ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত | |
---|---|
Mosi-oa-Tunya | |
অবস্থান | লিভিংস্টোন, জাম্বিয়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, জিম্বাবুয়ে |
স্থানাঙ্ক | ১৭°৫৫′২৮″ দক্ষিণ ২৫°৫১′২৪″ পূর্ব / ১৭.৯২৪৪৪° দক্ষিণ ২৫.৮৫৬৬৭° পূর্ব |
ধরন | জলপ্রপাত |
মোট উচ্চতা | ৩৫৫ ফু (১০৮ মি) (কেন্দ্রস্থলে) |
ঝরার সংখ্যা | ১ |
জলপ্রবাহ | জাম্বেজি নদী |
গড় প্রবাহের হার | ১০৮৮ m³/s (৩৮,৪৩০ cu ft/s) |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | Mosi-oa-Tunya / Victoria Falls |
ধরন | প্রাকৃতিক |
মানদণ্ড | vii, viii |
মনোনীত | ১৯৮৯ (১৩শ অধিবেশন) |
সূত্র নং | 509 |
রাষ্ট্রীয় সীমারেখা | জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে |
অঞ্চল | আফ্রিকা |
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত মধ্য-দক্ষিণ আফ্রিকার জলপ্রপাত। জিম্বাবুয়ে উত্তর-পশ্চিমাংশে ও জাম্বিয়ার দক্ষিণ-পূর্বদিকে অবস্থিত যৌথ নদী জাম্বেজি থেকে এ জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়েছে। এটি উচ্চতায় ১০৮.৩ মিটার এবং প্রস্থে ১,৭০৩ মিটার। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩৩,০০০ ঘনফুট (৯৩৫ ঘনমিটার) জল পতিত হয়। তবে নিম্ন নদী প্রবাহকালীন সময়ে পূর্বদিকের অংশ প্রায়শঃই শুষ্ক থাকে। নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সাথে তুলনা করলে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত প্রায় দ্বিগুণ প্রশস্ত ও দ্বিগুণ গভীর। ইউনেস্কো ১৯৮৯ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে জলপ্রপাতটিকে উভয় নামেই তালিকাভূক্ত করেছে।[১] জলপ্রপাতের উভয় অংশকে সংযুক্ত করতে ভিক্টোরিয়া ফলস (জাম্বেজি) সেঁতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রেলওয়ে, মোটরগাড়ী চলাচল করে। বর্তমানে এটি বহিঃবিশ্বের পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে। জিম্বাবুয়ের ভিক্টোরিয়া ফলস ন্যাশনাল পার্ক[২][৩] এবং জাম্বিয়ার মোজি-ওয়া-তুনিয়া ন্যাশনাল পার্ক[৪] ব্যাপক এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। আশেপাশের বনে অ্যান্টিলোপ, হাতি, জিরাফ, জেব্রা, সিংহ, চিতা ইত্যাদি প্রাণীর বসবাস। পাহাড়ের চূড়ায় বাজপাখি, ঈগল আবাস গড়েছে।
নামকরণ
[সম্পাদনা]স্থানীয় চিতোঙ্গা আদিবাসীরা একে মোজি-ওয়া-তুনিয়া নামে ডেকে থাকে। এর অর্থ হচ্ছে বজ্রের ধোঁয়া। জলপ্রপাতের আওয়াজ অত্যন্ত গর্জনশীল, তাই এরূপ নামকরণ।[৫] ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী রাণী ভিক্টোরিয়াকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ১৬ নভেম্বর, ১৮৫৫ তারিখে স্কটিশ মিশনারি ও ব্রিটিশ অভিযাত্রী ডেভিড লিভিংস্টোন নিজ নামে পরিচিত লিভিংস্টোন দ্বীপপুঞ্জ থেকে জলপ্রপাতটি দেখে এর নামকরণ করেন।[৬] ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এ জলপ্রপাতের পুনরায় নামকরণ করেছে মোজি-ওয়া-তুনিয়া।[৭]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Mosi-oa-Tunya / Victoria Falls"। World Heritage Site Convention। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-০২।
- ↑ National Parks and Nature Reserves of Zimbabwe, World Institute for Conservation and Environment ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে.
- ↑ "Medium Term Plan (MTP): January 2010 – December 2015" (পিডিএফ)। Government of Zimbabwe। ২০১৩-১০-২৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৫।
- ↑ National Parks and Nature Reserves of Zambia, World Institute for Conservation and Environment ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে.
- ↑ "Victoria Falls"। World Digital Library। ১৮৯০–১৯২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-০১।
- ↑ Livingstone Tourism Association
- ↑ Shoko, Janet (১৭ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Zimbabwe to rename Victoria Falls in anti-colonial name bid"। The Africa Report। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- A useful list of further reading is included on the UNEP-WCMC website's page for Mosi-oa-Tunya.
- NASA Earth Observatory page ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ অক্টোবর ২০০৩ তারিখে
- Entry on UNESCO World Heritage site
- TIME magazine article about tourism in the area ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ আগস্ট ২০১৩ তারিখে