ভারতীয় শকুন
ভারতীয় শকুন | |
---|---|
![]() | |
Indian vulture | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
শ্রেণী: | Aves |
বর্গ: | Accipitriformes |
পরিবার: | Accipitridae |
গণ: | Gyps |
প্রজাতি: | G. indicus |
দ্বিপদী নাম | |
Gyps indicus (Scopoli, 1786) | |
প্রতিশব্দ | |
Gyps indicus indicus |
ভারতীয় শকুন (Gyps indicus) বিশ্বের অতি প্রাচীন শকুনের একটি প্রজাতি, যা প্রধানত ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে দেখা যায়। এদের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসায় ২০০২ সালে আইইউসিএন মহাবিপন্ন হিসাবে চিহ্নিত করে এদের আইইউসিএন-এর লাল তালিকাভুক্ত করে। ডাইক্লোফেনাক বিষক্রিয়ায় রেচনজনিত ব্যর্থতার ফলে ভারতীয় শকুনের মৃত্যু ঘটছে।[১]
বিবরণ
[সম্পাদনা]দীর্ঘ চঞ্চুযুক্ত এই শকুনেরা মাঝারি আকারের ও ভারী প্রকৃতির হয়। এদের পালক দ্বারা আবৃত দেহ ধূসর, ফ্যাকাসে ও পালকের শক্ত অংশ গাঢ় বর্ণের হয়ে থাকে। এদের ডানা প্রশস্ত ও লেজ ছোট। এদের মাথা ও গলা পালকহীন ও চঞ্চু অধিকতর লম্বা।[২]
এরা ৮০-১০৩ সেমি (৩১-৪১ ইঞ্চি) লম্বা ও এদের ডানা ১.৯৬-২.৩৮ মি. (৬.৪-৭.৮ ফিট) হয়ে থাকে। এরা গ্রীফন শকুনের চেয়ে ছোট ও হালকা হয়।[৩] হালকা বাদামি রঙের পালকাবৃত দেহ দেখে এদের অন্যান্য প্রজাতিদের থেকে আলাদা করে যায়।
আচরণ
[সম্পাদনা]এরা সাধারণত উচ্চ দুরারোহ পাহাড়ে শাবকের জন্ম দেয়, তবে বিভিন্ন সময়ে এরা রাজস্থানের গাছেও বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এরা অনেকসময় উচ্চ অট্টালিকায়ও (যেমন- চতুর্ভুজ মন্দির, ওড়ছা) শাবকের জন্ম দিয়ে থাকে। অন্যান্য শকুনের মতো এরাও জনহীন প্রান্তে পরে থাকা মৃত প্রাণীর দেহাবশেষ খেয়ে থাকে। এরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়তে থাকে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Gyps indicus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2016-3। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ২০১৬। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "iucn" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ Ferguson-Lees, J. and Christie, D.A. (2001). Raptors of the world. Houghton Mifflin Harcourt. আইএসবিএন ০-৬১৮-১২৭৬২-৩
- ↑ "The Peregrine Fund"। The Peregrine Fund। ২০১০-১১-০৩। ২০১১-০৫-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-৩১।