মে আয়িম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মে আয়িম
জন্ম
সিলভিয়া এন্ডলার

৩ মে, ১৯৬০
হামবুর্গ, জার্মানি
মৃত্যু৯ আগস্ট, ১৯৯৬ (বয়স ৩৬)
বার্লিন , জার্মানি
অন্যান্য নামমে অপিৎজ
পেশাকবি, লেখক, শিক্ষাবিদ, কর্মী

মে আয়িম (৩ মে ১৯৬০, হামবুর্গ- ৯ আগস্ট ১৯৯৬, বার্লিন) সিলভিয়া এন্ডলার বা মে অপিৎজ এর ছদ্মনাম। তিনি একজন আফ্রো-জার্মান কবি, শিক্ষাবিদ এবং কর্মী। তার মা জার্মান এবং পিতা ঘানার মেডিকেল শিক্ষার্থী। তিনি ছোট থাকতেই এক জার্মান শ্বেত পরিবার তাকে দত্তক নেন। ১৯৯২ সালে তিনি ঘানায় তার পিতা ও পরিবারের সাথে পূনর্মিলনীর সুযোগ পান এবং এরপর তার আসল পারিবারিক পদবি ছদ্মনাম হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন। 

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯৬০ সালে হামবুর্গে একটি অবিবাহিত দম্পতির ঘরে সিলভিয়া এন্ডলারের জন্ম হয়। তার পিতা একজন ঘানার নাগরিক এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী, চেয়েছিলেন তার সন্তানহীন বোন সিলভিয়ার দেখাশোনা করুক। কিন্তু জার্মান আইন অবিবাহিত দম্পতির শিশুদের অধিকার তাদের জন্মদাতা পিতার হাতে দেয় না। তাই সিলভিয়ার মা তার দত্তকের ব্যবস্থা করেন। 

শিশু কেয়ার সেন্টারে একটা লবা সময় থাকার পর এক জার্মান দম্পতি তাকে দত্তক নেন। তারা এন্ডলারের নাম মে অপিৎজ দেন। তিনি ওয়েস্টফেলিয়াতে বড় হন এবং পরবর্তীতে তার ছেলেবেলা সুখকর ছিল না বলে জানান। তিনি তাকে দত্তক নেয়া পরিবার অনেক কঠোর ছিল এবং তাকে শাসনের উদ্দেশ্যে দৈহিক নির্যাতন চালাতো। এ ব্যাপারে তিনি তার কবিতায় লিখেছেন। [১] তিনি ফ্রিডেন্সকুল থেকে পাস করে মুন্সটারের শিক্ষক ট্রেনিং কলেজে জার্মান ভাষা ও সামাজিক শিক্ষায় ডিগ্রী নেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

কর্ম[সম্পাদনা]

মে অপিৎজ জার্মান ভাষায় রগেন্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আফ্রো-জার্মানদের সংস্কৃতি ও সামাজিক ইতিহাস এবং  সামাজিক পরিবর্তনের উপর গবেষণাপত্র রচনা করেন। এটি আফ্রো-জার্মান ইতিহাসের উপর রচিত প্রথম কোন গবেষণাপত্র। এতে মধ্য যুগ ২০শতকের শুরুর দিকের ইতিহাস ফুটে উঠেছে। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত একটি বইয়ের উপর তিনি এই রচনা করেন। 

১৯৯২ সালে তিনি তার জন্মদাতা পিতা আয়িম এর পদবি গ্রহণ করে সেই নামে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি একজন শিক্ষাবিদ এবং লেখক হিসেবে বেশ কর্মঠ ছিলেন। তিনি একাধিক সম্মেলনে অংশ নেন এবং কবিতার সমগ্র- "সাদা-কালোয় নীল" প্রকাশ করেন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

কৃষ্ণাঙ্গদের ইতিহাস মাসের জন্য একটানা কাজ করার ফলে ১৯৯৬ সালে তিনি দৈহিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ডাক্তাররা তার একাধিক স্কেলেরোসিস চিহ্নিত করে ঔষধ দিলেও, ধারণা করা হয় বিষন্নতায় ভোগার কারণে তিনি নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করতেন না। ১৯৯৬ সালের ৯ই আগস্ট বার্লিনের একটি তেরো তলা দালান থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।[২]

লিগ্যাসি ও মর্যাদা[সম্পাদনা]

  • ১৯৯৭ সালে পরিচালক মারিয়া বিন্ডার মে আয়িমের জীবন নিয়ে একটি প্রামান্যচিত্র (আমার হৃদয়ের আশাঃ মে আয়িমের গল্প) নির্মান করেন। [৩]
  • ২০০৪ সালে মে আয়িমের নামে একটি পদকের নামকরণ করা হয়। এটি প্রথম কোন কৃষ্ণাঙ্গ জার্মান আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার।
  • ২০১১ সালে, বার্লিন ক্রয়েজবুর্গের একটি রাস্তা মে-আয়িম-উফের নামকরণ করা হয়। যা আগে একজন জার্মান কলোনিস্টের নামে ছিল। 2[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Margaret MacCarroll, May Ayim: A Woman in the Margin of German Society, thesis, Florida State University Libraries, 2005, p. 3.
  2. Ayim, May (২০০৭)। "The Year 1990: Homeland and Unity From an Afro-German Perspective"। Göktürk, Deniz; Gramling, David; Kaes, Anton। Germany in Transit: Nation and Migration, 1955-2005। Weimar and Now: German Cultural Criticism। 40। University of California Press। পৃষ্ঠা 126। আইএসবিএন 978-0-520-24894-6 
  3. "Hope in My Heart: The May Ayim Story", Third World Newsreel, accessed 14 January 2015.
  4. Marion Gerlind, "May Ayim’s Legacy in World Language Study" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে, FLANC Newsletter, Spring 2012 (published by Foreign Language Association of Northern California Conference), accessed 14 January 2015.