মালদ্বীপে পতিতাবৃত্তি

মালদ্বীপে পতিতাবৃত্তি অবৈধ, তবে ছোট আকারে ঘটে। মালদ্বীপের মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিএম) এর ২০১৪ সালের একটি সমীক্ষায় অনুমান করেছে যে দ্বীপগুলিতে ১,১৩৯ জন মহিলা পতিতা ছিল৷ কিছু নারী পর্যটক হিসেবে দেশে প্রবেশ করে কিন্তু তারপর যৌন কাজে লিপ্ত হয়।

যৌন পাচার এবং শিশু পতিতাবৃত্তি দেশের সমস্যা।

শিশু পতিতাবৃত্তি

শিশু পতিতাবৃত্তি দেশে একটি সমস্যা, বিশেষ করে মালে এবং লামু প্রবাল অঞ্চলে। মনোবিজ্ঞানী ডঃ আইশাথ আলী নাজের মতে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি এতই সাধারণ যে এটিকে 'স্বাভাবিক' বলে গণ্য করা হয়। প্রায়ই পতিতাবৃত্তির আয়োজন করা হয় পরিবারের সদস্যদের দ্বারা।

এইচআরসিএম-এর অনুমান দ্বীপের ৮% মহিলা পতিতা কম বয়সী।

যৌন পাচার

মালদ্বীপ হল মহিলাদের জন্য একটি গন্তব্য দেশ, এবং যৌন পাচারের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য একটি উৎস দেশ৷ এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপের অল্প সংখ্যক নারীর পাশাপাশি বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মেয়েরা মালদ্বীপে যৌন পাচারের শিকার হয়। মালদ্বীপের নারীরা শ্রীলঙ্কায় যৌন পাচারের শিকার হতে পারে।

২০১৩ সালে একজন থাই হোটেল মালিক রিপোর্ট করেছিলেন যে মালদ্বীপে থাই নারীদের ভালো চাকরির প্রস্তাব দিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে, কিন্তু আসার পর তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

মানব পাচার প্রতিরোধ আইন যৌন পাচারের কিছুকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করে, কিন্তু সব ধরনের নয়। প্রথমবারের মতো, ২০১৬ সালে, সরকার এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করে। যৌন পাচারের মামলায় তিন বিদেশী নাগরিকের প্রত্যেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

২০১৬ সালের নভেম্বরে, শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যুরো ২ জন পুরুষকে শ্রীলঙ্কার মহিলাদের মালদ্বীপে পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল, যেখানে তারা পতিতালয়ে কাজ করত। এতে শতাধিক নারী জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। মালদ্বীপের এক ব্যক্তিকেও খোঁজা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট অফিস টু মনিটর অ্যান্ড কমব্যাট ট্রাফিকিং ইন পারসনস মালদ্বীপকে 'টায়ার ২' দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে।