বিষয়বস্তুতে চলুন

মুন্নি বেগম (পাকিস্তানি কণ্ঠশিল্পী)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুন্নি বেগম
منی بیگم
প্রাথমিক তথ্য
জন্মনামনাদিরা বেগম
জন্ম১৯৪৬ (বয়স ৭৭–৭৮)[১]
মুর্শিদাবাদ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি
ব্রিটিশ ভারত[১]
উদ্ভবপাকিস্তান
ধরনগজল
পেশাগজল গায়িকা
কার্যকাল১৯৭৬-বর্তমান

নাদিরা বেগম (উর্দু: نادرہ بیگم‎‎), তার ছদ্মনাম উপাধি, মুন্নি বেগম (উর্দু: مُنّی بیگم‎‎) দ্বারা অধিক পরিচিত একজন পাকিস্তানি কণ্ঠশিল্পী এবং গজল গায়িকা।[২][৩][১]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

মুন্নি বেগম ১৯৪৬ সালে মুর্শিদাবাদে (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে) জন্মগ্রহণ করেন।[১] পরিবারের সাত সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান তিনি। তিনি প্রথমে বিখ্যাত গায়ক ওস্তাদ খাজা গোলাম মুস্তফা ওয়ারসির কাছে গানের তালিম নিতে শুরু করেন। এই সংগীত শিক্ষকই তার ছোট আকার এবং অল্প বয়সের কারণে তাকে এই পেশাদার নাম দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি তিন বছর সঙ্গীত বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং তারপরে, তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন।[১]

তার বাবা-মা ১৯৫০ এর দশকের দিকে ভারত থেকে পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। পূর্ব পাকিস্তান পরে স্বাধীন বাংলাদেশ হয়। তিনি পিএএফ শাহীন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।[৪] তবে, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কারণে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে চলে আসেন।[৫]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মুন্নি বেগম ১৯৭০-এর দশকে পাকিস্তানের করাচিতে গায়িকা হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে তার প্রথম গজল অ্যালবাম প্রকাশ করেন [৫] তারপরে তিনি আরও অনেক হিট গজল গেয়েছিলেন এবং এইভাবে পাকিস্তানের একজন বিখ্যাত গজল গায়িকা হয়ে ওঠেন।[৬] তার সংবাদ মিডিয়া সাক্ষাত্কারে, তিনি সর্বদা দ্রুত বুদ্ধিমান এবং সাহসী ছিলেন। উর্দু ভাষা তার মাতৃভাষা না হলেও সহজ ভাষায় গজল বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ প্রতিভা দেখিয়েছিলেন। এটি খুব কার্যকর ছিলো এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তার জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে। তার জনপ্রিয়তার অন্যান্য কারণ ছিল তার স্বচ্ছতা এবং শক্তি দ্বারা চিহ্নিত একটি কণ্ঠস্বর ছিলো।[৫] ১৯৮০-এর দশকে, মুন্নি বেগমের উত্থান তৎকালীন একটি নতুন প্রযুক্তি, ক্যাসেট টেপের দ্রুত বিকাশের সাথে মিলে যায়। ভিনাইল রেকর্ডের পুরানো প্রযুক্তির তুলনায় ক্যাসেট টেপের দাম সস্তা ছিলো। তার উপরে, মুন্নি বেগমের অনেক শেড সমৃদ্ধ কণ্ঠ ছিলো। তিনি একজন ভালো হারমোনিয়াম বাদকও ছিলেন। [৫]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

মুন্নি বেগম ১৯৮০-এর দশকে বিয়ে করেছিলেন যার ফলস্বরূপ ১৯৯৮ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তার দুই মেয়ে মুনিবা হাসনাইন ও মিনারা উমর এবং এক ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ আসাদ আলী। ২০১৬ সাল পর্যন্ত, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে থাকেন এবং নিয়মিত অনুষ্ঠান করেন না আর।[৫]

