রাজকুমারী আলিয়া বিনতে হোসেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রিন্সেস আলিয়া বিনতে হোসেন
জন্ম (1956-02-13) ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
আম্মান, জর্ডান
দাম্পত্য সঙ্গীনাসের ওয়াসিফ মির্জা
(বি. ১৯৭৭; বিচ্ছেদ. ১৯৮৮)

সাঈদ মোহাম্মাদ আল সালেহ (বি. ১৯৮৮)
বংশধরহোসেন মির্জা
তালাল আল সালেহ
আব্দুল হামিদ আল সালেহ
রাজবংশহাশেমি
পিতাবাদশাহ হোসেন
মাতাদিনা বিনতে আব্দুল হামিদ
ধর্মইসলাম

প্রিন্সেস আলিয়া বিনতে হোসেন (জন্মঃ ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬) হলেন জর্ডানের বাদশাহ হোসেনের বড় মেয়ে। তার মায়ের নাম শরীফা দিনা বিনতে আবদুল-হামিদ। শরীফা দিনা ছিলেন বাদশাহ হোসেনের প্রথম স্ত্রী।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

প্রিন্সেস আলিয়া তার প্রাথমিক শিক্ষা আম্মানের আহলিয়্যাহ স্কুল ফর গার্লস অ্যান্ড রোজারি কলেজে গ্রহণ করেন। তারপর ইংল্যান্ডের সিবটন পার্ক স্কুলে পড়াশোনা ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত। কেন্টের বেনেডেন স্কুলে তিনি এক বছর কাটান। তারপর আরবি, ইংরেজি এবং ফরাসিতে মিলফিল্ড স্কুল থেকে এ লেভেল পাশ করেন ১৯৭২ সালে। প্রিন্সেস আলিয়া ১৯৭৭ সালে জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। [১]

বিবাহ[সম্পাদনা]

প্রিন্সেস আলিয়া ১৯৭৭ সালের ১২ এপ্রিল রাঘাদান প্রাসাদে লেফটেন্যান্ট-কর্নেল নাসের ওয়াসফি মির্জা (জন্মঃ ১৯৪৫) কে বিয়ে করেছিলেন। তাদের একটি ছেলে রয়েছে।

  • হোসেন মির্জা (জন্মঃ ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১) [২]

১৯৮৮ সালে আলিয়া ও মির্জার তালাক হয়েছিল। [৩] ১৯৮৮ সালের ৩০ জুলাই তিনি আম্মানে সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আল-সালেহকে ( সাইয়্যেদ ফরিদ আল- সালেহির বড় ছেলে) বিয়ে করেন। তাদের দুটি সন্তান আছে:

  • তালাল আল-সালেহ (জন্মঃ ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯)
  • আবদুল হামিদ আল-সালেহ (জন্মঃ ১৫ নভেম্বর, ১৯৯২) [৩]

প্রিন্সেস আলিয়া ও তার বোন জেইন পরস্পরের জা।

জীবন ও কার্যক্রম[সম্পাদনা]

প্রিন্সেস আলিয়া ক্রিস্টাল বেনেট ওবিইয়ের অধীনে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ব স্কুলের সাথে নিবন্ধক এবং শিল্পী হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে ফখরেন্নেসা জাইদ আর্ট গ্রুপের সদস্য হন। আরবীয় ঘোড়া সংরক্ষণের জন্য জর্দানের রয়্যাল স্ট্যাবলস-এর পরিচালক হিসাবে আলিয়া ১৯৮৮ সালে (বর্তমানে একটি বার্ষিক ইভেন্ট) " অ্যারাবিয়ান হর্স অ্যাট হোম" উৎসব শুরু করেছিলেন। এছাড়া ঘোড়াগুলির জন্য মধ্য প্রাচ্য চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করেছিলেন। তিনি একটি বেসরকারী সংস্থা প্রিন্সেস আলিয়া ফাউন্ডেশনও প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর নীতি হলো "সৃষ্টির প্রতি সম্মান ও সমবেদনা"। [৪] ২০১১ সালে তিনি পশু কল্যাণ এবং মানবাধিকারের মধ্যে সুস্পষ্ট সম্পর্ক তুলে ধরে "আজকের বিশ্বে ঘোড়া ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক" শীর্ষক ওয়ার্ল্ড আরবীয় হর্স অর্গানাইজেশন (ডাব্লুএইচএ) সম্মেলনে মূল বক্তব্য প্রদান করেছিলেন। [৫]

