ব্যবহারকারী আলাপ:Hossain ahamed nuruddin

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]

করোনা ভাইরাস এর ভয়াবহতা[সম্পাদনা]

করোনা ভাইরাস এর ভয়াবহতা , আপনি করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত হলে আপনার পরিবারের কেউ আপনার কাছে আসবেনা। অসুস্থ একটু বেশি হলে আপনাকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য কারো উপর নির্ভর করতে হবে। যেই আপনার কাছে আসবে সেই আক্রান্ত হবে এই জন্য কেউ আপনাকে সাহায্য করতে আসতে নাও পারে। আপনি যেহেতু হাসপাতালে যাবেন তাই রিক্সায় বা গাড়িতে যেতে হবে। যেহেতু গাড়ির ড্রাইভার আক্রান্ত হতে পারে তাই সেও আপনাকে গাড়িতে উঠাতে চাইবে না। হাসপাতালে যাওয়ার পর ডাক্তারও আপনাকে যথার্থ চিকিৎসা সেবা দিবে না। যদি আপনি মারা যান মারা যাওয়ার পর আপনার গোসল ও জানাজা হবে কি না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আপনি হয়ে যাবেন পরিবার, সমাজ ও দেশের অযাচিত ব্যক্তি । আপনার পরিবারের সদস্যদের ও যারাই আপনাকে সহায়তা করেছে তাদের খোঁজে খোঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইন (না বুঝলে একঘরে) করে রাখবে। তাদেরও আপনার মতই অবস্থা হবে। আর এ্র জন্য দায়ী হবেন আপনিই। তাই সবাই সচেতন হোন। বেশি বেশি সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করেন। প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে যাবেন না । অসচেতন মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করুন বিশেষ করে নিজের পরিবারকে বুঝানোর চেষ্টা করুন। গ্রামের অনেক শিক্ষিত মানুষও অসচেতন তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করুন। Hossain ahamed nuruddin (আলাপ) ২২:৩৪, ২২ মার্চ ২০২০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

করোনা ভাইরাস সম্পর্কে উদাসীনতা[সম্পাদনা]

করোনা ভাইরাস সম্পর্কে উদাসীনতা, আমরা পড়াশোনা করি চাকরি পাওয়ার জন্য জ্ঞানী হওয়ার জন্য না।আমরা উপদেশ দেই অন্যকে প্রভাবিত করার জন্য নিজে মানার জন্য না। আমরা রাজনীতি করি সবার কাছে জনপ্রিয় হতে বা টাকা আয় করতে জনকল্যাণ করতে না। তাইত করোনা ভাইরাস এর জন্য শ্রীলঙ্কার নির্বাচন স্থগিত হলেও ইসি আমাদের দেশের নির্বাচন স্থগিত না করে জ্ঞানের পরিচয় দেন। অনেকের বিয়ের অনুষ্ঠান সীমিত হলেও সার্জন এর মেয়ের বিয়ে হয় ধুমধাম করে । এখানেও জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ। আর রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কথা বলে কারো বিরাগভাজন আপাতত হতে চাচ্ছি না। সবাই সচেতন হন না হয় এম এল কোম্পানির প্লেনের মত ডান হাত বাম হাত হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে করোনা ভাইরাস। করোনা কিন্তু কাওকে করুনা করবে না। Hossain ahamed nuruddin (আলাপ) ২২:৪৪, ২২ মার্চ ২০২০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

প্রকৃতির কান্না[সম্পাদনা]

প্রকৃতির কান্না হোসাইন আহমেদ

আমারও কি বাবা মা আছে? বৃদ্ধ নারীর কাছে বড় হওয়া ছেলেটিরও কি বাবা মা আছে। খাবার খেতে পারার আগেই যে শিখেছে অন্যের খাবার চুরি করে খেতে হয় না হয় তাকিয়ে থাকতে হয় যদি অন্যের খাবার সময় কিছুটা দয়া হয়।

গাছের পাতাগুলি কাঁপিয়ে সন্ধ্যার আকাশে যখন টিপটিপ বৃষ্টির আনাগোনা শুরু হয়, রিমঝিম শব্দ শোনার জন্যে যখন সাহিত্যকেরা জানালার পাশে এসে বসে, তাদের কলমের খোঁচায় গাছেরপাতার উপর বৃষ্টির ফোটার মসৃণতার ছবি তুলে রাখবে বলে, তখনি আমাকে যুদ্ধে লিপ্ত হতে হয় কর্কশ ঠান্ডার হাত থেকে নিজেকে লুকানোর জন্যে, যুদ্ধ করতে হয় গায়ে পরে থাকা একমাত্র ছেড়া হাফপ্যান্টটাকে শুকনো রাখার জন্যে ।

আমিও কিন্তু পাই আজ রিমঝিম বৃষ্টির মৃদু স্বর। কিন্তু তা টিনের চালে পরা বৃষ্টির ফোটা থেকে নয়। আমি পাই খোলা আকাশের নিচে মাথার উপর টেনে ধরা কাগজের ওপর রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ। আমিও কিন্তু পাই বৃষ্টির মাঝে দখিনা হাওয়া তবে ঘরের জানালা খুলে নয় আমি পাই মুক্ত আকাশের নিচে গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকার সময়।

আমি হয়ত বুঝাতে পারিনি রিমঝিম করা বৃষ্টির সাথে মুক্ত হাওয়ার সন্ধিক্ষণ চলে এসো দেখবে একদিন গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকে লুকানো হাওয়ার সাথে বৃষ্টির মিলনক্ষণ।

আচ্ছা আমার বাবা মাও কি কবিতা লিখতে পারে ? তাদের কবিতায় কি আমার কথাও লিখা হয়? কেন হবে না, নিশ্চয় হয়। কারণ আমাকে যেদিন ময়লার মাঝে ফেলে গিয়েছিল সেদিনও নাকি ছিল ভেজা হাওয়ার সাথে কালো মেঘের আলিঙ্গন করা মুহূর্ত। যা কিনা দিয়েছিল সেদিন

টিপটিপ বৃষ্টির সাথে অজস্র বিজলির হুঙ্কার ।

আমার তো আর মনে নেই, তবে বুড়ির কাছে শুনেছি। আমি নাকি একটুও কাঁদিনি। কাঁদব কেন , আমি হয়ত দেখছিলাম বাড়িফেরা মানুষগুলোর তাড়াহুড়ো , আমি হয়ত দেখছিলাম পশুপাখিগুলোর দিগবিদিক ছুটে চলা, হয়ত কেদেঁছিল আমার জন্য সেদিনের আকাশ, হয়ত ভিজেছিল আমার জন্য সেদিনের বাতাস। হয়ত হয়েছিল রিমঝিম শব্দ আমাকে বয়ে নিয়ে আসা গাড়িটির ছাদেও। আচ্ছা কে ছিল সেই গাড়িটিতে বাবা নাকি মা। নানা একি বলছি আমি বাবা মা কেন হবে। আমি কি তাদের লোভ লালসার সৃষ্ট মাংস পিন্ড ছিলাম । নানা একি ভাবছি আমি। আমাকে হয়ত চোর চুরি করে মৃত ভেবে ফেলে গিয়েছিল। তাইতো সে শুনতে পায়নি রিমঝিম করা বৃষ্টির মত আকাশের কান্না, প্রকৃতির কান্না। Hossain ahamed nuruddin (আলাপ) ০৫:৫০, ২৩ মার্চ ২০২০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]