বাড়ির মূল প্রতিষ্ঠাতা কে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। একটি সূত্র অনুযায়ী এই জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ধরা যায় বিরেন্দ্রচন্দ্র সিংহদেব (বাবু খান)। তিনিই হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। হাছন রাজার পিতা দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ছিলেন উক্ত জমিদারী এলাকার একজন প্রভাবশালী জমিদার। তার আওতায় দুই এস্টেটের অর্থাৎ দুই এলাকার জমিদারী ছিল। একটি ছিল রামপাশার, আরেকটি ছিল লক্ষণশ্রীর। হাছন রাজারা ছিলেন দুই ভাই। তার বাবার পরে রামপাশার জমিদারী দেখাশুনা করতেন তার বড় ভাই। আর লক্ষণশ্রীর জমিদারী দেখা করতেন হাছন রাজা। কিন্তু হঠাৎ ৩৯ বছর বয়সে তার বড় ভাই মারা গেলে। দুই জমিদারীর দায়িত্ব এসে পড়ে হাছন রাজার হাতে। এরপরই তিনি এই দুই জমিদারী এলাকা একাই সামলাতে থাকেন। প্রথম জমিদারী বয়সে হাছন রাজা ছিলেন একজন ভোগবিলাসী জমিদার। পরবর্তীতে এক আধ্যাত্নিক স্বপ্নের মাধ্যমে তার জীবনের মোড় পাল্টে যায়। তিনি বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে সাধারণভাবে চলাফেরা করতে শুরু করেন। শেষপর্যন্ত পরিণত বয়সে তিনি বিষয় সম্পত্তি বিলিবণ্টন করে দরবেশ-জীবন যাপন করেন। তার উদ্যোগে হাসন এম.ই. হাই স্কুল, অনেক ধর্ম প্রতিষ্ঠান, আখড়া স্থাপিত হয়।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]

অযত্ন ও অবহেলায় হাছন রাজার একমাত্র স্মৃতি বিজড়িত এই জমিদার বাড়িটি এখন ধ্বংসের মুখে। বাড়ির দেয়ালে ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]