বিষয়বস্তুতে চলুন

মধু বসু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মধু বসু (১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯০০—২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯) একজন বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব। মধু বসুর আসল নাম ছিল সুকুমার বসু। তাঁর বাবা প্রমথনাথ বসু ছিলেন একজন বিখ্যাত ভূতত্ত্ববিদ। মাতা ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক ও সিভিলিয়ান রমেশচন্দ্র দত্তের কন্যা কমলা বসু। মধু বসু শান্তিনিকেতন এবং বিদ্যাসাগর কলেজে পড়াশোনা করেন।

অভিনয় জীবন

[সম্পাদনা]

বিএসসি পাস করার পর তিনি ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন । তিনি কিছু শিক্ষিত যুবক যুবতীদের সাথে নিয়ে ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে ক্যালকাটা আর্ট প্লেয়ার্স নামে নাটকের সংস্থা গঠন করেন । তিনি এই সময় দালিয়া, আলিবাবা, বিদ্যুৎপর্ণা, ঘরে বাইরে প্রভৃতি নাটকে অভিনয় করেন । ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বিদেশে গিয়ে ক্যামেরার কাজ শেখেন এবং কিছুদিন অ্যালফ্রেড হিচককের সাথে কাজ করার পর দেশে ফিরে আসেন । তিনি রবীন্দ্রনাথের কাহিনী অবলম্বনে গিরিবালা নামের একটি নির্বাক চলচ্চিত্র তৈরি করেন । তিনি আলিবাবা ছবি করার পর পরিচালক হিসেবে জনপ্রিয় হন এবং প্রতিষ্ঠা পান । এই চলচ্চিত্রে দুটি প্রধান ভূমিকায় তিনি এবং তার নৃত্যশিল্পী স্ত্রী সাধনা বসু অভিনয় করেন ।

মধু বসু বিভিন্ন ভাষায় প্রায় ৩০টি ছবি পরিচালনা করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সেলিমা(উর্দু), মাইকেল মধুসূদন, শেষের কবিতা, মহাকবি গিরিশচন্দ্র ইত্যাদি। তাঁর পরিচালিত শেষ ছবি বীরেশ্বর বিবেকানন্দ মুক্তি পায় ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে । এই অভিনেতা পরিচালক, অনেক বিখ্যাত বাঙালি ব্যক্তিত্বদের জীবনকে ছবিতে রূপান্তর করেন। যা বাংলার দর্শক এর আগে খুব একটা দেখতে পাননি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  • বিশেষ সংখ্যা, আনন্দলোক, ডিসেম্বর ২০১৩ (আনন্দবাজার পত্রিকা প্রকাশন) শতবর্ষে ভারতীয় সিনেমা,পৃ:১৫৩