মিগুয়েলিনা অ্যাকোস্টা কর্ডেনাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মিগুয়েলিনা অ্যাকোস্টা কর্ডেনাস
১৯২০ সালে অ্যাকোস্টা কর্ডেনাস
জন্ম
মিগুয়েলিনা অরোরা অ্যাকোস্টা কর্ডেনাস

(১৮৮৭-১১-২৩)২৩ নভেম্বর ১৮৮৭
মৃত্যু২৬ অক্টোবর ১৯৩৩(1933-10-26) (বয়স ৪৫)
লিমা, পেরু
মাতৃশিক্ষায়তনসান মার্কোস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাআইনজীবী, anarcho-feminist, আনারকো-সিন্ডিকালিস্ট

মিগুয়েলিনা অ্যাকোস্টা কর্ডেনাস (২৩ নভেম্বর ১৮৮৭ - ২৬ অক্টোবর ১৯৩৩) একজন পেরুভীয় নারীবাদী, আনারকো-সিন্ডিকালিস্ট কর্মী, শিক্ষক এবং আইনজীবী ছিলেন, যিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় নারীর অধিকার, আমাজনীয় জনগণ এবং শ্রমিক শ্রেণীর জন্য লড়াইয়ে উৎসর্গ করেছিলেন[১] তিনি প্রথম পেরুভিয়ান মহিলা যিনি পেরুতে আইনে স্নাতক হয়েছেন[১] এবং পেরুর প্রথম নারী বিচার আইনজীবী হিসেবে বিবেচিত হন।[২]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

মিগুয়েলিনা অ্যাকোস্টা কর্ডেনাস ২৩ নভেম্বর ১৮৮৭ সালে লরেটো এর ইউরিমাগুয়াস এ জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পরিবারের লোরেটোতে একটি রাবার বাগান ছিল।[৪] যখন তার বয়স ১২ থেকে ১৬ বছর ছিল, তখন সে তার মায়ের সাথে ইউরোপে গিয়েছিল সেখানে পড়াশোনা করার জন্য।[৩] এই সময়ে, তিনি ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড এবং জার্মানিতে পড়াশোনা করেছিলেন।[৫] ইউরোপে অ্যাকোস্টা কর্ডেনাস এমন একটি পরিবেশে পরিবেষ্টিত ছিলেন যা তার প্রগতিশীল ধারনাকে উৎসাহিত করেছিল।[৬] যখন তিনি পেরুতে ফিরে আসেন, অ্যাকোস্টা কর্ডেনাস ইয়ুরিমাগুয়াসে তরুণীদের জন্য একটি স্কুল (কোলেজিও ডি সেওরিটাস) প্রতিষ্ঠা করেন, যা ছিল পেরুতে প্রথম প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র।[৬] এই সময়ের মধ্যে সিন্থেটিক বিকল্প আবিষ্কারের কারণে রাবার আহরণের যুগ শেষ হয়ে গিয়েছিল।[৭]


কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯১৪ সালে, তিনি পেরুভীয় মহিলা আন্দোলনে অবদান রাখতে শুরু করেছিলেন। অ্যাকোস্টা কর্ডেনাস নারীবাদী সংগঠন 'ইভোলুচিওন ফেমেনিনা' এর পরিচালনা পর্ষদের অংশ হিসেবে নির্বাচিত হন, যা মারিয়া জেসাস আলভারাডো রিভেরা একই বছর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[৭] এই সংস্থার মাধ্যমে তিনি মহিলাদের জন্য উন্নত শিক্ষার সুযোগের পাশাপাশি পুরুষদের মতো একই নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের দাবি করেছিলেন।[৭]

তিনি একজন নারীবাদী সমিতি ইভোলুচিওন ফেমেনিনা এর সচিব ছিলেন, তিনি লা লিগা অগ্রারিয়া এবং এর অধিভুক্ত এল বাজার ন্যাশনাল এর মহিলা বিভাগেও অংশ নিয়েছিলেন এবং লেবার ফেমিনিস্ট সোসাইটির সম্মানিত সদস্য ছিলেন।[৮] তিনি গঞ্জালেজ প্রাদা পপুলার ইউনিভার্সিটিতেও একজন শিক্ষক ছিলেন এবং ১৯২০ সালে 'এল ওব্রেও টেক্সটাইল' এবং 'অমাউটা' তে সহযোগিতা করেছিলেন।[১]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৩৩ সালের ২৬ই অক্টোবর, মাত্র ৪৫ বছর বয়সে অ্যাকোস্টা কর্ডেনাস মৃত্যুবরন করেন। একটি খারাপ দাঁত উত্তোলনের পরে সংক্রমণের কারণে লিমাতে তার মৃত্যু ঘটে।[৯] তাকে বাক্যজানো অয়াই ক্যারিলো দেল ক্যালাও কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Vargas Sifuentes, José (২ মার্চ ২০১৯)। "La primera abogada peruana"elperuano.pe (স্পেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২১ 
  2. "Miguelina Acosta Cárdenas, la primera abogada "litigante" del Perú"LP (স্পেনীয় ভাষায়)। ৮ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২১ 
  3. Lizama, Natalia (২১ এপ্রিল ২০২১)। "Miguelina Acosta | Derecho | San Marcos | Arte | Luces | Bicentenario | Perú | La abogada de las mujeres peruanas del siglo XX | nczg | LUCES"El Comercio Perú (স্পেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২১ 
  4. Hernández, Publicado por Hortensia। "Miguelina Acosta Cárdenas anarquista, abogada, feminista y educadora"। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২১ 
  5. "Biography of Miguelina Acosta Cárdenas (¿-1938)"thebiography.us (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২১ 
  6. "MiguelinaAcosta – 21 intelectuales peruanos del siglo XX" (স্পেনীয় ভাষায়)। ২০ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২১ 
  7. "Acosta Cárdenas, Miguelina (¿-1938). » MCNBiografias.com"www.mcnbiografias.com। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২১ 
  8. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :5 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  9. Vargas, X. (২৮ এপ্রিল ২০২১)। "Miguelina Acosta Cárdenas: La primera abogada litigante del Perú"Diario la Region। ৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২১