মারিলিয়্যান ম্যানসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মারিলিয়্যান ম্যানসন
মারিলিয়্যান ম্যানসনের সরাসরি মঞ্চ পরিবেশনা ফ্লোরেন্সে
মারিলিয়্যান ম্যানসনের সরাসরি মঞ্চ পরিবেশনা ফ্লোরেন্সে
প্রাথমিক তথ্য
উদ্ভবফোর্ট লাউডারডাল, ফ্লোরিডা
ধরনহার্ডরক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেটাল,হেভি মেটাল, গোথ রক
কার্যকাল১৯৮৯-বর্তমান
লেবেলCooking Vinyl (সাম্প্রতিক),[১][২] নাথিং রেকর্ডস, ইন্টারস্কোপ রেকর্ডস
সদস্যমারিলিয়্যান ম্যানসন
টুইগি রামিরেজ
জিঞ্জার ফিশ
ক্রিস ভরেন্না
এ্যান্ডি গারোল্ড
ওয়েবসাইটOfficialWeb

মারিলিয়্যান ম্যানসন একটি আমেরিকান রক ব্যান্ড যা প্রতিষ্ঠা করেন ব্রায়ান ওয়ার্নার ও স্কট পুটেস্কি ফোর্ট লাউডারডাল শহরে যা ফ্লোরিডায় অবস্থিত। ব্যান্ডটি ১৯৮৯ সালে গঠিত হয় মারিলিয়্যান ম্যানসন ও স্পুকি কিডস নামে। এই ব্যান্ডটিকে নির্দিষ্ট কোন শ্রেণীতে ফেলা মুশকিল। বিভিন্ন অ্যালবামে তাদের লাইন-আপ পরিবর্তিত হয়েছে তাদের গানের ধরনের সাথে। ব্যান্ডটির অভূতপূর্ব থিয়েটারের মতো মঞ্চ পরিবেশনা তাদের স্থানীয় সাফল্য এনে দেয়। পরে তা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের বর্তমান লাইন-আপ হলো বিখ্যাত গায়ক মারিলিয়্যান ম্যানসন, বেজিস্ট টুইগি রামিরেজ, ড্রামার জিঞ্জার ফিশ ও কি-বোর্ডিস্ট ক্রিস ভরেন্না।

মারিলিয়্যান ম্যানসন ব্যান্ডের পরিচিতি এমনভাবে বেড়েছে যে তাদের আধুনিক সঙ্গীতে অন্যতম পরিচিত ব্যান্ড ও বিতর্কিত ব্যান্ড বলা যায়। ব্যান্ডের এহেন অবস্থার কারণ হলো লিড ভোকাল মারিলিয়্যান ম্যানসনের ক্রমাগত ধর্ম বিরোধিতা ও ধর্মীয় নানা গোষ্ঠীর সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়া। তাদের বিরূদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে অশ্লীলতা ও আতকে ওঠার মতো পরিবেশনার জন্য। তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি তাই বারবারই হয়েছে। কিন্তু তাদের অ্যালবামগুলোর মধ্যে ৪টি টপচার্টে এসেছে প্রথম ১০টি গানের মাঝে। তাদের ৩টি অ্যালবাম প্লাটিনাম পুরস্কার পেয়েছে ও আরো ৩টি অ্যালবাম গোল্ড সনদ পেয়েছে। এই ব্যান্ডের নামের প্রথম অংশ এসেছে যৌন আবেদনময়ী অভিনেত্রী ম্যারিলিন মনরো থেকে ও শেষের অংশ এসেছে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার চার্লস ম্যানসনের কাছ থেকে।[৩][৪] মূলধারায় তাদের সাফল্য তাদেরকে উচ্চ মর্যাদায় আসীন করেছে। ২০০৩ সালের জুনে এমটিভির জন উইডারহর্নের মতে তারা আজকের সময়ের সবচেয়ে প্রকৃত শিল্পী।[৫] ভিএইচ ওয়ানের মতে তারা মারিলিয়্যান ম্যানসনের স্থান ১০০ গ্রেটেস্ট হার্ডরক শিল্পীদের মধ্যে ৭৮তম স্থানে।[৬]

