মধু ত্রেহান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মধু ত্রেহান
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনওয়েলহাম গার্লস স্কুল
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ ইয়র্ক
পেশাসাংবাদিক, কলাম লেখক, লেখক
পরিচিতির কারণপ্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, ইন্ডিয়া টুডে (১৯৭৫)
উল্লেখযোগ্য কর্ম
তেহেলকা অ্যাজ মেটাফর(২০০৯)
দাম্পত্য সঙ্গীনরেশ ত্রেহান
আত্মীয়অরুণ পুরি (ভাই), মন্দিরা পুরি (বোন)

মধু পুরি ত্রেহান (জন্ম ১৯৪০) হলেন একজন ভারতীয় সাংবাদিক। তিনি নিউজলণ্ড্রি নামে একটি ডিজিটাল মিডিয়া পোর্টালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান সম্পাদক ছিলেন।[১][২]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

মধু ত্রেহান ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেরাদুনের ওয়েলহাম গার্লস স্কুলে অধ্যয়ন করেন, ১৯৬২ সালে স্নাতক হন।[৩][৪] ১৯৬৮ সালে, তিনি সাংবাদিকতার ফটোগ্রাফি অধ্যয়নের জন্য লন্ডনের হ্যারো টেকনিক্যাল কলেজ অ্যাণ্ড স্কুল অফ আর্টসে যান।[৫] তিনি ১৯৭২ সালে নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৬] নিউইয়র্ক সিটিতে থাকাকালীন, তিনি জাতিসংঘে তাদের প্রেস বিভাগে কাজ করেছিলেন এবং ইণ্ডিয়া অ্যাব্রড নামে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্রের সম্পাদক হিসাবে কাজ করেছিলেন।[৬]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মধু ত্রেহান ১৯৭৫ সালে ভারতে ফিরে আসেন।[৬] এরপর তিনি তাঁর বাবা, থমসন প্রেসের মালিক ভি ভি পুরির সাথে ইন্ডিয়া টুডে সংবাদ পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন এবং কাজ শুরু করেন।[৭][৮] ১৯৭৭ সালে মধু ত্রেহান নিজের গর্ভাবস্থার কারণে পত্রিকার দায়িত্ব নিজের ভাইয়ের হাতে ন্যস্ত করেন এবং পরিবার শুরু করতে নিউইয়র্কে ফিরে আসেন।[৭][৯] এরপর ১৯৮৬ সালে ভারতে ফিরে আসার পর, ত্রেহান ভারতের প্রথম ভিডিও নিউজ ম্যাগাজিন নিউজট্র্যাক তৈরি করেন এবং তার প্রধান সংবাদ পাঠক হন।[১০] এই ভূমিকা তাঁকে একজন অগ্রগামী অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে খ্যাতি এনে দিয়েছিল।[৬]

১৯৯৪ সালের আগস্টে, মধু ত্রেহান ১৯৯৩ সালের বোম্বে বোমা হামলায় অন্যতম দোষী সাব্যস্ত হওয়া ইয়াকুব মেমনের দুর্লভ এবং একমাত্র সাক্ষাৎকার নেন।[১১][১২]

২০০৯ সালে, মধু ত্রেহান তাঁর প্রথম বই প্রকাশ করেন, তেহেলকা অ্যাজ মেটাফর : প্রিজম মি আ লাই, টেল মি এ ট্রুথ, যেখানে ২০০১ সালের অপারেশন ওয়েস্ট এণ্ড-এর মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য এবং তার পরের ঘটনাগুলি নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে।[৯][১৩][১৪]

মধু ত্রেহান আউটলুক ইণ্ডিয়া[১৫] এবং হিন্দুস্তান টাইমসের মতো শীর্ষস্থানীয় সংবাদ পত্রিকা এবং সংবাদপত্রের জন্য লিখেছেন।[১৬]

২০০০ সালে, তিনি ওয়াহ ইণ্ডিয়া শুরু করেন, এটি একটি ওয়েবসাইট এবং মুদ্রিত পত্রিকা। তিনি, অন্য তিন সহকর্মীর সাথে, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিউজলণ্ড্রি নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করেছিলেন, যেটি একটি সমালোচনা মূলক ওয়েবসাইট এবং এর সংস্থান আসত জনগণের কাছ থেকে (ইংরেজি: crowd-sourced)।[১৭]

২০২১ দিল্লি হাইকোর্টের রায়[সম্পাদনা]

