ব্যবহারকারী আলাপ:HM SOHEL

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]

বাংলা উইকিপিডিয়া অভ্যর্থনা কমিটি, ২২:৫২, ২৯ মে ২০১৮ (ইউটিসি)

আহলে হাদিসের উৎপত্তি[সম্পাদনা]

কথিত আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের উৎপত্তি ইতিহাস :

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

কিছুদিন আগে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস – এর সাংগঠনিক সেক্রেটারী মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম “আমার দেশ” পত্রিকায় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস’ কোন আক্রমণাত্মক ও বিভেদমূলক প্রচারণা চালায় না এবং ফতোয়াবাজিও করে না; বরং কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্য সুসংহত করার জন্য ১৯৪৬ সাল থেকেই এদেশে সক্রিয় রয়েছে।

আমি তার উক্ত চমকপ্রদ কথার প্রেক্ষিতে এই পোষ্ট দিতে বাধ্য হলাম।

প্রিয় পাঠক! “মুযাহেরে হক্ব” কিতাবের স্বনামধন্য লেখক মাওলানা কুতুব উদ্দীন তার “তুহফাতুল আরব ওয়াল আযম” গ্রন্থে গাইরে মুক্বাল্লিদদের বা আহলে হাদীসে দলের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন, যার সার-সংক্ষেপ নিম্নে উল্লেখ করা হল-

সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ, মাওলানা ইসমাইল শহীদ ও মাওলানা আব্দুল হাই রহ. পাঞ্জাবে আগমন করার পরপরই কতিপয় বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীর সমন্বয়ে চার মাযহাবের ইমামগণের তাক্বলীদ অস্বীকারকারী নতুন ফিরক্বাটির বা আহলে হাদীস -এর সূত্রপাত লক্ষ্য করা যায়। যারা হযরত সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ. এর মুজাহিদ বাহিনীর বিদ্রোহী গ্রুপের সদস্য ছিল। এদের মূখপাত্র ছিল মৌলভী আব্দুল হক্ব বেনারসী (মৃত- ১২৭৫ হি) ।

তার এ ধরনের অসংখ্যা ভ্রান্ত কর্মকান্ডের কারনে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ. ১২৪৬ হিজরীতে মৌলভী আব্দুল হক্ব বেনারসীকে মুজাহিদ বাহিনী থেকে বহিষ্কার করেন। তখনই গোটা ভারতবর্ষের সকল ধর্মপ্রান জনগণ, বিশেষ করে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ. এর খলীফা ও মুরীদগণ হারামাইন শরীফাইনের তদানীন্তন উলামায়ে কিরাম ও মুফতীগণের নিকট এ ব্যপারে ফতওয়া তলব করেন।

ফলে সেখানকার তৎকালীন চার মাযহাবের সম্মানিত মুফতীগণ ও অন্যান্য উলামায়ে কেরাম সর্বসম্মতিক্রমে মৌলভী আব্দুল হক্ব বেনারসী ও তার অনুসারীদেরকে পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী ফিরক্বা (আহলে হাদীস) বলে অভিহিত করেন এবং মৌলভী আব্দুল হক্ব বেনারসীকে ক্বতল (হত্যা) করার নির্দেশ প্রদান করেন (এ ফতওয়া ১২৫৪ হিজরীতে তান্বীহুদ্দাল্লীন নামে প্রকাশ করা হয়। এখনো দেশের বিশিষ্ট লাইব্রেরীতে এর কপি সংরক্ষিত রয়েছে)।

মৌলভী আব্দুল হক্ব বেনারসীর পলায়ন :

উক্ত ঘটনার পর আব্দুল হক্ব বেনারসী পালিয়ে কোনভাবে আত্মরক্ষা পায়। নিজ শহর বেনারস গিয়ে তার নবআবিষ্কৃত (আহলে হাদীস) দলের প্রধান হয়ে সরলমনা জনাসাধারণের মধ্যে তার বিষাক্ত মতবাদ ছড়াতে থাকে।

(তুহফাতুল আরব ওয়াল আজম, পৃ: ১৬, খ:২, আল-নাজাতুল কামেলা, পৃ:২১৪, তন্বীহুদ্দাল্লীন, পৃ:৩১) ↓ গাইরে মুক্বাল্লিদ আলিম মৌলভী আসলাম জিরাজপুরী তার বিশিষ্ট রচনা “ নাওয়াদিরাত ” -এ লিখেন,

