রাবাব ফাতেমা
রাবাব ফাতেমা | |
---|---|
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি | |
কাজের মেয়াদ ডিসেম্বর ২০১৯ – জুন ২০২২ | |
পূর্বসূরী | মাসুদ বিন মোমেন |
উত্তরসূরী | মুহাম্মদ আবদুল মুহিত |
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত | |
কাজের মেয়াদ নভেম্বরে ২০১৫ – নভেম্বর ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | মাসুদ বিন মোমেন |
ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় জানুয়ারি ২০২০ | |
পূর্বসূরী | মাসুদ বিন মোমেন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
জীবিকা | সরকারী কর্মকর্তা |
রাবাব ফাতেমা একজন উচ্চপদস্থ বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা ও পেশাদার কূটনীতিক যিনি জাতিসংঘের স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ (এলএলডিসি) ও ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জের উন্নয়নশীল দেশের (এসআইডিএস) জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত আছেন। ইতিপূর্বে তিনি জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের ১৪তম স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১] তার চাকরি জীবনে তিনি জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।[২] তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে দ্বিতীয় নারী কূটনীতিক।[৩]
জীবনী
[সম্পাদনা]রাবাব ফাতেমা ফ্লেচার স্কুল অব ল এন্ড ডিপ্লোমেসি থেকে ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পররাষ্ট্র ক্যাডার হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। রাবাব ফাতেমা তার কূটনৈতিক জীবনে মানবাধিকার ও মানবিক ইস্যুতে কাজ করেছেন। ২০০৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি কমনওয়েলথ সচিবালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪]
তিনি লিয়েনে কমনওয়েলথ সচিবালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, কলকাতা, জেনেভা ও বেইজিং-এর বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে তাকে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এরপূর্বে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্যাসেফিক বিষয়ক মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।[৫] ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের ১৪তম স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।[৬] ২০২২ সালের জুন মাস থেকে তিনি স্বল্পোন্নত দেশ, স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ এবং ক্ষুদ্র দ্বীপ দেশগুলোর হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ হিসেবে দায়িত্ব পান।
ব্যক্তিগত জীবনে রাবাব ফাতেমা বিবাহিত ও এক কন্যার জননী।[৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Ambassador's Profile – Embassy of Bangladesh Tokyo"। bdembjp.mofa.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৯।
- ↑ "জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হলেন রাবাব ফাতেমা"। বাংলানিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "রাবাব ফাতেমা জাপানে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত | daily nayadiganta"। The Daily Nayadiganta। ১৭ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৯।
- ↑ "জাপানে নতুন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৯।
- ↑ "জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যোগ দিলেন রাবাব ফাতেমা"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "জাপানে রাষ্ট্রদূত হলেন রাবাব ফাতিমা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৯।