২০০১ সালের ২৫শে মে, দিল্লি হাইকোর্ট ৩ – ২ মতে রায় দেয় যে ওয়াহ ইণ্ডিয়ার মধু ত্রেহান এবং অন্য চারজন সাংবাদিক একটি নিবন্ধের জন্য আদালত অবমাননার দায়ে দোষী হয়েছেন। নিবন্ধটিতে সাংবাদিকেরা "বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং গুণাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারকদের গুণমান" প্রকাশ করেছিলেন। নিবন্ধটি তার সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য ৫০ জন অজ্ঞাতনামা বরিষ্ঠ আইনজীবীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। এপ্রিল মাসে, আদালত দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল সংবাদ স্ট্যাণ্ড থেকে আপত্তিকর সংখ্যাটির কপি বাজেয়াপ্ত করার এবং পত্রিকার দিল্লি অফিসে অভিযান চালানোর। আদালত এই মামলার প্রতিবেদনে গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করে রেখেছিল, কিন্তু গণমাধ্যমের প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়ায় ২রা মে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আদালত অবমাননার অভিযোগে ধরা পড়ার তিন দিন পর, মধু ত্রেহান এবং তাঁর সহকর্মীরা বিচারপতিদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং তাঁদের ক্ষমা গৃহীত হয়েছিল।[১৮]

ব্যক্তিগত[সম্পাদনা]

মধু ত্রেহান ভারতীয় হার্ট সার্জন[১৯] নরেশ ত্রেহানকে বিয়ে করেছেন।[২০] ইন্ডিয়া টুডে- এর প্রাক্তন প্রতিষ্ঠাতা-প্রকাশক এবং প্রধান সম্পাদক অরুন পুরি তাঁর ভাই এবং বলিউড অভিনেত্রী কোয়েল পুরি তাঁর ভাইঝি।[২১][২২]

লেখা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sharma, Disha। "Digital media startup Newslaundry gets funding from Omidyar, others" 
  2. Newslaundry। "Newslaundry | Sabki Dhulai"Newslaundry (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১০ 
  3. "Old school skirt – Indian Express"। Archive.indianexpress.com। ২০০৬-০৬-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১২ 
  4. "Dehradun's journey to town of schools, with Miss Oliphant"। The Tribune India। ২০১৯-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১২ 
  5. "Madhu Trehan | Best Selling Indian Authors"। Tehelka as Metaphor। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১২ 
  6. "Jury"। Light of India Awards। ১ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২ 
  7. Bhandare, Namita (২১ মে ২০১১)। "70's: The decade of innocence"Hindustan Times। ১৭ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২ 
  8. Kaminsky, Arnold P.; Long, Roger D. (২০১১)। India Today: An Encyclopedia of Life in the Republic। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 347। আইএসবিএন 978-0313374623 
  9. "Tehelka trail"The Tribune। ২১ এপ্রিল ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২ 
  10. Nanda, Har Parshad (১৯৯২)। The Days of My Years। Viking। পৃষ্ঠা 212। আইএসবিএন 9780670847273 
  11. ""I Came Back to my Motherland": Yakub Memon's Only Interview"। ১৬ জুলাই ২০১৫। 
  12. "1993 Mumbai blasts convict Yakub Memon's exclusive interview" 
  13. Banerjee, Sudeshna (২০০৯)। "When corruption is a daily habit"The Telegraph। ৪ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২ 
  14. Tripathi, Amrita (১৯ জানুয়ারি ২০০৯)। "Madhu Trehan's new book on Operation West-end"IBN। ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২ 
  15. "Madhu Trehan"Outlook India। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২ [অকার্যকর সংযোগ]
  16. Trehan, Madhu (১ মার্চ ২০০৯)। "Who's afraid of Karan Thapar?"Hindustan Times। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২ 
  17. "Author, journalist Madhu Trehan and three other colleagues launch NewsLaundry.com"India Digital Review। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২ 
  18. Venkatesan, V (১৭–২০ জুলাই ২০০১)। "Contempt and Punishment: The Delhi High Court's verdict in the case against wah india and the magazine's response to it raise questions about the way the judiciary deals with contempt of court charges in general" 
  19. "Dr Naresh Trehan profile"। Credihealth। ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৭ 
  20. "Ace of hearts: Dr Naresh Trehan"। Harmony India। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১২ 
  21. Roy, Amit (১৭ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Red Hot"The Telegraph। ২ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  22. "Newstrack – The video magazine that served real issues to news-hungry Indians in DD era"। The Print। ২৩ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]