ভরণী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেষ তারামন্ডলে ভরণীগুচ্ছের ত্রয়ীনির্মিত ত্রিভুজে শুধু একচল্লিশিনীই স্পষ্ট ও চিহ্নিত , পঁয়ত্রিশিনীঊনচল্লিশিনী এখানে অচিহ্নিত তবে মনোযোগী দৃষ্টি দিলে (দর্শকের দিকে তাকিয়ে থাকা) একচল্লিশিনীর বাম ও ঊর্ধ্ব‌স্থিত ক্ষীণদীপ্ত যে ঘিরে থাকা তারামালিকা দেখা যায় এদের মধ্যে নিকটতর দু'টিই ৩৫ ও ৩৯

ভরণী ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে ২৮টি নক্ষত্রের দ্বিতীয় সদস্যা। ভরণী সৈন্ধান্তিক পরিচিতি । প্রাচীন ঋগ্বেদএর ঋষিরা একে ডাকতো 'যম , 'সংযম , 'সংবরন বা 'বিবস্বান নামে । আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে এই নক্ষত্রের প্রধানা একচল্লিশিনী আর তার সঙ্গিনী পঁয়ত্রিশিনীঊনচল্লিশিনী

ঋগ্বেদীয় ঋষিদের ভরণী-চিন্তা[সম্পাদনা]

ঋগ্বেদ-এর ১০ম মন্ডলস্থ ১০ম সূক্তে যমকে ঋষি হিসেবে পাওয়া যায়। এ সূক্তে সহঋষিকা ও সহোদরা যমীর সাথে যম এক-থেকে-বহু মানব/মানবী সৃজনের প্রাথমিক সমস্যা নিয়ে তর্কান্তে সহোদরার সন্তানার্থে সহবাস প্রার্থণা প্রত্যাখ্যান করে। ১০.১৪ সূক্তে যমকে ঋষি ব'লে উল্লেখ করা হলেও প্রধানত সায়ন-এর ব্যাখ্যানুসারী রমেশচন্দ্র দত্ত প্রমুখদের অনুবাদ পাঠে স্পষ্টতই বোঝা যায় যে যম এ সূক্ত-রচয়িতা নয় বরং প্রার্থ্য, অজানা ঋষি জানাচ্ছে যে বিবস্বানপুত্র যমকে হোমদ্রব্য দিয়ে সেব (যেহেতু) সে সৎকর্মীদের (পারলৌকিক) সুখের দেশে নিয়ে যায়, অনেকের পথ পরিষ্কার ক'রে দেয় আর তার কাছেই সকল লোক যায়।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ঋগ্বেদ ১০ম মন্ডল : ১৪শ সূক্ত