উল্লেখযোগ্য গজল[সম্পাদনা]

মুন্নি বেগমের জনপ্রিয় গজলের তালিকা অনেক লম্বা। এর মধ্যে কয়েকটি হলো:

  • লাজ্জাত-ই-ঘুম বাধা দিজে[৫][৩]
  • ঝুম বড়বার ঝুম শরাবী[৫]
  • হার কদম জেহমাতিন
  • তুমহারে শেহের কা মৌসম বড় সুহানা লাগে (কবি রচিত: কায়সারুল জাফরি )
  • এক বার মুশকুরা দো [৭][৩]
  • আওয়ারগি মে হাদ সে গুজার জানা চাহিয়ে [৫]
  • চাহাত মানে কি দুনিয়া দারি, ইশক মানে ক্যাসি মজবুরি
  • বেওয়াফা সে ভি পেয়ার হোতা হ্যায়
  • দিল কো হালে করর মে দেখা
  • কিসি ক্যা গম মে ওয়াকার খোনা
  • ইধার জিন্দেগি কা জানাজা উঠে গা (কবির কথা: তাবিশ দেহলভি)[৫] [২]
  • ভুঝি হোই শামা কা ধুয়ান হুন
  • মারিজ-ই-মোহাব্বাত উনহি কা ফাসানা[৩]
  • লা পিলাদে সাকিয়া[৫] [২]
  • ইয়ে হ্যায় মাইকাদাহ ইয়াহান রিন্দ হ্যায়[২]
  • জো ফরেব মে নে খায়া তুঝে রাজদান সমাজ কর
  • অ্যায় ইশক হামেন ইতনা তো বাতা আনজাম হামারা কিয়া হো গা
  • দিল কি বাত লাবন পার লা কার আব তাক হাম দুঃখ সেহতে হেন
  • হাম নে হাসরাত কে দাগ আনসুঁ সে ধো মিথ্যে
  • মেরে সাকিয়া মুঝে ভুল জা
  • কাব মেরা নশেমান আহলে ছামান
  • অ্যায় মেরে হামনাশিন চল কহিন আর চল
  • আসমান সে উতর গিয়া
  • হামি চরাগ কি লাও হেইন
  • প্যায়ার কি মুন মে জোটে জাগায় আইক জামানা বিট গিয়া
  • ইয়ে সিলা মিলা সে মুজ কো তেরি দোস্তি কে পিছে
  • মে নজর সে পি রাহা হুঁ ইয়ে সামা বাদল না যায়
  • তুম পড়ো অউর মে না বাতাওঁ আইসে তু হালত নাহিন
  • জোশ দরিয়া মে থা কিস কদর আলামন
  • তেরি আঞ্জুমানে জালিম আজব এহতামাম দেখা
  • শরব লা শরব লা
  • দেখ কর দার-ও-কাহবা কি রঙিনিয়ান

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sheikh, M. A. (২৬ এপ্রিল ২০১২)। Who's Who: Music in Pakistan (page 181)। Xlibris Corporation। আইএসবিএন 978-1-4691-9159-1। ১৮ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২০ 
  2. "Hit Songs of Munni Begum"Pakistan Television Corporation website। ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২০ 
  3. "Munni Begum puts on enthralling performance at Rawalpindi Arts Council (RAC)"Dawn (newspaper)। ২৩ এপ্রিল ২০১৬। ১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২০ 
  4. "OP-ED: The legacy of Sheikh Kamal"Dhaka Tribune। ২০২০-০৮-১৫। ২৩ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৯ 
  5. Nate Rabe (১৯ জুলাই ২০১৫)। "Munni Begum, the Bengali refugee who won over Pakistan with her Urdu ghazals"। ১৮ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২০ 
  6. "Melodious treat: Munni Begum's ghazals captivate audience"The Express Tribune (newspaper)। ২৮ মে ২০১৫। ১৮ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৬ 
  7. "World Music Day: Food for the soul"Dawn (newspaper)। ২১ জুন ২০০৯। ১৮ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২০