ব্যবহারকারী আলাপ:Mufti Khaled saifullah alhosaini

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নফসের হিসাবনিকাশ কে সহজকারী কাজসমূহ ১। নিজের হিসেব নিজে করা। ২। বুজুর্গদের ঘটনাসমূহ অধ্যয়ন করা। ৩। নেক্কার লোকদের সুহবাত ইখতিয়ার করা। ৪। নিজের নফসের উপর খারাপ ধারণা রাখা। ৫। আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় করা। ৬। ইলম এবং ওয়াজের মজলিসে শরীক হওয়া। ৭। গাফলতের স্থান হতে দূরে থাকা। ৮। কবর জিয়ারত করা। ৯। আল্লাহর নেয়ামত সমূহের কথা স্বরণ করা। ১০। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা। অনুবাদ :

  1. মুফতী_মুহাম্মদ_খালেদ_সাইফুল্লাহ_আল_হুসাইনী

( খুতবাতে জুলফিকার : ৪১/১২৯-১৩১)

محاسبۂ نفس کو آسان بنانے والے اعمال ١- محاسبة النفس  : خود احتسابی ٢- الاطلاع على اخبار السلف في محاسبتهم بأنفسهم : بزرگوں کے واقعات کا مطالعہ ٣- صحبت الأخيار  : نیک لوگوں کی صحبت میں رہنا ٤- سوء الظن بالنفس : اپنے نفس سے سوء ظنی رکھنا ٥- ذكر الحساب الاكبر والسؤال بين يدي الجبار  : اللہ کے حضور میں پیشی کا خوف ہونا ٦- حضور مجلس العلم والوعظ  : علم اور وعظ کی مجالس میں شریک ہونا ٧- البعد عن اماكن اللهو والغفلة : غفلت کے مقامات سے دور رہنا ٨- زيارة القبور : زیارت قبور کرنا ٩- ان تقارن بين نعمة الله عليك وبين افعالك : اللہ کی نعمتوں کو یاد رکھنا ١٠- قيام الليل وقراءة القرآن وحضور القلب : تھجد کی پابندی کرنا ( خطبات ذوالفقار :٤١/١٢٩)

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]

আল-কবীর দারুল উলূম কওমী মাদরাসা[সম্পাদনা]

    • আল-কবীর দারুল উলূম কওমী মাদরাসা
    • স্থাপিত: ১৪৩৬ হিজরী, ১৪২২ বাংলা, ২০১৫ ঈ.
    • প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল : মাওলানা ,আদীব , মুফতী মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ আল-হুসাইনী।
    • পৃষ্ঠপোষকতায় : আলহাজ্ব হারুন অর রশীদ তালুকদার
    • বিভাগ সমূহ : নূরানী , হিফজ ও কিতাব বিভাগ। Mufti Khaled saifullah alhosaini (আলাপ) ০৪:১৬, ১৬ আগস্ট ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

তালিমুল কুরআন দারুল উলূম মহিলা মাদরাসা[সম্পাদনা]

    • তালিমুল কুরআন দারুল উলূম মহিলা মাদরাসা
    • স্থাপিত : ১৪৩৭ হিজরী, ১৪২৩ বাংলা, ২০১৬ ঈ.
    • প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল : মাওলানা, আদীব , মুফতী মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ আল-হুসাইনী।
    • বিভাগ সমূহ : নূরানী ও কিতাব বিভাগ।
    • প্রধান শিক্ষিকা: আলেমা আশফিয়া আখতার
    • অস্থায়ী ঠিকানা : শ্রীনগর , দক্ষিণ পাড়া ২নং প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন, তালিমুল কুরআন দারুল উলূম মহিলা মাদরাসা। Mufti Khaled saifullah alhosaini (আলাপ) ০৪:২৫, ১৬ আগস্ট ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

