ব্যবহারকারী আলাপ:ছাঈদ কোদালাভী
বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]
সুপ্রিয় ছাঈদ কোদালাভী! উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন। এখানে কিছু পৃষ্ঠা আছে যা আপনাকে উইকিপিডিয়া ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ করার কাজে সাহায্য করবে:
কাজে নেমে পড়বার সহজ উপায় হলো নিচের যে-কোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা:
অনুগ্রহপূর্বক আলাপের পাতায় বার্তা রাখার পর সম্পাদনা সরঞ্জামদণ্ডের চিহ্নে ক্লিক করার মাধ্যমে অথবা চারটি টিল্ডা ( আশা করি আপনি বাংলা উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা! বাংলা উইকিপিডিয়া অভ্যর্থনা কমিটি, ২০:৪২, ২০ আগস্ট ২০১৬ (ইউটিসি) |
কোদালা আজিজিয়া মাদ্রাসার নতুন শিক্ষা পরিচালক নিয়োগ![সম্পাদনা]
কোদালা আজিজিয়া মাদ্রাসার নতুন শিক্ষা পরিচালক নিযুক্ত হওয়ায় আলহাজ্ব মাওঃ হাফেজ জাফর সাহেব কে আন্তরিক অভিনন্দন ! সংক্ষিপ্ত কর্ম জীবনী ও আমার কিছু কথাঃ
শৈশব থেকে তিনি একজন মেধাবী আদর্শবান আমানতদার ও মিশুক প্রকৃতির লোক ছিলেন, ১৯৭৪ সালের দিকে চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউনিয়নে জনাব মরহুম আলি আকবর সাহেবের ঘরে জন্ম গ্রহন করেন। স্হানীয় স্কুলে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত লেখা পড়া শেষ করে একজন দক্ষ আলেম হওয়ার নেক আশা নিয়ে পিতার অমত থাকা সত্তেও স্কুল ছেড়ে নিজ মামার বাড়ী কোদালায় চলে আসেন এবং তার প্রিয় কোদালা মাদ্রাসায় ভর্তি হন।
ছোট বেলা থেকে তিনি ছিলেন কঠোর পরিশ্রমি ও লেখা পড়ায় মনোযোগী, মাদ্রাসাকেই নিজের বাড়ী বানিয়ে নিয়েছিলেন, লেখা পড়া ও আদব কায়দায় ভালো, বেশ কয়েকবার মারকাজী পরীক্ষায় উত্ত্বির্ণ হন তাই শিক্ষকদের নয়নের মনি ছিলেন তিনি, নিজ জন্মস্হান বেদাতী হওয়ায় তাকে বার বার মানুষের ধিক্কার সহ্য করতে হয়েছিলো, যেখানে ভালোবাসা পাওয়ার কথা ছিলো সেখানেই পেয়েছন অপমান, বাবার কোন টাকা পয়সা ছাড়াই শত অভাব অনটন ও প্রতিকূলতার মধ্যেও সব কিছু মেনে নিয়ে ধর্য্যের সহিত তিনি লেখা পড়া চালিয়ে যান, সকালে নাস্তার বদলে ঘুম ও পানী দ্বারা ক্ষুধা নিবারন করতে করতে এক সময়ে পেটে অসহ্য কামড়ী (ব্যথা) রোগ হয়ে গিয়েছিলো এবং ঐ রোগে অনেক বছরধরে কষ্ট পেয়েছিলেন, কামড়ী উঠলে মাঠিতে গড়া গড়ি খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে কাতর হয়ে যেতেন! তারপরেও কখনো ক্লাস কামাই করতেননা তিনি ,হাতে পেট চেপে ধরে সবক শুনতেন, আজকালের ছেলেরা এরখম সবর করবে বলে মনে হয়না আমার! কোদালার আত্মীয় স্বজন ও জনগন ঐ কারনে তাকে আরো বেশি ভালোবাসতেন। বর্তমান সময়ের ছাত্রদের জন্য শিক্ষা নেয়ার মতো অনেক কিছু আছে তার জীবনীতে।
মাগরীবের পর হতে রাত দশটা পর্যন্ত তৎকালিন কোদালা পুরাতন মাদ্রাসার তাকরারগাহ তার তাকরারের আওয়াজে প্রকম্পিত হতো। জেহেন ও জবান এতো ক্লিয়ার দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত দারসে নেজামীর সকল কিতাব পড়াবার মতো যোগ্যতা রাখেন তিনি।