“প্রথমত এ জামাত নিজেদের বিশেষ কোনো নাম রাখেনি। মাও: ইসমাইল শহীদ রহ. এর শাহাদাতের পর প্রতিপক্ষের লোকেরা দুর্নাম কুড়ানোর কারণে তাদেরকে যখন ওহাবী বলতে শুরু করে, তখন তারা নিজেরদেকে “মুহাম্মাদী” বলতে থাকে। অত:পর এ নামটি পরিহার করে “আহলে হাদীস” উপাধি চয়ন করে। যা আজ পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে।”

(নাওয়াদিরাত, পৃ: ৩৪২)।

উপরোক্ত বিররণ থেকে একথাই প্রতীয়মান হয় যে, মৌলভী আব্দুল হক্ব বেনারসী কর্তৃক ১২৪৬ হিজরীতে ভারতবর্ষে গাইরে মুক্বাল্লিদ তথা লা-মাযহাবী (আহলে হাদীস) নামক নতুন ফিরক্বাটির সূত্রপাত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা “ওহাবী” হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু তারা নিজেদেরকে “মুহাম্মাদী” বলে প্রচার করতো। পরবর্তীতে “ইংরেজের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হারাম” এ মর্মে ফতওয়া দিয়ে ইংরেজের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হল়। এ সুযোগে আব্দুল হক্ব বেনারসী সরকারী কাগজ-পত্র থেকে “ওহাবী” নাম রহিত করে আহলে হাদীস নাম বরাদ্দ করতে নিল ।

ভারতবর্ষে ইংরেজ-বিরোধী ও ইংরেজ বিতাড়নে জিহাদে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদেরকে ইংরেজ সরকার যখন ওহাবী বলে আখ্যায়িত করেছিল, তখন গাইরে মুক্বাল্লিদরা ওহাবী নামের আখ্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তাই তারা তখন নিজেদের জন্য “মুহাম্মদী” এবং পরবর্তীতে “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ করার সম্ভাব্য সকল অপতৎপরতা চালিয়ে গিয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে গাইরে মুক্বাল্লিদদের তৎকালীন মুখমাত্র মৌলভী মুহাম্মদ হুসাইন বাটালভী লাহোরী বৃটিশ সরকারের প্রধান কার্যালয় এবং পাঞ্জাব, সি-পি, ইউ-পি, বোম্বাই, মাদ্রাজ ও বাঙ্গালসহ বিভিন্ন শাখা অফিসে ইংরেজ প্রশাসনের আনুগত্যতা ও বশ্যতা স্বীকার করে তাদের জন্য “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ দেয়ার দরখাস্ত পেশ করেন। এ দরখাস্তগুলোর প্রতি উত্তর সহ তারই সম্পাদনায় প্রকাশিত তৎকালীন “এশায়াতুস সুন্নাহ” পত্রিকায় (পৃ:২৪-২৬, সংখ্যা:২, খ:১১) প্রকাশ করা হয় যা পরে সাময়ীক নিবন্ধ আকারেও বাজারজাত করা হয়। তাদের মানসিকতা ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কিছুটা আঁচ করার জন্য আপনাদের সমীপে তন্মধ্য হতে একটি দরখাস্তের অনুবাদ নিম্নে পেশ করছি।

“বখেদমতে জনাব গভার্মেন্ট সেক্রেটারী, আমি আপনার খেদমতে লাইন কয়েক লেখার অনুমতি এবং এর জন্য ক্ষমাও পার্থনা করছি। আমার সম্পাদিত মাসিক “এশায়াতুস সুন্নাহ” পত্রিকায় ১৮৮৬ ইংরেজিতে প্রকাশ করেছিলাম যে, ওহাবী শব্দটি ইংরেজ সরকারের নিমক হারাম ও রাষ্ট্রদ্রোহীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং এ শব্দটি হিন্দুস্তানের মুসলমানদের ঐ অংশের জন্য ব্যবহার সমীচিন হবে না, যাদেরকে “আহলে হাদীস” বলা হয় এবং সর্বদা ইংরেজ সরকারের নিমক হালালী, আনুগত্যতা ও কল্যাণই প্রত্যাশা করে। যা বার বার প্রমাণও হয়েছে এবং সরকারী চিঠি পত্রে এর স্বীকৃতিও রয়েছে।

