ব্যবহারকারী আলাপ:আনু ইসলাম

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: আনু ইসলাম কর্তৃক ৭ বছর পূর্বে "রায়গঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স" অনুচ্ছেদে

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]

--অভ্যর্থনা কমিটি বট (আলাপ) ০৩:৪০, ২৩ অক্টোবর ২০১৬ (ইউটিসি)উত্তর দিন

রায়গঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স[সম্পাদনা]

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলাস্থ দুই(২) নং রায়গঞ্জ ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র রায়গঞ্জে স্ব-গৌরবে দাঁড়িয়ে আছে রায়গঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।

রায়গঞ্জে হাসপাতালটি গড়ে ওঠার প্রেক্ষাপটঃ ১৯৪৭ সাল, দেশ বিভেদের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় তৎকালীন পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের। পাকিস্তান শাষনামলে এবং দেশ বিভেদের প্রায় ১৫ বৎসর পর হলেও পাকিস্তান সরকারের বোধদ্বয় হয় যে অসহায় বন্যা কবলিত নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ি উপজেলার দুস্ত মানুষগুলোর উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তারই বদৌলতে উল্লেখ্য ৩ উপজেলা নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ি এর মধ্যবর্তী স্থান রায়গঞ্জ কে বিবেচনায় নিয়ে ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকার কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলেন আধুনিক রায়গঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। তৎসংশ্লিষ্ট সময়ে গড়ে ওঠে রায়গঞ্জ ব্রীজটিও। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল অবধি হাসপাতালটি সম্পূর্ণরুপে কার্যকর থাকে এবং উল্লেখ্যিত ৩ উপজেলার মানুষ সুচিকিৎসা পাবার দরুন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পরও স্বস্তির নিশ্বাস নিয়ে প্রশান্তির ঘুমে নিঢল হয়ে পরতেন।

হাসপাতালটির অভ্যন্তরীন কাঠামো বিন্যাসঃ ১৯৬২ সালে ৯.৪৮ একর জমিতে গড়ে ওঠা এই হাসপাতালটি মূলত ১০ শয্যা বিশিষ্ট। এবং দুটি বিভাগে অর্থাৎ অন্তর্বিভাগ এবং বহির্বিভাগে বিভক্ত রেখে দিনের পর দিন উন্নত এবং অক্লান্ত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে। হাসপাতালটির রয়েছে মোট আটটি ভবন যার মধ্যে একটি দ্বিতল ভবন যা মূলত হাসপাতালের মূল ভবন। ৩ টি ভবন চিকিৎসকদের কোয়ার্টার হিসাবে, ৩ টি ভবন তৃতীয় শেণির কর্মকর্তাদের, এবং ২ টি ভবন দ্বীতিয় ও চতুর্থ শেণির কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত ছিল।

হাসপাতালটির বর্তমান ব্যহাল অবস্থা ও এর পিছনের কারনঃ ১৯৬২ সালে গঠিত হাসপাতালটি অবিচ্ছিন্নভাবে ১৯৯৭ সাল অবধি চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। কিন্তু ১৯৯৮ সালে এর অন্তর্বিভাগ বন্ধ করে কেবলমাত্র বহির্বিভাগ খোলা রাখা হয় এবং এহেন অবস্থায় চিকিৎসা সেবায় ভাটার টান পড়ে। এর পিছনের মূলকারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয় ৮০'র দশকে প্রত্যক উপজেলাস্থ জনসাধারনের দোড়গরায় আধুনিক চিকিৎসা সেবা পৌছে দেবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গঠন আইন। যার ফলশ্রুতিতে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে ওঠে নাগেশ্বরী উপজেলায়। এবং বৃহৎ এ জনবলকে রায়গঞ্জ হাসপাতাল মূখিতা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় এবং শুরু হয় রায়গঞ্জ হাসপাতালের শোচনীয় পর্যায়। টানাপোড়ানের মধ্য দিয়ে চলতে থাকা হাসপাতালটি থেকে ২০০৭ সালে সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন করা হয় বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং গলা ধাক্কা দিয়ে পতিত করা হয় এক অন্ধ্যকারাচ্ছন্ন অবস্থানে। যার ফলশ্রুতিতে দিনে দুপুরে কিংবা রাতের আধারে হাসপাতাল এরিয়ায় ভিড় বসতে শুরু হয় নেশাগ্রস্থদের এবং জুয়ারির। হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানীয় বাসীন্দা মোঃআবুবক্কর(৬০) জানতে চাইলে বলেন, অনেকে হাসপাতালটি আগলে রাখার চেষ্টা করলেও অসৎ চরিত্রের মানুষদের মারন থাবা থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা হাসপাতাল এবং এব সরঞ্জামাদি। কেউ কেউ সর্টকাট রাস্তা তৈরি করেছে হাসপাতালের দেয়াল ভাঙ্গার মাধ্যমে আবার দিনে দুপুরে রাতের আধারে চুরি যাচ্ছে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সকল জিনিস পত্র। হাসপাতালের প্রতিটি পরিত্যক্ত ভবনে শেওলা ধরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধসে পড়ছে দিনের পর দিন। চরম অবস্থা বিরাজ করছে মূল ভবনটিরও। ২০১৩ সালে ৯.৪৮ একর জমির মধ্যে মাত্র ৩ একর জমি এক বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয় স্থানীয়দের। কিন্তু মেয়াদ বাড়েনি পরবর্তিতে।