শিক্ষকগন বিশেষকরে কোদালার মরহুম মোহতামিম সাহেব, মরহুম নান সা'ব হুজুর (নাযেম সাহেব) মুপ্তি আবদুল কাদের সাহেব (বর্তমান মোহতামিম) হাজী সা'ব হুজুর (মাওঃ আবদুল গফুর), কোদালা হুজুর, চন্দ্রঘোনা হুজুর, চকরিয়া হুজুর, ফেনীর মাওঃ ফয়জুল্লাহ সাহেব মাওঃ আবদুল মাবুদ, সরফভাটার মাওঃ আবদুচ্ছত্তার এবং চন্দনাইশ হুজুর সহ সকলেই তাকে খুবই স্নেহ ও সার্বিক সহযোগীতা করতেন।
জামাআতে দাহুম হতে জামাআতে ছোয়াম পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসে কৃতিত্ত্বের সহিত পাশ করে ১৯৯৬ সালে জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ায় জামাআতে দুয়ামে ভর্তি পূর্বক ওখানেই সফলতার সহিত দাওরায়ে হাদীস (এম এ ইসলামিয়াত) সমাপ্ত করেন।
দ্বীনী খিদমতে যোগদানঃ
১৯৯৮ সালে নিজ উস্তাদ শাইখুল হাদীস মরহুম আইয়ুব সাহেব হুজুরে নির্দেশে দেশের প্রাচীনতম দ্বীনী এদারা রাঙ্গুনীয়ার সরফভাটা মুয়াবিনুল ইসলাম মাদ্রাসায় মুঈনে তা'লীমাত (সহকারী শিক্ষা পরিচালক ) হিসেবে যোগদান করেন এবং তিন বছর পর সেচ্ছায় খন্ডলিয়া পাড়া রুকুনুল ইসলাম মাদ্রাসায় চলে যান, ওখানে শিক্ষকতা ও শিক্ষা পরিচালনায় অত্যান্ত সুনামর্জন পূর্বক বেশ কয়েক বছর খিদমতের পর পারিবারিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সৌদি আরব চলে যান, এবং জিদ্দার বওয়াদী নামক স্হানে প্রায় একযোগ ধরে মসজিদের খিদমতে নিয়োজিত ছিলেন আর এখানে বসেই তিনি সল্পদিনে পবিত্র কোরআন মজিদ হেফজ সমাপ্ত করেন।
গত ১৩ ই এপ্রিল ২০১৮ সালে তিনি এক্জিটে বাংলাদেশে চলে আসেন এবং তার পরদিনেই কোদালা আজিজিয়া মাদ্রাসার জামে মসজিদে এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মুহতারাম প্রধান পরিচালকের মুখ হতে তার নিয়োগের ঘোষনা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠান ও দুপুরের লান্সে মাওঃ জাফর সাহেব এর সঙ্গে আমিও উপস্হিত ছিলাম, কারন আমি তার দেশে যাওয়ার দূদিন আগেই সৌদি হতে দেশে গিয়েছিলাম। আমরা দু'জন জীবনের প্রায় সময়ে একি সঙ্গেই কাটিয়েছিলাম, শৈশবের পুরো ছাত্র জীবন কোদালা ও পটিয়ায় এর পরে সরফভাটা মুয়াবিনুল ইসলামে দূজনের শিক্ষকতা এবং শেষে দূজনের যুগধরে সৌদি আরব প্রবাস, দুজনের হায়াতে প্রায় মিল!
প্রিয় বন্ধু,,,,,,,, তুমি আজ কোদালা মাদ্রাসার নিজ উস্তাদের 'নাজেমে তালিমাত' নামক আসনটি অলঙ্কৃত করেছো, অনেক দায়িত্ব আজ তোমার উপর,পুরো কোদালাবাসী এবং মাদ্রাসার সকল শুভাখাঙ্খী প্রবাসী ভায়েরা ও আলেম ওলামাগন তোমার দিকে তাকিয়ে আছে একপলকে!
পুরো চট্টগ্রামে কোদালা মাদ্রাসার লেখাপড়ার সুনাম ও গৌরবগাঁথা সকল ইতিহাস তোমার অজানা কিছু নয়, যুগ যুগ ধরে কোদালা মাদ্রাসার ছাত্ররা মারকাজী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সফলতার সাক্ষর রেখেছে, বিগত কয়েক বছর যাবত কোদালা মাদ্রাসার ছাত্ররা মারকাজী পরীক্ষার ফলাফলে অনেক পিছিয়ে! মারকাজী মেধা তালিকায় প্রিয় মাদ্রাসাটির নাম না দেখলে আমরা লজ্জায় মরি! আমরা চিন্তিত এবং শন্কিত এভাবে কোদালার শিক্ষার মান নামতে থাকলে হয়তো আর কোনদিন আরেকজন জাফর বের হবেনা এই মাদ্রাসা হতে!