**খামার বাড়ী[সম্পাদনা]

**মুফতী মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ আল-হুসাইনী**[সম্পাদনা]

    • মুফতী মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ আল-হুসাইনী **প্রিন্সিপাল: আল-কবীর দারুল উলূম কওমী মাদরাসা
    • জন্ম : ১৯৯১ ঈ.
    • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (যেখানে তিনি পড়াশোনা করেছেন): **১। এহইয়াউল উলূম হাফিজিয়া মাদরাসা , (গন্ধ্যর্বপুর, লক্ষ্মীপুর)
    • ২। বশিকপুর কওমী মাদরাসা (বশিকপুর, লক্ষ্মীপুর) **৩। খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা ( মিরপুর ঢাকা)
    • ৪। জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম (মিরপুর ঢাকা) **শিক্ষকতা :
    • ১। ফেনুয়া হুসাইনিয়া মাদরাসা ( উত্তর ফেনুয়া , লাকসাম, কুমিল্লা)
    • ২। জামিয়া ইসলামিয়া বাঘবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা। **৩। শিনিয়র শিক্ষক : মদিনাতুল উলূম আল-ইসলামিয়া কমপ্লেক্স, শ্রীনগর , মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা।
    • ৪। প্রিন্সিপাল: আল-কবীর দারুল উলূম কওমী মাদরাসা, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা।
    • ৫। প্রিন্সিপাল: তালিমুল কুরআন দারুল উলূম মহিলা মাদরাসা , শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ ঢাকা।
    • ৬। খতীব : শ্রীনগর দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ।
    • ৭। প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি: المكتبة الفكرية الاسلامية العالمية বিশ্ব ইসলামী গবেষণা পাঠাগার, গন্ধ্যর্বপুর লক্ষ্মীপুর।
    • ৮। লেখক :
    • জীবনের অমূল্য সম্পদ ১-২
    • ইসরা ও মেরাজ তথ্য ও তত্ত্ব কথা
    • আদইয়াতুল ফাযায়েল
    • জিহাদ ফী সাবি লিল্লাহ
    • তানযীলুল হাকীম লিত্ তুল্লাবিল হুনাফাইল কিয়াম
    • ছোটদের ফারসী ব্যাকরণ
      • উস্তাদ বৃন্দ :
    • ফকীহুন নফস, শাইখুত তাফসীর ও শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী মুহাম্মদ দিলাওয়ার হুসাইন ( দা: বা:)
    • মাজলুম আলেম , খতীবুল উম্মাহ, আল্লামা মুফতী ইমরান মাজহারী (দা: বা:)
      • আল্লামা মুফতী আরমান মাজহারী (দা:বা:)
      • আল্লামা লোকমান মাজহারী (দা:বা:)
      • আল্লামা আব্দুর রব কাসেমী -নদভী (দা:বা:)

ইত্যাদি। Mufti Khaled saifullah alhosaini (আলাপ) ০৭:০৪, ১৯ আগস্ট ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

***ঈদের নামাজ পড়ার পদ্ধতি[সম্পাদনা]

  1. ঈদের নামাযের তরীকা:
======[সম্পাদনা]
  1. ঈদের নামাজের নিয়ম :

°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°° প্রথমে কান বরাবর উভয় হাত তুলবে। তারপর এই ভাবে নিয়ত করবে যে “আমি ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহার দুই রাকা‘আত ওয়াজিব নামায এই ইমামের পিছনে পড়ছি।” অতঃপর তাকবীরে তাহরীমা বলে হাত নাভির নিচে বাঁধবে এবং ছানা “সুবহানাকা…” পুরা পড়বে। তারপর আরো তিন বার তাকবীর বলবে। প্রথম দুইবার হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত ছেড়ে দিবে। এরপর তৃতীয় বার হাত কান পর্যন্ত তুলে আল্লাহু আকবার বলে হাত বেঁধে চুপ করে ইমামের কিরাআত শ্রবণ করবে। এভাবে প্রথম রাকা‘আত আদায়ের পর দ্বিতীয় রাকা‘আতের কিরাআতের পর তিন বার হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে প্রত্যেকবার আল্লাহু আকবার বলে হাত ছেড়ে দিবে। এরপর চতুর্থ বার হাত না তুলে আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাবে এবং অবশিষ্ট নামায অন্যান্য নামাযের ন্যায় সম্পন্ন করবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী-১/১৭২) Mufti Khaled saifullah alhosaini (আলাপ) ০৭:৪২, ১৯ আগস্ট ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