প্রিন্সেস আলিয়া ১৯৮৭ সাল থেকে ২ ড্যান ব্ল্যাক বেল্ট তাইকোয়ান্দো ধরে রেখেছেন। অশ্বারোহণ ঘোড়া প্রজনন, আরবীয় ঘোড়া নির্বাচন, স্ট্যাম্প সংগ্রহ, পড়া এবং সাধারণভাবে ক্রীড়া পছন্দ করেন। তার কাছে অশ্বারোহিতা একটি পারিবারিক আবেগের বিষয়। তার বৈমাত্র্যেয় বোন প্রিন্সেস হায়া বিনতে হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর ইকুয়েস্ট্রিয়ান স্পোর্টসের প্রাক্তন সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্য[৬][৭]

উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত রচনাগুলি [৮][সম্পাদনা]

সম্মান[সম্পাদনা]

জাতীয় সম্মান[সম্পাদনা]

  • সংযোগ=|সীমানা  Jordan  : নাইট গ্র্যান্ড কর্ডন অফ দ্যা অর্ডার অফ দ্যা স্টার অফ জর্ডান[১২]
  • সংযোগ=|সীমানা  Jordan  : বিশেষ অবদানের জন্য আল-হোসেন ডেকোরেশন প্রথম শ্রেণি (৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭)

বিদেশী সম্মান[সম্পাদনা]

  • সংযোগ=|সীমানা  Japan  : ডেম গ্র্যান্ড কর্ডন অফ দি অর্ডার অফ দ্য প্রিসিয়াস ক্রাউন (১০ মার্চ, ১৯৭৬) [১২]
  • সংযোগ=|সীমানা  Norway  : রয়্যাল নরওয়েজিয়ান অর্ডার অফ মেরিটের নাইট গ্র্যান্ড ক্রস (৪ এপ্রিল, ২০০০)
  • সংযোগ=|সীমানা  Spain  : নাইট গ্র্যান্ড ক্রস অফ রয়্যাল অর্ডার অফ ইসাবেলার ক্যাথলিক (১৮ মার্চ, ১৯৭৭) [১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. King Hussein, Princess Dina and Princess Alia
  2. Royal Ark
  3. jordan3
  4. "Who We Are"। Princess Alia Foundation। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  5. Princess Alia bin Al Hussein। "The Relationship Between Horses and Humans in Today's World" (পিডিএফ)। World Arabian Horse Association। ১ মে ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ 
  6. "Review: Royal Heritage – the story of Jordan's Arab Horses, by HRH Princess Alia Al Hussein and Peter Upton | Horsetalk.co.nz"। ১৩ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  7. "The Official Website of HRH Princess Haya Bint Al Hussein"। ২২ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  8. Amazon
  9. HRH Princess Alia Al Hussein and Sharifa Sarra Ghazi (১৫ এপ্রিল ২০১০)। The Arabian Horse of Egypt। The American University in Cairo Press। 
  10. HRH Princess Alia Al Hussein and Peter Upton (৩০ মার্চ ২০১১)। Royal Heritage: The Story of Jordan's Arab Horses। Medina Publishing Ltd। 
  11. HRH Princess Alia Al Hussein and Cynthia Culbertson (২৪ মে ২০১৪)। Small Miracles: The Story of the Princess Alia Foundation। Medina Publishing Ltd। 
  12. Royal Ark, Jordanian genealogy details
  13. Boletín Oficial del Estado

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]