ব্যবহারকারী আলাপ:মির্জা এ বি রহিম

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: মির্জা এ বি রহিম কর্তৃক ৮ বছর পূর্বে "জানাতে চাই" অনুচ্ছেদে

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]

জানাতে চাই[সম্পাদনা]

সবাই মানুষকে ভালোবাসুন মির্জা এ বি রহিম (আলাপ) ১৮:০৮, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫ (ইউটিসি)উত্তর দিন

জানাতে চাই[সম্পাদনা]

জীবনী

ইবনুন নাফিস


পূর্বকথা:

মুসলমানদের আলসেমি, বিলাসিতা আর জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতি অবহেলার কারনে আজ বিশ্ববিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ও মনিষীদের নাম বিকৃতরুপে আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। যেসব মুসলিম বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের অনেক মৌলিক সূত্র আবিস্কার করেছিলেন, যাঁদের আবিস্কারের ফলে বর্তমান বিজ্ঞান হয়েছে পরিপূর্ণ তাঁদের আমরা ভুলতে বসেছি। পাঠ্যবইয়ের কল্যাণে খুব কম মুসলিম বিজ্ঞানীর নাম জানি আমরা। আজ আমরা পরিচিত হব- ইবনুন নাফিস এর সাথে। অনেকেই শুনেছি, আবার অনেকেই শুনিনি, জানি না তাঁর অবদানের ব্যাপারে। কি করেছিলেন এই মুসলিম বিজ্ঞানী, চলুন ইতিহাসের পাতা হতে একটু দেখে নেয়া যাক।

একাধিক সোর্সমতে তাঁর নাম পেয়েছি ইবনুন নাফিস। আবার উইকিপিডিয়া বলছে তাঁর নাম ইবনে আল-নাফিস। যেহেতু তিনি আরব ছিলেন সেই অনুযায়ী, এই বিজ্ঞানীর একটা বিশাল টাইপের নাম আছে। "আলা-আল-দিন আবু আল-হাসান আলী ইবনে আবি-হাজম আল-কারশি আল-দিমাস্কি"।

১২০৮ (মতান্তরে ১২১৩) খ্রিস্টাব্দে ইবনুন নাফিস সিরিয়ার দামেস্ক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মস্থান নিয়েও রয়েছে মতপার্থক্য, তাঁর জন্মস্থান সিরিয়া না মিশরে এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

মানবদেহে বায়ু ও রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা আবিস্কারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন ইবনুন নাফিস। ইবনুন নাফিস মানবদেহে রক্তসঞ্চালন পদ্ধতি, ফুসফুসের সথিক গঠন পদ্ধতি, শ্বাসনালী, হৃদপিন্ড, শরীরে শিরা উপশিরায় বায়ু ও রক্তের প্রবাহ ইত্যাদি সম্পর্কে বিশ্বের জ্ঞানভান্ডারকে অবহিত করেন। শ্বাসনালির অভ্যন্তরীণ অবস্থা কি? মানবদেহে বায়ু ও রক্তপ্রবাহের মধ্যে ক্রিয়া-প্রক্রিয়ার ব্যাপারটা কি? ফুসফুসের নির্মাণ কৌশল কে সভ্যজগতকে সর্বপ্রথম অবগত করিয়েছিলেন? রক্ত চলাচল সম্বন্ধে তৎকালীন প্রচলিত গ্যালেনের মতবাদকে ভুল প্রমাণিত করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ১৩০০ শতাব্দীতে বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন কে? এসব জিজ্ঞাসার জবাবে যে মুসলিম মনীষীর নাম উচ্চারিত হবে তিনি হচ্ছেন ইবনুন নাফিস।

তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে-

তিনি প্রমাণ করেন যে হৃৎপিন্ডে মাত্র দুটি প্রকোষ্ট রয়েছে। আল-শামিল ফি আল-তিব্ব নামের ৩০০ খণ্ডের এক বিশাল বই লিখেছিলেন তিনি। এই বইয়ের পাণ্ডুলিপি বর্তমানে দামেস্কে সংরক্ষিত আছে। তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত বইগুলো হল- মুয়াজ আক-কানুন, আল-মুখতার ফি আল-আঘধিয়া।

১২৩৬ সালে নাফিস মিশর গমন করেন। সেখানে আল-নাসরি নামক হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা করতেন। পরবর্তীতে আল-মুনসুরী হাসপাতালে তিনি প্রধান চিকিৎসক এবং সুলতানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান।

মুসলিম এই মহামনিষী ১২৮৮খ্রিস্টাব্দের ১৮ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন। তিনি তাঁর বাড়ি, লাইব্রেরী, হাসপাতাল সব আল- মনসুরী হাসপাতালকে দান করে যান।

বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী ইবনুন নাফিসের মতবাদট সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত বলে গৃহীত হলেও তাঁকে পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞান জগতে স্বীকৃতি দেয়নি। তাঁর এই যুগান্তকরী আবিস্কার ৭০০ বছরের জন্য হারিয়ে গিয়েছিল। মানুষ ভুলে গিয়েছিল তাঁর এই অবদানের কথা। অবশেষে ১৯২৪ সালে হঠাৎ করেই বার্লিনের একটি লাইব্রেরীতে তাঁর লেখা একটি পাণ্ডুলিপি (সিয়ারাহ তাসরিহ আল-কুনুন) পাওয়া যায় এবং বিশ্ববাসী আবিষ্কারটি জানতে পারে।

Developed by

মির্জা এ বি রহিম (আলাপ) ০০:৪৪, ৭ ডিসেম্বর ২০১৫ (ইউটিসি)উত্তর দিন