***ঈদের দিনের সুন্নাত সমূহ ***[সম্পাদনা]

      • ঈদের দিনের সুন্নাতসমূহ ***

১. অন্য দিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে উঠা। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৮৫৯, বাইহাকী হাদীস নং-৬১২৬)

২. মিসওয়াক করা। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৮৯)

৩. গোসল করা। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নাম্বার-১৩১৫)

৪. শরী‘আত সম্মত সাজ-সজ্জা করা। (সহীহ বুখারী শরীফ হাদীস নাম্বার-৯৪৮)

৫. সামর্থ অনুযায়ী উত্তম পোষাক পরিধান করা। উল্লেখ্য, সুন্নাত আদায়ের জন্য নতুন পোষাক জরুরী নয়। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৮৯)

৬. সুগন্ধি ব্যবহার করা। (আদ্দুররুল মুখতার-২/১৬৮)

৭. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে মিষ্টি জাতীয় জিনিস, যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া। তবে ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত দ্বারা আহার করা উত্তম।(সহীহ বুখারী হাদীস নং-৯৫৩, আদ্দুররুল মুখতার-২/১৬৮)

৮. সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। (সুনানে আবু দাউদ হাদীস নাম্বার-১১৫৭)

৯. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে সাদাকায়ে ফিতর আদায় করা। (আদ্দুররুল মুখতার-২/১৬৮)

১০. ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা সুন্নাত। বিনা উযরে মসজিদে আদায় করা উচিত নয়। (সহীহ বুখারী হাদীস নাম্বার-৯৫৬)

১১. যে রাস্তায় ঈদগাহে যাবে সম্ভব হলে ফেরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। (সহীহ বুখারী হাদীস নাম্বার-৯৮৬)

১২. পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৯০)

১৩. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার সময় আস্তে আস্তে এই তাকবীর বলতে থাকা (اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ)

তবে ঈদুল আযহাতে যাওয়ার সময় এই তাকবীর উচ্চস্বরে পড়তে থাকবে। (বাইহাকী হাদীস নং-৬১৩০) Mufti Khaled saifullah alhosaini (আলাপ) ০৭:৪৭, ১৯ আগস্ট ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

***ঈদের দিনের মুস্তাহাবসমূহ ***[সম্পাদনা]

      • ঈদের দিনের মুস্তাহাবসমূহ ***


১. সাধ্যানুযায়ী অধিক পরিমাণে দান খয়রাত করা। (আদ্দুররুল মুখতার-২/১৬৯)

২. আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈদ মনে করে আনন্দ এবং খুশি প্রকাশ করা। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৮৯)

৩. নিজ মহল্লার মসজিদে ফজরের নামায আদায় করা। ফজরের নামায জামা‘আতের সাথে সর্বদা আদায় করা অত্যন্ত জরুরী এবং ওয়াজিব। তবে দুই ঈদের ফজরের নামায মহল্লার মসজিদে জামা‘আতের সাথে আদায় করা অতি উত্তম। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৮৯-২৯০) Mufti Khaled saifullah alhosaini (আলাপ) ০৭:৫০, ১৯ আগস্ট ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

***ঈদের প্রয়োজনীয় মাসালাসমূহ ***[সম্পাদনা]

      • ঈদের প্রয়োজনীয় মাসালাসমূহ ***

১. মসজিদের বিছানা, চাটাই, শামিয়ানা ইত্যাদি ঈদগাহে নিয়ে যাওয়া দুরুস্ত। (ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৫৯)

২. যে ব্যক্তি দাড়ি মুন্ডায় অথবা একমুষ্ঠির কম রেখে কর্তন করে তাকে ইমাম বানানো জায়েয নেই। ঈদ এবং অন্যান্য নামাযের ক্ষেত্রে একই হুকুম। ইমামতের বেলায় উত্তরাধিকারীর দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। বরং শরী‘আতের দৃষ্টিতে ইমামতীর যোগ্য হওয়া জরুরী। (আদ্দুররুল মুখতার-২/৫৫৯)

৩. ঈদের নামাযের পূর্বে নিজ ঘরে বা ঈদগাহে ইশরাক ইত্যাদি নফল পড়া নিষিদ্ধ। ঈদের জামা‘আতের পরেও ঈদগাহে নফল নামায পড়া মাকরূহ। হ্যাঁ, ঘরে ফিরে ইশরাক, চাশত নফল পড়তে কোন অসুবিধা নেই। (আদ্দুররুল মুখতার-২/১৬৯)

৪. ঈদের নামাযের সালাম ফিরানোর পর মুনাজাত করা মুস্তাহাব। ঈদের খুতবার পরে মুনাজাত করা মুস্তাহাব নয়। (মুসনাদে আহমদ হাদীস-২২১৮)

৫. শর‘ঈ ওযর ব্যতীত ঈদের নামায মসজিদে আদায় করা সুন্নাতের খেলাফ। (আদ্দুররুল মুখতার)২/১৬৯)

৬. যদি ইমাম অতিরিক্ত তাকবীরসমূহ ভুল বশতঃ না বলে, আর ঈদের জামা‘আত অনেক বড় হয়, তাহলে ফেতনা ফাসাদের আশংকায় সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয় না। সুতরাং সিজদায়ে সাহু করবে না। আর যদি এমন হয় যে উপস্থিত সকলেই সিজদায়ে সাহু সম্পর্কে অবগত হতে পারে তাহলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। (আদ্দুররুল মুখতার-২/৯২)

৭. ঈদের দ্বিতীয় রাকা‘আতের রুকুর তাকবীর ওয়াজিব। যদি কোন ব্যক্তি দ্বিতীয় রাকা‘আতের রুকুতে শরীক হয় তাহলে সে প্রথমে দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বলবে। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় হাত তুলে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলবে। এরপর রুকুর তাকবীর বলে রুকুতে শামিল হবে। (আদ্দুররুল মুখতার-২/১৭৪)

৮. যদি কেউ প্রথম রাকা‘আতে রুকুর পূর্বে জামা‘আতে শরীক হয় এবং তাকবীরে তাহরীমার পর দাঁড়ানো অবস্থায় হাত তুলে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলার সুযোগ না পায় তাহলে রুকুতে গিয় অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলবে। তবে সে ক্ষেত্রে কান পর্যন্ত হাত উঠাবে না। (আদ্দররুল মুখতার-১/২৭৪)

৯. যদি প্রথম রাকা‘আত ছুটে যায় তাহলে ইমামের সালামের পর দাঁড়িয়ে প্রথমে, সূরা, কিরাআত পড়বে। অতঃপর রুকুর পূর্বে তিন বার হাত তুলে তিন তাকবীর দিবে। তারপর রুকুর তাকবীর বলে রুকু সিজদা করে যথা নিয়মে নামায সম্পন্ন করবে। (রুদ্দুল মুহতার-২/১৭৪)

১০. ঈদের ময়দানে জানাযার নামায পড়া জায়েয। প্রথম ঈদের নামায অতঃপর জানাযার নামায এরপর খুতবা হবে। (রদ্দুল মুহতার-৪/৩৫৬)

