ব্যবহারকারী আলাপ:Mahamudul Hasan Nil

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান নিল 2002 সালে 11 ই নভেম্বর দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানার আমড়া গ্রামে এক সমৃদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ আব্দুল মান্নান, মাতা ঃ মরহুম হাসনা হেনা। মাহমুদুল হাসান নিল ছোটবেলা থেকেই সবার প্রিয় হয়ে ওঠে। তিনি 2012 সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ‌। খুব ভালো ফল করতে না পেরে, পরিবার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। হাই স্কুল জীবনে তিনি নিজের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করলেনপারিবারিক কিছু জটিলতার কারণে তাকে তার নানার বাড়ি দুই বছর অতিবাহিত করতে হয়। পারিবারিক জটিলতার কারণেই মূলত সে একা থাকতে পছন্দ করে। তবে তার মাঝে মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার এক অদম্য শক্তি ছিল, যা অন্যদের দ্বারা সম্ভব ছিল না। পড়াশোনা নিয়ে বেশ উদাসীন ছিলেন মাহমুদুল হাসান নিল। এবং 2019 সালে এস এস সি অর্থাৎ সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় মোটামুটি ভালো ফলাফল পরিবারকে উপহার দিতে পারেন। তারপর তাকে দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত আদর্শ মহাবিদ্যালয় দিনাজপুর এ ইন্টারমিডিয়েট এর জন্য অধ্যায়ন করতে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি হন বারবার। তিনি বিশ্বাস করতেন," সত্য কথা সত্য কাজ কখনো বৃথা যায় না"। কলেজ জীবন থেকেই তিনি সংস্কৃতি চর্চায় নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাইতেন। তার সূত্র ধরেই, কিছু মানব সেবামূলক কাজ তার দ্বারা সম্পাদিত হতো। তারেক বড় ভাইয়ের সাথে মানুষের জন্য রক্ত খুঁজে দেওয়ার কাজটি করতেন। পূর্বের অভিজ্ঞতা সহ কলেজ জীবনে এসে "সফলতার মন্স ব্লাড ফাউন্ডেশন" এ সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। তার কাজ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখে অনেকে মুগ্ধ হতেন। কলেজে একদিন নাটক বিষয়ে কথা হচ্ছিল,, ছুটে গেলেন সেখানে,, শুনে নিলেন সবকিছু। কিছু কাগজের সার্টিফিকেট অর্জন করলেন তিনি। তার হাত ধরেই সেই কলেজের "সুবর্ণ শিখা"নাট্য সংগঠন টি মাথা ঘুরে দাঁড়ালো। এবং প্রথম জয় টা হলো তার হাত ধরে। আবার,, একটি সংগঠন কলেজে এসেছে শুনে,, ছুটে গেলেন সেখানে, আবারো আগের মতই, সব কিছুতে আগ্রহ দেখিয়ে, কিছু সার্টিফিকেট সংগ্রহ করলেন এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হলেন। হয়ে গেলেন বাংলাদেশ রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অন্যতম সদস্য। যদি বা পরবর্তীতে রেডক্রিসেন্টের জন্য তেমন কোন কাজ করা হয়নি তার। সবার পরিচিত সংগঠনটিও তিনি ছাড় দিতে রাজি নন,, তবে কাজ করা হয়নি কোন। তিনি আদর্শ মহাবিদ্যালয় এর স্কাউট এ যোগ দেন। তিনি মনে করতেন,, "দেখতে সুন্দর হলে কোন লাভ নেই, যদি না কাজটি ভালো হয়" । এই উক্তিটির অনেকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন।অনেকে মনে করেন তিনি দেখতে হয়তোবা ততটা সুদর্শন ছিলেন না। প্রকৃতপক্ষে, তিনি সুদর্শন পুরুষ ছিলেন। তবে তিনি সে গুনের ফায়দা উঠাইতে না। বড় ছোট সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ, সামাজিক, হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে কথা বলতে যা মনমুগ্ধকরই নয়,, আশ্চর্যজনক ও বটে। কারণ এভাবে অন্য কেউ কথা বলতে পারতো না। পূর্বে যতটা গম্ভীর ছিল এখন তার থেকেও বেশি রসিক মানুষ।

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]