রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী ক্যাম্পাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী ক্যাম্পাস
रत्न राज्यलक्ष्मी क्याम्पस
ধরনসরকারি কলেজ
স্থাপিত২০ আগস্ট ১৯৬১; ৬২ বছর আগে (1961-08-20)
মূল প্রতিষ্ঠান
ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়
চেয়ারপার্সনজীবন্ধর জানওয়ালি
ঠিকানা
প্রদর্শনী মার্গ
, ,
২৭°৪২′০৯″ উত্তর ৮৫°১৯′১১″ পূর্ব / ২৭.৭০২৫৬৮৮° উত্তর ৮৫.৩১৯৮৪১৪° পূর্ব / 27.7025688; 85.3198414
শিক্ষাঙ্গনশহর
জমির পরিমাণ১.০০৫৬ একর
ওয়েবসাইটআরআর ক্যাম্পাস
মানচিত্র

রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী ক্যাম্পাস ( নেপালি: रत्न राज्यलक्ष्मी क्याम्पस ) সাধারণত আরআর(RR) ক্যাম্পাস নামে পরিচিত। এটি মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য অন্যতম বৃহত্তম কলেজ যা ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের (TU) অন্তর্ভুক্ত। এখানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তর চালু আছে। কলেজটির নামকরণ করা হয় তৎকালীন রাজা মহেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ দেবের দ্বিতীয় স্ত্রী রানী রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী দেবী শাহের নামের অনুযায়ী।[১]

অবস্থান[সম্পাদনা]

রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী ক্যাম্পাসটি প্রদর্শনী মার্গা, কাঠমান্ডু, নেপালে অবস্থিত। এটি ৮ রোপানি জমির উপর অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

Queen Ratna of Nepal, after whom the campus is named
নেপালের রানী রত্ন; যার নামে এই ক্যাম্পাসের নামকরণ করা হয়েছে।

ঐতিহাসিকদের মতে, রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী ক্যাম্পাসটি ৪ ভাদ্র, ২০১৮ বিক্রম সংবৎ অব্দে পুতলী সড়কের গুঠি সংস্থার ভবনে তিন জন ছাত্রী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শুরুতে এই ক্যাম্পাসটির নাম ছিল রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী গার্লস কলেজ। রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী ক্যাম্পাস কাঠমান্ডু মেট্রোপলিটন শহরের প্রদর্শনী মার্গে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি নেপালি জাতির প্রাণকেন্দ্র । এটি প্রায় ৮ রোপানি জমি পরিমাণ জায়গা দখল করে আছে। এটির পূর্বে প্রদর্শনী সড়ক , পশ্চিমে অদ্বৈত মার্গা এবং উত্তরে কাঠমান্ডু মডেল হাসপাতাল এবং দক্ষিণে আইন ক্যাম্পাস অবস্থিত।

তখনকার দিনে শুধু প্রভাতি শিফটে ক্লাস হতো। এটি মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে ইন্টারমিডিয়েট অফ আর্টসের কোর্স অফার করে। কাঠমান্ডু উপত্যকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েরা এখানে শিক্ষা লাভ করার সুযোগ পেত। গার্লস কলেজের সময়ে এটি ২০২১ বিক্রম সংবৎ অব্দে-এ এটি বিএ স্তরে উন্নীত হয়। কলেজের অবস্থান ২০২৪ বিক্রম সংবৎ অব্দে-এ পুতলী সড়ক থেকে প্রদর্শনী মার্গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এখানে এটি মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অমূল্য জ্ঞান সরবরাহ করে এবং এখনো পর্যন্ত স্থায়ীভাবে গর্বের সাথে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ বিক্রম সংবৎ অব্দে থেকে, রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী গার্লস কলেজ ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। ২০২৫ বিক্রম সংবৎ অব্দে এটি একটি মাল্টিপল কলেজে পরিণত হয়েছিল। কারণ এটি মানবিক কোর্সের সাথে ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম যুক্ত করেছিল। এটি ২০৩০ বিক্রম সংবৎ অব্দে পর্যন্ত ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম চালায়।