অতএব, এ দলের প্রতি ওহাবী শব্দ ব্যবহারের জোর প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে এবং সাথে সাথে গভর্নমেন্ট বরাবর অত্যন্ত আদব ও বিনয়ের সাথে আবেদন করা যাচ্ছে যে, সরকারীভাবে এ ওহাবী শব্দ রহিত করে আমাদের উপর এর ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক এবং এ শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” সম্বোধন করা হোক।

আপনার একান্ত অনুগত খাদেম

আবু সাঈদ মুহাম্মদ হুসাইন

সম্পাদক, এশায়াতুস সুন্নাহ।

দরখাস্ত মুতাবেক ইংরেজ সরকার তাদের জন্য “ওহাবী” শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ করে দেন এবং সরকারী কাগজ-চিঠিপত্র ও সকল পর্যায়ে তদের “আহলে হাদীস” সম্বোধনের নোটিশ জারি করে নিয়মতান্তিকভাবে দরখাস্তকারীকেও লিখিতভাবে মঞ্জুরী নোটিশে অবহিত করা হয়।

সর্বপ্রথম পাঞ্জাব গভর্নমেন্ট সেক্রেটারী মি: ডব্লউ. এম. এন (W.M.N) বাহাদুর চিঠি নং-১৭৫৮ এর মাধ্যমে ৩রা ডিসেম্বর ১৮৮৬ ইংরেজিতে অনুমোদনপত্র প্রেরণ করেন।

অতপর ১৪ই জুলাই ১৮৮৮ইং সি.পি গভর্নমেন্ট চিঠি নং-৪০৭ এর মাধ্যমে এবং ২০শে জুলাই ১৮৮৮ইং ইউ.পি গভর্নমেন্ট চিঠি নং-৩৮৬ এর মাধমে এবং ১৪ই আগষ্ট ১৮৮৮ইং বোম্বাই গভর্নমেন্ট চিঠি নং-৭৩২ এর মাধ্যমে এবং ১৫ই আগষ্ট ১৮৮৮মাদ্রাজ গভর্নমেন্ট চিঠি নং ১২৭ এর মাধ্যমে এবং ৪ঠা মার্চ ১৮৯০ইং বাঙ্গাল গভর্নমেন্ট চিঠি নং-১৫৫ এর মাধ্যমে দরখাস্তকারী মৌলভী আবু সাইদ মুহাম্মদ বাটালভীকে অবহিত করা হয়।

(এশায়াতুস সুন্নাহ, পৃ:৩২-৩৯, সংখ্যা:২, খ:১১)

কোন মুসলিম জামাআতের নাম খৃষ্টান নাছারাদের মাধ্যমে বরাদ্দ করার ঘটনা ইসলামী ইতিহাসে এটিই প্রথম । যা কেবল হিন্দুস্তানী গাইরে মুক্বাল্লিদদেরই গৌরব ও সৌভাগ্যের বিষয় (!) তাই তারা এ ইতিহাসটা অত্যন্ত গৌরবের সহিত নিজেরদের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করে তৃপ্তি লাভ করেছেন।

                             এইচ এম সোহেল রানা। HM SOHEL (আলাপ) ২২:৫৯, ২৯ মে ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

আহলে হাদিসের সাথে আমাদের দন্ধ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের লা-মাযহাবীদের সাথে উলামায়ে হকের মতভেদ কি শুধু নামাযের মাসআলা নিয়ে? May 30, 2018 Comments Off on বাংলাদেশের লা-মাযহাবীদের সাথে উলামায়ে হকের মতভেদ কি শুধু নামাযের মাসআলা নিয়ে? 3

অনেক ভাই মনে করেন বাংলাদেশে প্রচলিত নতুন মতবাদ “লা-মাযহাবী” বা কথিত আহলে হাদীস ভাইদের সাথে বাংলাদেশের উলামা মাশায়েখের মতভেদ নামাযের কিছু মাসায়েল নিয়ে।

সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রেই লা-মাযহাবীরা যে পদ্ধতিতে নামায পড়ে থাকে, সে পদ্ধতির নামায প্রচলিত। সুতরাং এসব বিষয় নিয়ে বাহাস-মুবাহাসা, বিতর্ক, বক্তব্য দেয়া উচিত নয়।

কিন্তু আসল বিষয় অনেক ভাইয়েরাই অনুধাবন করতে পারেন না।

নামায আদায় পদ্ধতির কিছু শাখাগত মাসায়েলের মতভেদ সাহাবা আমল থেকেই প্রচলিত। সেই স্বর্নযুগ থেকেই এসব মাসআলা নিয়ে মতভেদ ছিল। কিন্তু ঝগড়া ছিল না।

শাখাগত এসব মতভেদের কারণে একদল অপর দলকে ভ্রান্ত বলতো না। একদল আরেক দলকে গোমরাহ বা পথভ্রষ্ট বলে ফাতওয়া দিতো না। যারা মক্কা মদীনায় গিয়েছেন তারা নিজ চোখেই দেখেছেন যে, কেউ আমীন জোড়ে বলছে, কেউ আস্তে বলছে। এমন কি ইমাম আমীন আস্তে বলছে, কিন্তু মুআজ্জিন আমীন জোরে বলছে। যেমন বাইতুল্লাহ শরীফের প্রথম সারির ইমাম আব্দুর রহমান সুদাইসী সাহেব নামাযে আমীন আস্তে বলেন, কিন্তু তারই পিছনে দাঁড়িয়ে মুআজ্জিন আমীন জোরে বলছেন। কিন্তু এ নিয়ে কোন বিতণ্ডা নেই। ঝগড়া নেই। ফাতওয়াবাজী নেই।

যে যার মত আমল করছে। যেহেতু উভয় আমলই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। যাদের কাছে যে আমলটি সূত্র পরম্পরায় আমলীসূত্রে বিশুদ্ধ হিসেবে প্রমাণিত, তিনি সেই আমল করছেন। ভিন্ন আমলটিকে ভুল বলছেন না। আবার সেই আমলটি নিজেও করছেন না।

এটাই ইসলামের সৌন্দর্য। শাখাগত মতভেদ থাকা সত্বেও মৌলিক বিষয়ে একতাবদ্ধ।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের বাংলাদেশে প্রচলিত নতুন মতবাদী “লা-মাযহাবী” বন্ধুরা এ শাখাগত মতভেদকে মৌলিক মতভেদ বানিয়ে এলাকায় এলাকায় ঝগড়ার সৃষ্টি করছে। আলাদা মসজিদ তৈরী করছে।

এখানে গভীরভাবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, বাংলাদেশে প্রচলিত কথিত আহলে হাদীস নামধারী লা-মাযহাবী বন্ধুদের সাথে উলামায়ে হকের মতভেদ কি শুধু নামাযের কতিপয় মাসআলা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ?

না, কস্মিনকালেও না। সালাফে সালেহীনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ, সাহাবা আজমাঈনগণের আমলকে পিছনে ফেলে দিয়ে আমাদের এসব ভাইরা যে নতুন থিউরী উদ্ভাবন করেছেন “কুরআন হাদীস পড়ে নিজে যা বুঝবো তাই শরীয়ত” এ মানসিকতার কারণে অনেক মৌলিক বিষয়ে তাদের ভয়ানক কুফরী প্রকাশ পাচ্ছে।

যা আমাদের অনেক সরলপ্রাণ মুসলিমগণ জানেন না। আমরা আজকের এ প্রবন্ধে বাংলাদেশের লা-মাযহাবী শায়েখদের কয়েকটি ভয়ানক বক্তব্য তাদেরই প্রকাশনী থেকে বের করা বই থেকে তুলে ধরছি।

বিজ্ঞ পাঠকগণ আশা করি উপলব্ধি করবেন যে, লা-মাযহাবী মতবাদ শুধু নামাযের কতিপয় মাসআলা নিয়েই বাড়াবাড়িতে লিপ্ত নয়, বরং পুরো শরীয়তে ইসলামিয়ার চেহারা পাল্টে দেবার ভয়ানক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ পাঠ শিরক?

