বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যবহারকারী:Mussharraf Hossen Shoikot/খেলাঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

(লিখনিটি https://wikiislam.net/wiki/Quran_and_Semen_Production থেকে অনুবাদকৃত। অনুবাদকারী: Mussharraf Hossen Shoikot)

এই লিখনিটি সাল্ব ও তারাইবের মাঝ থেকে বির্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কুরানিক তথ্যকে বিশ্লেষন করে।

ভুমিকা

[সম্পাদনা]

মানুষের বীর্যের উপাদান ৪ টি শরীরগ্রন্থির উৎপাদবস্তু: অন্ডকোষ থেকে বীর্যকোষ, বীর্যকোষরা যে তরলে বহন করা হয় তা আসে সেমিনাল ভেসিকল (প্রস্রাবথলির পিছনে), প্রস্টেট গ্রন্থি (প্রস্রাথলির নিচে), এবং বালবোইউরেথাল গ্রন্থি থেকে (প্রস্রাবথলির নিচে)।

বহু ব্যক্তি চেষ্টা করেছে সালব ও তারাইবের মাঝ থেকে বির্য তৈরির কুরানিক তথ্যকে রক্ষন করার চেষ্টা করেছে। এটার ফলে একাধিক স্বতন্ত্র শ্রেনির দাবি তৈরি হয়েছে যা তারা দিয়েছে। এতকালে লিখনিসমূহ আছে যা সেসব দাবিকে খন্ডন করে। কিন্তু, এই লিখানিটি চেষ্টা করে বিভিন্ন দাবির বিপক্ষে ব্যাপারটা সারমর্ম করতে, যাতে করে বিস্তারিত অনুধ্যায়ন করা সম্ভব হয় ব্যাপারটা নিয়ে।

সূরা ৮৬:৬-৭

[সম্পাদনা]

কুরান|৮৬:৬:পিকথাল: তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে তীব্রস্খলিত তরল থেকে

আরবি: خُلِقَ مِن مَّآءٍ دَافِقٍ

উচ্চারনুবাদ: খুলিকা মিন্ মাইন্ দাফিকিন্

আক্ষরিক: তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে একটা পানি থেকে যা তীব্রস্খলিত হয়

মা' (পানি) ছিলো বির্যকে বর্ননা করতে প্রচলিত লুকোশব্দ (euphemism)

Yusuf Ali: proceeding from between the backbone and the ribs.(উৎপাদিত হয় মেরুদন্ড ও পাজরের মাঝ থেকে)

Pickthal: that issued from between the loins and ribs.(তা যা উৎপাদিত হয় পাজর ও পিঠের মাঝ থেকে)

Arberry: issuing between the loins and the breast-bones.(উৎপাদিত হচ্ছে পিঠ ও পাজরের মাঝ থেকে)

Shakir: coming from between the back and the ribs.(আসছে পিঠ ও পাজরের মাঝ থেকে)

Sarwar: which comes out of the loins and ribs.(যা আসে পিঠ ও পাজরের মাঝ থেকে)

Khalifa: from between the spine and the viscera.(মেরুদন্ড ও পিঠের মাঝ থেকে)

Hilali/Khan: proceeding from between the back-bone and the ribs.(মেরুদন্ড ও পাজরের মধ্য থেকে ধাবিত)

Malik: that is produced from between the loins and the ribs.(যা তৈরি হয় পাজর ও পিঠের মাঝ থেকে)

QXP: that issued from between tough rocks and mingled dust.(তৈরি হয় কঠিন পাথর ও মিশ্রিত ধুলার মাঝ থেকে)

Maulana Ali: coming from between the back and the ribs. (আসছে পিঠ ও পাজরের মাঝ থেকে)

Free Minds: it comes out from between the spine and the testicles. (এটা বের হয়ে আসে মেরুদন্ড ও অন্ডকোষের মাঝ থেকে)

আরবি: يخرج من بين الصلب والترائب

উচ্চারনুবাদ: ইয়াখ্রুজু মিন্ বায়নি আলসালবি ওয়ালত্তারা-ইবি

আক্ষরিক: এটা হাজির হয় পাজর ও মেরুদন্ডের হাড়ের মাঝ থেকে.[]

ইংরেজি শব্দ 'loins' এর ব্যাপারে কিছু কথা

[সম্পাদনা]

ইসলামিক ওয়েবসাইটরা কিছু সময়ে আপনাকে দেখাবে loins শব্দটি নির্দিষ্ট কিছু ইংরেজি অনুবাদে এবং আপনাকে বুঝাতে চাইবে তা। আধুনিক লুকোশব্দ (euphemistic) বোধ অনুযায়ী তা দিয়ে পুরুষের যৌনাঙ্গ বুঝায়। কিন্তু এই অনুবাদটা তার প্রাথমিক মূল অনুবাদের প্রতি গৌন যা বলে পিঠের মেরুদন্ডি অঞ্চলটা, যেরকমটা অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতে বর্নীত।

Loin, n.