২০৩১ বিক্রম সংবৎ অব্দে-এ রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী গার্লস কলেজ থেকে রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী ক্যাম্পাসে পরিবর্তন করে সমস্ত নেপালিদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে এটি আরআর(RR) ক্যাম্পাস নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০৩১ বিক্রম সংবৎ অব্দে থেকে, রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী ক্যাম্পাস মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে সুপরিচিত হয়ে উঠে। এটি আজ পর্যন্ত ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সুপরিচিত ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী ক্যাম্পাস ২০৩৭ বিক্রম সংবৎ অব্দে মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান কোর্সগুলি তিনটি ভিন্ন শিফটে রূপান্তর করে। রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী ক্যাম্পাসের সমৃদ্ধতা টিকিয়ে রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের মেজর সহ তিনটি শিফটে আইএ ক্লাস পরিচালনা করে। ক্যাম্পাসটি ২০৩৮ বিক্রম সংবৎ অব্দের শুরুতে প্রভাতি শিফটে আইএ-তে দেওয়া সমস্ত বিষয়ের বিএ স্তরের প্রোগ্রামগুলি অফার করে। একইভাবে আরআর ক্যাম্পাস ২০৭২ বিক্রম সংবৎ অব্দে একাডেমিক সেশন পর্যন্ত তিনটি শিফটে বিএ স্তরের কোর্স চালু করে। এটি ২০৭৩ বিক্রম সংবৎ অব্দ থেকে সন্ধ্যার শিফটের জন্য বিএ প্রোগ্রামের কোর্সের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র দুই শিফটে অর্থাৎ সকাল ও বিকাল শিফটে বিএ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে।

পাঠ্যধারা[সম্পাদনা]

আরআর ক্যাম্পাস গত ছয় দশক ধরে অবিরামভাবে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের ১৫টি ভিন্ন বিভাগ পরিচালনা করে আসছে। আরআর ক্যাম্পাস মূলত নেপালি, ইংরেজি,অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, গণিত, সঙ্গীত, মনোবিজ্ঞান, জনসংখ্যামিতি , সমাজবিজ্ঞান এবং নৃবিজ্ঞান, সাংবাদিকতা এবং গণযোগাযোগ, এবং গ্রামীণ উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদান করে আসছে।

রত্ন রাজ্যলক্ষ্মী ক্যাম্পাস বিভিন্ন ধরনের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের কোর্স অফার করে: [২]

স্নাতক ডিগ্রি কোর্স[সম্পাদনা]

  • ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ)
  • কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে বিসিএ

স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স[সম্পাদনা]

  • ইংরেজিতে মাস্টার অব আর্টস (এমএ)
  • নেপালি ভাষায় মাস্টার অব আর্টস (এমএ)
  • পপুলেশন স্টাডিজে মাস্টার অব আর্টস (এমএ)
  • সাংবাদিকতা এবং গণযোগাযোগে মাস্টার অব আর্টস (এমএ)
  • সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার অব আর্টস (এমএ)
  • অর্থনীতিতে মাস্টার অব আর্টস (এমএ)

উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী[সম্পাদনা]

  • আরিয়ান সিগডেল, অভিনেতা
  • অষ্টলক্ষ্মী শাক্য, নেপালি রাজনীতিবিদ
  • বিপিন কারকি, নেপালি অভিনেতা[৩]
  • ভুবন ধুঙ্গানা, নেপালি কবি ও লেখক[৪]
  • বুদ্ধিসাগর, নেপালি লেখক ও কবি
  • নীতা ঢুঙ্গানা, নেপালি অভিনেত্রী
  • মালা রাজ্য লক্ষ্মী শাহ, ভারতীয় রাজনীতিবিদ
  • সিন্ধু মাল্লা, জনপ্রিয় গায়ক
  • সুলোচনা মানন্ধর, নেপালি কবি ও লেখক
  • স্বপ্নিল স্মৃতি, নেপালি লেখক
  • উদিত নারায়ণ, গায়ক

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "About us – Ratna Rajya Laxmi Campus" (ইংরেজি ভাষায়)। ১ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০২১ 
  2. "Ratna Rajya Laxmi Campus"Edusanjal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০২১ 
  3. SJB Rana, Pranaya (৪ আগস্ট ২০১৯)। "Bipin Karki: You need to be a good person to be a good actor"The Kathmandu Post (English ভাষায়)। ১ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২১ 
  4. "व्यक्तिवृत्त: अक्षरमा वरिष्ठ लेखिका भुवन ढुङ्गाना"News of Nepal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১২ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]