সচেতন মানুষদের অবদানঃ স্থানীয় সমাজ সেবক এবং সচেতন মানুষ ঠিক তখন থেকে একাগ্রতার সহিত কাজ করছেন হাসপাতালটি পুনরায় সম্পূর্নরুপে চালু রাখার জন্য, যখন থেকে শুরু হয় হাসপতালটির এই দুর্দশার দিন। কিন্তু বারংবার ব্যর্থতা থেকে ধিক্কার পেয়ে একপ্রকার ছেড়েই দেন হাসপাতালের আশা। কিন্তু রায়গঞ্জ ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন আন্ধারীঝাড়, সন্তষপুর ও রামখানার যুব সমাজ স্বেচ্ছা সেবি সংগঠন এবং মিডিয়া কর্মীগন নিঃস্বার্থে এগিয়ে আসেন উন্নয়নের একাগ্র চিত্তে। "দাবি মোদের একটাই রায়গঞ্জ হাসপাতাল ফেরত চাই" স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেক জটিলতা এবং টানাপোড়ানের মধ্য দিয়ে আহ্বায়ক মোঃ আনু ইসলামের সভাপতিত্বে সেবকবন্ধু সংগঠনের সভাপতি(শেখ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ) ও কর্মীবৃন্দ, মায়ের দোয়া বিদ্যাবীথির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক(মোঃ হাসান আলী সবুজ), সেবক সংঘের সভাপতি(মোঃ খাইরুল ইসলাম) এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ সাইফুর রহমান এবং কিছু সংখ্যক মিডিয়াকর্মী সহ আরো অনেক মান্যগন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে ২৪/০৬/২০১৬, রোজ শুক্রবার গঠিত হয় রায়গঞ্জ হাসপাতাল পুনঃসংষ্কার কমিটি। এবং তারা(কমিটি) কর্মসূচী হিসাবে হাতে নেন হাসপাতালটি সংষ্কারের দাবিতে ১২/০৭/২০১৬ এ গণ স্বাক্ষর এবং বিশাল মানব বন্ধন। যার মধ্যদিয়ে আরো একবার কড়ানাড়তে চান ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের। তারা অর্থাৎ উক্ত কমিটি এই মন্ত্রে শপত নেন যে 'যতদিন না হাসপাতাল ফেরত পাচ্ছি ততদিন এ প্রচেষ্টা অক্ষুন্ন থাকবে'। হয়ত এবারই পেতে যাচ্ছে তাদের প্রাণের দাবির ক্ষরাক রায়গঞ্জ হাসপাতালটি এমনটাই আশা ব্যক্ত করেছেন সকলেই। হোক এ শুভ উদ্যগের আশার পুর্ণতা এবং বয়ে আসুক সু-চিকিৎসার মাধ্যমে রায়গঞ্জ, আন্ধারীঝাড়, সন্তষপুর ও রামখানাবাসীর সফলতায় গাথা সেই অতুলনীয় দিনগুলো। আনু ইসলাম (আলাপ) ০৪:৪৬, ২৩ অক্টোবর ২০১৬ (ইউটিসি)উত্তর দিন