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” উচ্চারণ করলে বা লিখলে শিরকী অর্থ প্রকাশ পায়। [আক্বীদার মানদন্ডে ইসলামের মূলমন্ত্র কালিমাহ তাইয়্যিবাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লেখক-আব্দুল্লাহ আল ফারূক-৬৯]

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” বাক্যটি অশুদ্ধ এবং দারুল ইফতা বাংলাদেশসহ অন্যান্য আলেমগণ কর্তৃক প্রচলিত কালিমার বঙ্গানুবাদও সঠিক নয় বরং আমরা ইতোপূর্বে আরবী ভাষার অলংকরণ শাস্ত্র নাহুর তারকীব বা বিশ্লেষণ দ্বারা প্রমাণ করেছি যে, বাক্যটির সঠিক বঙ্গানুবাদ হবে “কেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত তিনি আল্লাহর রাসূল”। [প্রাগুক্ত-১৫৭]

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” গ্রহণ করার অর্থ হচ্ছে প্রবৃত্তির অনুসরণ করে সুন্নাত পরিত্যাগ করা ও অপছন্দ করা। [প্রাগুক্ত-২১৭]

“প্রচলিত কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ এর ভুল সংশোধন”। [মাযহাবীদের গুপ্তধন, লেখক, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পৃষ্ঠা-৩৩]

হযরত উমর রাঃ কুরআন বিরোধী রায় দিয়েছেন?

“এটি ছিল উমর রাঃ এর ইজতিহাদ মাত্র। তা দ্বারা রাজঈ তালাক এর কুরআনী পদ্ধতিকে বাতিল করা যায় না। ওমর রাঃ এটি করেছিলেন লোকদের ভয় দেখাবার জন্য সাময়িক কঠোরতা হিসাবে। কিন্তু এতে তাঁর উদ্দেশ্য হাছিল হয়নি বিধায় মৃত্যুর পূর্বে তিনি লজ্জিত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। [তালাক ও তাহলীল-৩৫-৩৬, লেখক-ড. আসাদুল্লাহ গালিব]

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ স্মৃতিভ্রম ছিলেন?

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ এর শেষ বয়সে স্বৃতি ভ্রম ঘটে। [তাওহীদ পাবলিকেশন্স প্রকাশিত সহীহুল বুখারী-১/৩৫৭]

মাযহাব অনুসরণ কুফর ও শিরক?

“ঠিক এই কাফিরদের মতই বর্তমানে যারা মাযহাবের অনুসারী তারা চার মাযহাবের যে কোন একটির অনুসরণ করে তাদের বাপ দাদাদের মাযহাব অনুযায়ী। অর্থাৎ বাবা যদি হানাফী হয় তাহলে ছেলেও হানাফী হয় এবং বাবা যদি শাফেয়ী হয় তাহলে ছেলেও শাফিঈ হয়। যে কারণে এইভাবে মাযহাবের অনুসরণ করা শিরকও কুফর হয়েছে। [আমাদের মাযহাব কি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত?, পৃষ্ঠা-২২, লেখক-মুহাম্মদ ইকবাল বিন ফাখরুল]

মাযহাব অনুসারীদের হত্যা করতে হবে?

“যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট এক ইমামের তাকলীদকে ওয়াজিব করে নিবে তাকে তাওবাহ করানো হবে, অন্যথায় হত্যা করতে হবে। [অধ্যাপক ডক্টর রঈসুদ্দীন সম্পাদিত ‘চার মাযহাবের নির্দিষ্ট কোন এক মাযহাবের অনুসরণ করতে মুসলিম কি বাধ্য?, পৃষ্ঠা, ৪৩, শায়েখ আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম সম্পাদিত ‘মুসলিম কি চার মাযহাবের কোন একটির অনুসরণে বাধ্য?, পৃষ্ঠা, ৩২]

মাযহাব চারটি হয়েছে জাল হাদীস মানার কারণে?

“মাযহাবী ভিন্নতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দুর্বল অথবা জাল হাদীসের উপর ভিত্তি করে”। [পর্যালোচনা ও চ্যালেঞ্জ, লেখক-আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম, পৃষ্ঠা-৮]

হানাফী মাযহাবের অনুসারীরা জাহান্নামী?

হানাফী মাযহাবের আলেম/ওলামাগণের ইজমা [একমত হওয়া] মান্য করা হলে তারা বিদআত হানাফী মাযহাব পালনকারী জনগণ বিদআতী কাজ করে চলেছেন তাদের পরিণাম জাহান্নাম। {ফিক্বহে ইসলাম বনাম দ্বীন ইসলাম-১৭৯, লেখক-ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমাদ}

ইমাম আবূ হানীফা রহঃ কেমন ছিলেন?

