ব্যবহারকারী আলাপ:Subrata Mandol Srijon
আলোচনা যোগ করুনবাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম
[সম্পাদনা]সুপ্রিয় Subrata Mandol Srijon! উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
কাজে নেমে পড়বার সহজ উপায় হলো নিচের যে-কোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা:
অনুগ্রহপূর্বক আলাপের পাতায় বার্তা রাখার পর সম্পাদনা সরঞ্জামদণ্ডের আশা করি আপনি বাংলা উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা! বাংলা উইকিপিডিয়া অভ্যর্থনা কমিটি, ১৮:৩৫, ৪ অক্টোবর ২০১৮ (ইউটিসি) |
মানুষ
[সম্পাদনা]আমি ভালোবাসি মানুষকে। তবে মানুষ রূপী পশুকে নয়।
সুব্রত মণ্ডল সৃজন Subrata Mandol Srijon (আলাপ) ১৭:৪৭, ৫ অক্টোবর ২০১৮ (ইউটিসি)
নাম পরিচয়
[সম্পাদনা]আসল নাম : সুব্রত মণ্ডল, সাহিত্যিক নাম : সুব্রত মণ্ডল সৃজন, ছদ্মনাম : সুতীব্র। Subrata Mandol Srijon (আলাপ) ১৭:৫০, ৫ অক্টোবর ২০১৮ (ইউটিসি)
ডাক্তারের কথা রাখতে ! সুব্রত মণ্ডল সৃজন
[সম্পাদনা]ডাক্তারের কথা রাখতে
সুব্রত মণ্ডল সৃজন
শুরুতেই স্বামী বিবেকানন্দ-এর একটি কথা মনে পড়ে যায়,
"অপরকে ভালোবাসা-ই ধর্ম"!
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যখন পড়তাম (২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত)। স্কুলের টিউবওয়েল নষ্ট হলে, জল পান করতে যেতাম পাশের এক বাড়িতে। টিউবওয়েলে আমাদের দেখলেই বাড়িওয়ালা ও বাড়িওয়ালি আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালা-গালি করতো, তখন অত কিছু বুঝতাম না, তাই পিপাসা পেলেই ওই বাড়ি যেতাম। আবারও বলতো--- _ তোগো না নিষেধ করছি, আমাগো বাড়ি আর জল খাইতে আসবি না! আবারো আইছোস! এই বলে দিত ধাওয়া। আর বলতো--- _ ফের আসলে অয়, দেইখ্যা নই আর একবার!..... আমরা দৌড় দিয়ে চলে আসতাম, কিছুই মনে করতাম না, তয় মনের মইধ্যে খানে কষ্ট লাগতো! ভাবতাম, ওই বাড়িই তো কাছে, আর যাবোই বা কোন বাড়ি? পরের দিন চানাচুর, বাদাম ইত্যাদি খেয়ে আবার যেতাম,,,,,,, স্যারেরা টিউবওয়েল ঠিক করে দিত, আবার নষ্ট হয়ে যেত, নষ্ট হলেই আমাদের ঘাটি ওই একটা বাড়ি-ই। এভাবেই কেটে যায় আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জল পানের দিনগুলো। যা আজ আমার স্মৃতিতে ইতিহাস।
আর এখন (২০১৮ সাল) থাকি এক "রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম"-এ। দুই ববছর হলো এখানে আছি। এটাকে বলা হয় স্বামী বিবেকানন্দ ছাত্রাবাস। এখানের কোন এক কক্ষের ছাত্র আমি। পড়া-লেখা অনার্স চতুর্থ বর্ষ (বাংলা)! জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তো, বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার উপরের ঐতিহাসিক দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে, মনের মাঝে ভীষণভাবে নাড়া দিচ্ছে....