1.

a. জীবিত শরীরে মানুষ ও চতুস্পদি প্রানির সেই অংশ বা অংশসমূহ যা মেরুদন্ডি অঞ্চলের দুইপাশে অবস্থিত, ভুয়া বক্ষহাড় ও পশ্চাৎহাড়ের মাঝে।

তার গৌণ, লুকোশব্দ অনুবাদ যা অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে আছে তার সংজ্ঞা নিম্নরুপ:

2. প্রধানত বাইবেলিয় ও কাব্যিক। শরীরের এই অংশটি যা বর্নীত:

a. শরীরের সে অংশটি যা ঢাকা উচিত কাপড় দিয়ে ও যার প্রতি কাপড় বাধা থাকে। তাই, গোপনাঙ্গকে পাহারাকৃত করা (আক্ষরিক ও রুপকার্থে) এবং কড়া পরিশ্রমের জন্য প্রস্তুত হওয়া।

ধ্রুপদি আরবি বিষয়ক লেন এর অভিধানে সাল্ব এর অর্থ দেওয়া নিচের মতো:

পিঠের যেকোনো অংশ যাতে মেরুদন্ড থাকে: (S, MSB, TA:) [এবং বিশেষ করে মাঝের অংশ; the loins:] এবং পিঠের [absolutely]

He goes on to quote a phrase of the Arabs that features sulb, translating it and explaining as follows:তিনি চলতে থাকে আরবদের একটা উদ্ধৃতি উদ্ধৃত করতে যেটাতে সাল্বকে প্রচারিত করা হয়েছিলো, অনুবাদ করে তাকে নিচের মতো করে ব্যাখ্যা করে:

These are the sons of their loins: Because the sperma of the man is held to proceed from the sulb of the man (স্পার্মা হচ্ছে আধুনিক ল্যাটিন শব্দ যার মানে হচ্ছে বীজ, বির্য).

অন্যান্য আয়াত ও হাদিসে সমর্থনকারি প্রমানসমূহ

[সম্পাদনা]

কুরানে সাল্ব দিয়ে যে পিঠ বা মেরুদন্ড বুঝায় তার স্বাধীন উদ্ধৃতি পাওয়া যায় একই বিষয়ের আরেকটা আয়াতে যা পিঠের জন্য অন্য একটা শব্দ ব্যবহার করে। আয়াত ৭:১৭২ বলে যে আদমের সন্তানদের সন্তানরা তাদের পিঠ থেকে। সাল্ব এর বদলে এখানে ব্যবহৃত শব্দ হচ্ছে থাহর্, যার মানে পিঠ। ব্যাপারটা এরকমই পরিস্কার অন্যান্য আয়াতে যেমন কুরান ৬:৩১ আরবি: مِنۢ بَنِىٓ ءَادَمَ مِن ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ

উচ্চারনুবাদ: মিন্ বানি আদামা মিন্ থুহুরিহিম্ থুর্রিয়াতাহুম্

আক্ষরিক: আদমের সন্তানদের থেকে, এবং তাদের পিঠ থেকে তাদের সন্তান

আরো একটি কুরান আয়াতে সাল্ব ব্যবহার করে। এই ক্ষেত্রে তারাইবের উদ্ধৃতি নেই। এটা উদাহরন যে লেন এর অভিধানে বর্নীত সরল আরবি বাক্যের, যার ভিত্তি এই বিশ্বাস যে মানুষের বীজ তার পিঠ থেকে নির্গমন হয়। তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ আছে তোমাদের মায়েরা, তোমাদের কন্যারা, এবং তোমাদের বোনেরা[...]এবং তোমাদের সন্তানদের স্ত্রীরা যারা তোমাদের নিজের পিঠ থেকে উৎপাদিত। (কুরান ৪:২৩)

এবং আরেকটু প্রকাশ্যভাবে, সহিহ বুখারির একটা হাদিস (সহিহ মুসলিম ৩৯:৬৭৩৩ এও) সাল্ব ব্যবহার করে এটা বলতে যে আদমের ভবিষ্যত বংশধরদের উৎস ছিলো তার পিঠে যা তাদের নিষিক হবারও আগে। নবী (স.) বলেছেন "আল্লাহ পুনরুত্থানের দিন আগুনে সর্বনিম্ন শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বলবে, "যদি তোমার এমনকিছু থাকতো যা তোমার পৃথিবীতে যা আছে তার সমান, তুমি নিজেকে শাস্তি থেকে মওকুফ করতে তা দিয়ে?' সে উত্তর দিবে, হ্যা। আল্লাহ বলবে, "আমি তোমাকে এর চেয়ে আরো সহজ কিছু জিজ্ঞেস করেছিলাম যখন তুমি আদমের মেরুদন্ডে ছিলে, তা হচ্ছে, আমার বাইরে অন্য কারো উপাসনা না করতে, কিন্তু তুমি প্রত্যাখ্যান করেছিলে এবং অন্যদেরকে আমার পাশে উপাসনা করতে নাছোড় ছিলে।"'