‘জন্মগত সূত্রে ইমাম আবূ হানীফাহ ছিলেন শীআ। সকল মুহাদিদসগণ শীআদেরকে ঘৃণা করত। তাই মুহাদ্দিস যারা শীআ নন তাদের হাদীস তারা গ্রহণ করত না। ইমাম আবূ হানীফাহ তাই মুহাদ্দিসগণের হাদীস গ্রহণ করেননি। আর এজন্য তার হাদীসের জ্ঞান ছিল খুবই নগণ্য। [আব্দুর রউফ রচনাবলী-১, পৃষ্ঠা-৯১]

“ইমাম আবু হানীফা ও ফিক্বহের প্রতিষ্ঠাতা আবু হানীফা এক নয় কারণ ফিক্বহের উদ্দেশ্য সৎ ছিল না, ফিক্বহের উদ্দেশ্য হলো মানুষের শয়তানী ইচ্ছাকে পূর্ণ করা এবং সরকারী ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গের রায়কে বাস্তবাায়িত করা।”[মাওলানা আব্দুর রউফ রচনাবলী-১, পৃষ্ঠা-২২৩, লেখক-মাওলানা আব্দুর রউফ, সাবেক আমীর আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম]

তাবলীগের ব্যাপারে ধারণা!

তাবলীগ জামাত শিরক জনিত আক্বীদার জালে আবদ্ধ এক ফেরকা, এদের নিসাবী কিতাব কুরআন ও সহীহ হাদীস পরিপন্থী জাল ও জঈফ হাদীসে ভরপুর। তাবলীগী নিসাবের কিতাবে জাল হাদীস ও কিচ্ছা কাহিনী এবং বিভিন্ন শিরকি কথা ছাড়া আর কিছুই নেই। কুরআন ও সহীহ হাদীসের দু’ একটা কথা থাকলেও সেসবের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। {সহীহ আক্বীদার মানদন্ডে তাবলীগী নিসাব-লেখক মুরাদ বিন আমজাদ}

নামায তরককারীর হুকুম কী?

নামায তরককারী মুরতাদ। [জামাআতে সালাত ত্যাগকারীর পরিণাম-২৭, লেখক-খলীলুর রহমান বিন ফযলুর রহমান, আত-তাওহীদ প্রকাশনী]

তার মালিকানা ক্ষুন্ন হয়। [প্রাগুক্ত-২৭]

সালাত পরিত্যাগকারী আত্মীয় স্বজনের উত্তরাধিকারী হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। [প্রাগুক্ত-২৮]

বেনামজীর জন্য মক্কা মদীনার সীমানায় প্রবেশ নিষিদ্ধ। [প্রাগুক্ত-২৮]

সালাত পরিত্যাগকারীর যাবহকৃত পশুর গোশত ভক্ষণ হারাম। [প্রাগুক্ত-২৯]

মৃত্যুর পর তারা যানাযা পড়া যাবে না। [প্রাগুক্ত-২৯]

সালাত ত্যাগকারীর জন্য মুসলিম মহিলা বিবাহ করা হারাম। [প্রাগুক্ত-৩০]

রমজানে রাত জেগে কুরআন তিলাওয়াত

‘রমযান মাসে ক্বারীগণের রাত জেগে কুরআন পাঠ করা যা সালফে সালিহীনদের কাজ ছিল না। এটা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এর শিক্ষা ছিল না। [মৃত ব্যক্তির নিকট কুরআন পাঠের সওয়াব পৌঁছে কি?, লেখক-খলীলুর রহমান বিন ফযলুর রহমান-৩৯]

এরকম আরো অনেক জঘন্য আক্বীদা ও বিশ্বাস রয়েছে তাদের প্রকাশিত বই এবং ভিডিওতে।

আল্লাহ তাআলা আমাদের দেশের সরলপ্রাণ ধর্মপ্রাণ মানুষদের তাদের প্রতারণা ও ধোঁকা থেকে হিফাযত করুন। HM SOHEL (আলাপ) ১৭:২২, ৩০ মে ২০১৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]