এখানকার কয়েকদিন যাবৎ যে ঘটনার সম্মুখিন হতে হয়েছে, তার কিছু ঘটনাঅংশ----
আমাদের (ছাত্রদের) টিউবওয়েল আছে, তবে জল তার সুপেয় নয়। লাল লাল কি যেন জমে থাকে জগ/বোতলের মাঝে, জল পান করতে মনে টানে না। কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের জন্য আলাদা করে সপ্লাই জলের সুব্যবস্থা করেছে। কিন্তু এখানের জলও তেমন সুবিধা মনে হয় না। এই জলের নিচে পড়ে সাদা সাদা গুড়ি গুড়ি কী যেন, জল মুখে দিলে মনে হয় জলটা অনেক গাড়ো, গলা দিয়ে নিচে নামতে চায় না ইত্যাদি।
কিন্তু, কর্তৃপক্ষের ডাইনিংয়ে যে সাপ্লাই জল, তা এক কথায় "সুপেয়"। যা পান করলে দোকান থেকে কেনা জলের অবিকল মনে হয়। এই জলে, কোন তলানি তো পড়েই না, তাছাড়া পান করলে মনে হয়-জল খুবই তরল, সুপেয়, কেনা জলের মতো ইত্যাদি।
এ কথা বলে রাখা ভালো যে, মিশনের এসব উন্নতির জন্য প্রত্যেকের সিটভাড়া ৭০০-এর সাথে আরও ১০০ টাকা করে বাড়িয়েছে। অর্থাৎ, ছাত্রদের টাকায়ই হয়েছে বলে ধারণা করতে পারি।
কিন্তু কেন বললাম এত কথা? যখন কর্তৃপক্ষের ডাইনিংয়ে ১.৫ লিটারের এক বোতল জল আনতে যাই, কর্তৃপক্ষীয় একজন বলে যে, _ এখান থেকে জল নেওয়া যাবে না। বাইরে থেকে নিবে। এখানকার জল মহারাজদের জন্য। আর একজন বলে, _ কী জল নিবি? _হ্যাঁ মহারাজ। _ কোথা থেকে? _ এই ডাইনিং থেকে। _ না, বড় মহারাজের নিষেধ আছে, তোমাদের ফিল্টার দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে নিবে। আগে খাইতে কী জল? কলের জল! তা তো ভালোই খাইতে..... _ আচ্ছা, (বড় একটা নিঃশ্বাস ছাড়লাম) বড় মহারাজ নিষেধ করলে নিবো না, মহারাজ। _ যাও, আজ নিয়ে যাও।
আরও কত কী.........
কী আর করার, আনলাম এক বোতল জল। শেষ হলে আবার যাই বোতল হাতে করে। কর্তৃপক্ষীয় কেউ দেখলে যা বলার বলে, বলুক, কিছুই মনে করি না। প্রাথমিক জীবনে যেতাম জল পেতাম না তাই। আর এখন বারবার যাই, কারণ ডাক্তার বলেছে "সুপেয়" জল পান করতে। নইলে, স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। ডাক্তারের কথা রাখতে তাই, সেই শিশু সুলভ আচরণ পরিস্থিতির শিকার হয়ে এখনো করতে হচ্ছে....
রচনাঃ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ। রাত ১২:০১_০১:১৫ এ.এম স্থান : রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, ফরিদপুর, বাংলাদেশ।! সুব্রত মণ্ডল ১৮:৫৩, ৫ অক্টোবর ২০১৮ (ইউটিসি)
নেশা_সুব্রত মণ্ডল সৃজন
[সম্পাদনা]তোমরা, নেশা করো দোষ নাই তাতে মাদক ধরো না। নেশা করো ভালো কিছুর, মাদকের ফাঁদে পড়ো না।। সুব্রত মণ্ডল ০৩:২১, ১ এপ্রিল ২০১৯ (ইউটিসি)
কবিতা
[সম্পাদনা]https://smandolsbd.wordpress.com/কবিতা-সংকলন-poem-collection/15/ সুব্রত মণ্ডল ১৯:২৭, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (ইউটিসি)