১১. বর্তমানে খতীব সাহেবগণ ঈদের খুতবার শুরুতে ও মাঝে মাঝে যে তাকবীরে তাশরীফ বলে থাকেন নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহে তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং এ ব্যাপারে সঠিক মাসআলা হলো, প্রথম খুতবার শুরুতে নয় বার, দ্বিতীয় খুতবার শুরুতে সাত বার এবং দ্বিতীয় খুতবার শেষে মিম্বার থেকে নামার পূর্বে চৌদ্দ বার শুধু “আল্লাহু আকবার” বলবে। এটাই মুস্তাহাব। খুতবার সময় বা খুতবার মাঝে তাকবীরে তাশরীক বলবে না। হ্যাঁ, ঈদের নামায শেষে সালাম ফিরিয়ে তাকবীরে তাশরীক একবার বলবে। (আদ্দুররুল মুখতার-২/১৭৫)

১২. নামাযের পর ঈদের দুই খুতবা শ্রবণ করা ওয়াজিব। যদি খুতবা শোনা না যায়, তাহলে চুপচাপ বসে থাকবে। অনেক লোক সালামের পর খুতবা না শুনেই চলে যায়। যা সুন্নাতের খেলাফ। (আদ্দুররুল মুখতার-২/১৫৯)

১৩. খুতবার মধ্যে মুসল্লীদের কথা বার্তা বলা নিষেধ। এমন কি নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম উচ্চারিত হলে মুখে দরূদ পড়া নিষেধ। তবে অন্তরে পড়তে পারবে। তেমনিভাবে খুতবার মধ্যে দান বাক্স বা রুমাল চালানোও নিষেধ এবং গুনাহের কাজ। (মুসনাদে আহমদ হাদীস নং-১০১৪০, আদ্দররুল মুখতার-২/১৫৯)

১৪. উভয় খুতবা শেষ হলে ঈদের নামাযের সকল কাজ শেষ হল, এরপর ঈদের আর কোন কাজ বাকী নাই। সুতরাং খুতবা শেষ হলে সকলেই নিজের বাড়িতে ফিরে আসবে। বর্তমানে দেখা যায় যে ঈদের খুতবার পরে লম্বা মুনাজাত হয়। এটা মুস্তাহাব নয়। তারপর লোকদের মধ্যে মু‘আনাকা বা কোলাকুলীর ভীড় লেগে যায় অথচ ঈদের সুন্নাতের মধ্যে কোলাকুলী করার কথা নাই। সুতরাং এটা ঈদের সুন্নাত মনে করা ভুল। বরং এটা দেখা-সাক্ষাতের সুন্নাত। কোন ভাইয়ের সাথে অনেক দিন পরে সাক্ষাত হলে প্রথমে সালাম বিনিময় করবে। তারপর মুসাফাহা করবে। তারপর কোলাকুলী করবে। সুতরাং ঈদের নামাযের পূর্বে সাক্ষাত হলে তখনই এটা সেরে ফেলবে। আর যদি ঈদের খুতবার পর এরূপ কারোর সাথে সাক্ষাত হয় তাহলে কোলাকুলী করবে। এরূপ করবে না যে, সাক্ষাত হলো নামাযের পূর্বে কিন্তু কোলাকুলী করা হলো খুতবার পরে।(ফাতাওয়ায়ে শামী-৬/৩৮১, আহসানুল ফাতাওয়া-১/৩৫৪, সিলসিলাতুল আদাবিল ইসলামিয়াহ (#মুফতী মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ আল-হুসাইনী (দা:বা: ) এর face book থেকে সংগৃহীত) Mufti Khaled saifullah alhosaini (আলাপ) ০৭:৫৬, ১৯ আগস্ট ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

জামিউল উলূম আল-ইসলামিয়া মাদরাসা[সম্পাদনা]

জামিউল উলূম আল-ইসলামিয়া মাদরাসা স্থান: শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ। প্রতিষ্ঠা: ২০২২ ইং ১৪৪৪ হিজরী প্রতিষ্ঠাতা : মুফতী খালেদ সাইফুল্লাহ আল-হসাইনী বিভাগ সমূহ: নূরানী, নাদেলা, হিফজুল কোরআন ও কিতাব বিভাগ ইত্যাদি। Mufti Khaled saifullah alhosaini (আলাপ) ১৬:৪১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]