আমরা চায় তোমার সুন্দর পরিকল্পনা ও মেধার বিকাসে কোদালা মাদ্রাসা পূর্বের মতো নতুন আঙ্গিকে সুনাম অর্জন করুক, শিক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে মুরুব্বীদের পরামর্শ অনুযায়ী ছাত্রদের মারকাজ নাপাওয়ার সকল বিষয় চিন্হিত করে যথাযত পদক্ষেপ গ্রহন করুন, সকল শিক্ষকদের নগদ বেতন, ভাতা, এবং সার্বক্ষনিক মাদ্রাসায় উপস্হিতি নিশ্চিত করুন, মারকাজী ছাত্রদের জন্য বিশেষ কোচিং ,নাহু চরফের বিশেষ তাদরীব ও হস্তলিপি (কেতাবত) এর উপর বিশেষ প্রশিক্ষন দিন, শিতকালিন সময়ে ছাত্রদের সম্মেলন ওয়াজ মাহফিল হতে বিরত রাখুন, ছাত্রদের মোবাইল ফোন ব্যবহার শতভাগ বন্ধ করুন, ছাত্রদের কে বাইরের দূষিত পরিবেশ হতে রক্ষার্থে প্রয়োজনে মাদ্রাসার অভান্তরে স্বাস্হ্যসম্মত নাস্তার জন্য তিন বেলা কেনটিন চালু করা যায়, মনে রাখতে হবে" আল আকলুস্সালিম ফিল জিসমিস্সালিম" ইনশাআল্লাহ সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন মানুষ বলবে" কোদালা মাদ্রাসা সেরা ছিলো এখনো সেরা"।
ফ্রেন্ডদের বিরক্তির কথা ভেবে লেখা সংক্ষেপ করলাম বাদ বাকি জীবনী হয়তো একদিন আমাদের ছাত্ররাই লিখবে সেদিন হয়তো এই রঙ্গিন পৃথিবীতে আমরা আ-র থাকবোনা!
আল্লাহ তোমাকে মাদরে এলমির এই দ্বীনী খেদমত যথাযথ আন্জাম দেয়ার তৌফিক দান করুক- আমিন।
শুভেচ্ছান্তে--- তোমার একান্ত বন্ধুঃ শাইখ ছাঈদ কোদালাভী প্রাত্তন ছাত্র কোদালা আজিজিয়া মাদ্রাসা । নগন্য খাদেম ইসলামিক গাইডেন্স এন্ড কালচারাল সেন্টার কে.এস.এ। ছাঈদ কোদালাভী (আলাপ) ১৪:১৮, ২৩ জুলাই ২০১৮ (ইউটিসি)
বিষয়বস্তু যোগ ছাঈদ কোদালাভী (আলাপ) ১৬:২২, ১৪ আগস্ট ২০১৮ (ইউটিসি)
কোদালা ইউনিয়নের কওমি মাদ্রাসা সমূহঃ[সম্পাদনা]
- কওমি মাদ্রাসা ৬ টি=
- কোদালা আজিজিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা।
- রাইখালী সোলতানিয়া মাদ্রাসা।
- বড় খোলা পাড়া তা'লীমুল ইসলাম মাদ্রাসা।
- ফাতেমা তুজ জোহরা বালিকা মাদ্রাসা।
- পূর্ব কোদালা সাবেরা বালিকা মাদ্রাসা।
- রাহমানীয়া কম্প্লেক্স ও হেফজখানা।
- নূরানী ইসলামিক কিন্ডার গার্টেন সংখ্যা-৯টি
- কোদালা আজিজিয়া নূরানী একাডেমি
- রাজানগর নুরানী মাদ্রাসা।
- দক্ষিন পাড়া আল কোরআন কম্প্লেক্স।
- পূর্ব কোদালা হাজী পাড়া নূরানী মাদ্রাসা।
- রাহমানিয়া কাছেমুল উলুম নূরানী মাদ্রাসা।
- মাহাছুফ্যার খোলা নূরানী মাদ্রাসা।
- জয়নগর পাড়া ইসলামিক কিন্ডার গার্টেন
- সিংহ ঘোনা ইসলামিক কিন্ডার গার্টেন।
- জামছড়ি তালীমুল কোরআন নূরানী একাডেমি।