ব্যান্ড ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৮৯ সালে ব্রায়ান ওয়ার্নার একজন ছাত্র ছিলেন সাংবাদিকতার। এসূত্রে তিনি নানা মিউজিশিয়ানের সাহচর্যে আসেন যাদের সাথে পরে তাকে তুলনা করা হয়। তিনি তখন নাইন ইঞ্চি নেইল ও মাই লাইফ উইথ থ্রিল কিল কাল্ট ব্যান্ডের সংস্পর্শে আসেন। ব্যান্ড গঠনের পর ডিজে স্কট ডেভিড তাদের ডেমো গুলো রেডিওতে বাজিয়ে তাদের জনপ্রিয় করে তোলেন। তাদের অদ্ভুত মঞ্চ পরিবেশনা তাদের বিখ্যাত করে তোলে। এমন চিত্রও বাদ ছিল না মঞ্চে ক্রুশ বিদ্ধ নগ্ন মহিলা, বাচ্চা একটি খাচায় ও পশুর কাটা রক্তাক্ত অংশ মঞ্চে। তারা মঞ্চে অদ্ভুত ধরনের মহিলাদের পোশাক পরে আসতেন।

ম্যাডোনা ওয়েন গেসি ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত কি-বোর্ডিস্ট ছিলেন

১৯৯৩ সালে তারা দ্যা ম্যানসন ফ্যামিলি এ্যালবাম নামের অ্যালবাম বের করেন নাথিং রেকর্ডস থেকে।১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে তারা সফরে বের হয়। এসময় জ্যাক অব জিল ব্যান্ড তাদের সঙ্গী হয়। ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিল শহরের ক্রিস্টান জোট তাদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত বয়স্কদের বিনোদনের আইন ভাঙ্গার অপরাধে অভিযোগ আনে। সেসময় জ্যাকসনভিলের ক্লাব ৫ নামক স্থানে তারা এ কাণ্ড করে এবং জ্যাক অব জিলের যেসিকা ইন্দিয়সুখে ব্যস্ত ছিল। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।[৭] এর কিছু দিন পরে ম্যারিলিয়ান ম্যানসন চার্চ অব সাটান-এর প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর আন্তন লাভেয়ের সাথে একটি আন্তরিক বৈঠকে মিলিত হন। ডক্টর আন্তন তাকে ভক্তিভাজন উপাধিতে ভূষিত করেন। এর মানে তিনি চার্চ অব সাটানের একজন ভক্তি পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি।

বিতর্ক[সম্পাদনা]

কলম্বিয়া হাই স্কুল ম্যাসাকারের ২ জন খুনী মারিলিয়ান ম্যানসনের ভক্ত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। অনেকে তখন গণমাধ্যমের সমালোচনা করে বলেন যে তারা আসল সামাজিক সমস্যার সমাধান না করে উলটো একটা ব্যান্ডের গানের কথাকে দোষরোপ করছে।[৮] মাইকেল মুরের বিতর্কিত প্রামান্যচিত্র বোলিং ফর কলম্বিয়াতে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে মারিলিয়্যান ম্যানসন বলেন যেঃ” আমি এটা নিয়ে একটা কথাও বলতে চাই না। আমি শুনতে চাই যা তাদের বলা উচিত যা আগে কেউ কখনো বলেনি।“[৯]

বর্তমান সদস্য[সম্পাদনা]

  • মারিলিয়্যান ম্যানসন
  • টুইগি রামিরেজ
  • জিঞ্জার ফিশ
  • ক্রিস ভরেন্না

ডিস্কোগ্রাফি[সম্পাদনা]

  • পোর্ট্রেট অব আ আমেরিকান ফ্যামিলি (১৯৯৪)
  • স্মেলস লাইক চিল্ড্রেন (১৯৯৫)
  • অ্যান্টি ক্রাইস্ট সুপারস্টার (১৯৯৬)
  • মেকানিক্যাল এনিমেলস (১৯৯৮)
  • দ্যা লাস্ট ট্যুর অন আর্থ (১৯৯৯)
  • হলি উড (২০০০)
  • দ্যা গোল্ডেন এইজ অব গোটেস্ক (২০০৩)
  • ইট মি, ডিঙ্ক মি (২০০৭)
  • দ্যা হাই এ্যান্ড অব লো (২০০৯)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Paine, Andre (২০১০-১১-০৮)। "Marilyn Manson: Antichrist Indie Star"। ABCNews। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৮ 
  2. "MARILYN MANSON Signs With COOKING VINYL RECORDS"। Blabbermouth.net। ২০১০-১১-০৭। ২০১০-১১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৮ 
  3. Manson, Marilyn (১৯৯৮)। The Long Hard Road out of Hell। HarperCollins। পৃষ্ঠা 85–87। আইএসবিএন 0-06-098746-4 
  4. "Biography for Marilyn Manson"Internet Movie Database। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-১২ 
  5. http://www.mtv.com/bands/m/manson_marilyn/news_feature_060603
  6. VH1: 100 Greatest Hard Rock
  7. Baker, Greg. " Miami New Times, January 05, 1995
  8. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১০ 
  9. http://www.imdb.com/title/tt0310793/quotes

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]