রঁক্ষাকালী মাতা মন্দির, শাঁখারী বাজার ঢাকা

রঁক্ষাকালী মাতা মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তি	হিন্দুধর্ম
জেলা	ঢাকা
উৎসব	শ্যামা পূজা শিব চতুর্দশী শুভ দীপাবলি অমাবস্যায় কালী পূজা
পরিচালনা সংস্থা	রঁক্ষাকালী মাতা মন্দির পরিচালনা কমিটি
অবস্থান
অবস্থান	৫৮ শাঁখারী বাজার, ঢাকা
দেশ	বাংলাদেশ
স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠার তারিখ	১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ, বাংলায়ঃ ১৩৫০ বঙ্গাব্দ

রঁক্ষাকালী মাতা মন্দির, বাংলাদেশের ঢাকা জেলার, হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারের প্রধান অন্যতম কালী মাতার মন্দির এই মন্দিরের স্থাপত্য শৈলী প্রাচীন স্থাপত্য নির্দশন। মন্দিরটি ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ১৩৫০ বঙ্গাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সনাতন ভক্ত বৃন্দের পূজা-অর্চনা ও ভক্তদের পদচারণয় মুখরিত থাকে সারা বছরই মন্দিরটি।

ইতিহাস

ঢাকার শাখাঁরী বাজারে রঁক্ষাকালী মাতার মন্দিরটি ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। চার কাঠা জমির উপর চূড়া আকৃতির এই মন্দিরটি নির্মিত। এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে অনেক অলৌকিক ঘটনা। এই মন্দিরের মা ভক্তের মনোবাসনা পূর্ণ করেন। লোকমুখে শোনা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী মন্দিরটি ভাঙতে এলে এক ছায়া মূর্তি খর্গ হাতে দাঁড়িয়ে এই মন্দিরকে রক্ষা করেছেন।

মন্দির

মন্দিরটি প্রধান পূজিত ভগবান হলেন রঁক্ষাকালী মাতা ও বাবা মহাদেব। প্রতি শনিবারে মায়ের বিশেষ পূজা হয় এবং শনিবারে ভক্তদের সমাগম থাকে অনেক বেশি। এছাড়াও প্রতি আমাবস্যার পূজাও হয় এই মন্দিরে। মায়ের পাশাপাশি শিবেরও পূজা করা হয় এই মন্দিরে। শিবকেও সাজানো হয়েছে স্বর্নালংকারে। এছাড়াও শিবরাত্রি, শিবপুজা অনুষ্ঠিত হয়। কার্তিক মাসের কালী পুঁজায় এবং বাৎসরিক পুঁজায় বেশী ভিড় হয়। পৌষ মাসের ২১ তারিখে প্রতি বছর বাৎসরিক পুঁজা হয়। প্রতিদিন মন্দির সকাল ৯ টায় খোলা হয় মায়ের মন্দির । এছাড়া রাজভোগ হয় একটায় ও মন্দির বন্ধ হয় রাত ৮ টার আরতির পরে।

উৎসব

মন্দিরের প্রধান উৎসব মধ্যে হলোঃ

• শ্যামা পূজা, শিব চতুর্দশী।
• শুভ দীপাবলি।
• অমাবস্যায় কালী পূজা।
• শ্রীমদ্ভাগবত আলোচনা, ইত্যাদি।