ভারতের মৌলিক অধিকার
ভারতের সংবিধান |
---|
ধারাবাহিকতার ভাগ |
প্রস্তাবনা |
ভারতের মৌলিক অধিকার ভারতের প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য, সবরকম অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের অবসান ঘটানো। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় সমতার আদর্শ ঘোষিত হয়েছে। প্রস্তাবনায় সমমর্যাদা ও সমান সুযোগের নীতি স্বীকৃতি পেয়েছে। এই অধিকার অনুযায়ী ভারতের রাজ্যক্ষেত্রের মধ্যে কোন ব্যক্তিকে আইনের দৃষ্টিতে সমতা অথবা আইনের দ্বারা সমানভাবে সংরক্ষিত হবার অধিকার অস্বীকার করবে না।
নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগে সর্বজনের সুযোগ থাকবে।
ভারতের সংবিধানে তৃতীয় ভাগের ১২ থেকে ৩৫ অনুচ্ছেদের মধ্যে মৌলিক অধিকার লিপিবদ্ধ রয়েছে। ভারতের মৌলিক অধিকার মোট ৬টি (১৯৭৮ সালে ৪৪ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকার সংবিধানের মৌলিক অধিকারের অংশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এ অধিকার এখন বিধিবদ্ধ অধিকার হিসেবে রয়েছে)।
মৌলিক অধিকারসমূহ
[সম্পাদনা]- সমতার অধিকার (অনুচ্ছেদ ১৪–১৮)
- স্বাধীনতার অধিকার (অনুচ্ছেদ ১৯–২২)
- শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার (অনুচ্ছেদ ২৩–২৪)
- ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার (অনুচ্ছেদ ২৫–২৮)
- কৃষ্টি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার (অনুচ্ছেদ ২৯–৩০)
- সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩২–৩৫)[১]
স্বাধীনতার অধিকারের ভিত্তি হিসেবে ভারতের সংবিধান প্রণেতারা মোট সাতটি অধিকার বর্ণনা করেছিলেন সেগুলি হল;
- কথা বলার স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকার।
- শান্তিপূর্ণ এবং নিরস্ত্রভাবে সমবেত হওয়ার অধিকার।
- সংগঠন কিংবা সংঘ গঠনের অধিকার।
- ভারতের ভূখণ্ডে অবাধে চলাফেরা করার অধিকার।
- ভারতের ভূখণ্ডে যে কোন অংশে বসবাস করার অধিকার।
- সম্পত্তি অর্জন, ভোগ এবং হস্তান্তরের অধিকার।
- যেকোনো বৃত্তি, উপজীবিকা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার অধিকার।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "ভারতের সংবিধান"। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ বই উদ্ধৃতি= মনোরমা ইয়ারবুক | লেখক= | শিরোনাম=মৌলিক অধিকার| প্রকাশক= | আইএসবিএন= | বছর=২০২৩ | পাতা=৪৪৪