দুঃখস্বীকারবাদিদের দাবি

[সম্পাদনা]
সবচেয়ে প্রখ্যাত দাবিগুলো হচ্ছে নিচেরগুলো:
  1. ডক্টর মরিস বুকাইলি ও এ.কে. গিরদ: সাল্ব ও তারাইব দিয়ে পুরুষ ও নারীর যৌনাঙ্গ বুঝায়
  2. আহমেদ এ. আবদ-আল্লাহ:বুকাইলির অনুকল্প গ্রহন করে বিস্তৃত করে, এবং দাবি করে যে সকল গৃহিত অনুবাদ ও তাফসিরে ভুল আছে কারন সাল্ব ও তারাইব মানুষের মেরুদন্ড ও পাজর বুঝায় না, কিন্তু বুঝায় পুরুষের শক্ত হওয়া (পুংযৌনাঙ্গের) এবং নারীর যৌনাঙ্গকে (যোনি বাদ দিয়ে)।
  3. ড. জামাল বাদাউই: আয়াতগুলো নির্দেশ করে বির্য উৎপাদনে না কিন্তু ধমনীর রক্তকে ওই 'তীব্রস্খলিত পানি' হিসাবে।
  4. তাফসির ইবনে কাথির: সাল্ব নির্দেশ করে মানুষের মেরুদন্ডকে, এবং তারাইব নির্দেশ করে নারীর বুককে।
    1. তাফসির আল-জালালাইন - উৎপাদিত হয় পুরুষের মেরুদন্ডের মাঝ থেকে ও নারীর পাজরের মাঝ থেকে।
    2. তানউইর আল-মিকবাস্ মিন তাফসির ইবনে আব্বাস- (তা যা উৎপাদিত হয় মেরুদন্ডের ও পাজরের মাঝে) পুরুষের এবং নারীর পাজরে।
  5. মুহাম্মাদ আসাদ: সাল্ব নির্দেশ করে পুরুষের যৌনাঙ্গে ও তারাইব নির্দেশ করে নারীর কোমরের বাকের দিকে।
  6. মইজ আমজাদ ৩ টি দাবি করে; a) সাল্বতারাইব দিয়ে অন্ডকোষের রক্তসরবরাহ বুঝায় যার সূচনা পুরুষের পিঠ ও পাজরের মাঝ থেকে b)ভ্রনের যৌনাঙ্গ এই এলাকাতে তৈরি হয় যা জাকির নায়েকের দাবি এবং c) সাল্বতারাইব এলাকা হচ্ছে পুরুষ যৌনাঙ্গের লুকোশব্দ।
  7. ইউসুফ আলি: মেরুদন্ড হচ্ছে পুরুষের শক্তির সূচক। পুরুষের বীজ হচ্ছে রুপক যা মেরুদন্ড ও পাজরের মাঝে প্রবাহিত হয়।

বিশ্লেষন

[সম্পাদনা]

মরিস বুকাইলি

[সম্পাদনা]

"কুরানে দুইটি আয়াত যৌনসম্পর্ক নিয়ে কথা বলে...যখন অনুবাদ ও ব্যাখ্যামূলক মন্তব্যবলিসমূহ অনুসন্ধান করা হয় যদিও, একজন আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাদের মধ্যকার বিভাজনটা দেখে. আমি এক লম্বা সময় ধরে চিন্তা করেছি এই আয়াতগুলোর অনুবাদ নিয়ে (সহজ ইংলিশে তার মানে হচ্ছে সেখানে "একটি অসম্ভব্যতা বা একটি স্ববিরোধীতা আছে, সহজভাবে যাকে বলে কঠিনতা'" ), এবং আমি কৃতজ্ঞ ডক্টর এ.কে.গিরদ এর প্রতি, সাবেক প্রফেসর, মেডিসিন অনুষদ, বৈরুত, নিচেরগুলোর জন্য: `(মানুষের রুপদান হয়েছিলো ঢেলে ফেলা তরল থেকে।তা তৈরি হয়েছিলো পুরুষ ও নারীর যৌনাঙ্গের মিলনের ফলে।'

"পুরুষের যৌনাঙ্গ কুরানের লেখাতে নির্দেশিত আছে সাল্ব শব্দটি দিয়ে (একবচন)। নারীর যৌনাঙ্গ কুরানে চিহ্নিত আছে তারাইব দিয়ে (বহুবচন)।"

"এটিই সে অনুবাদ যা দেখা যায় সবচেয়ে মানানসই।"

যখন প্রমান আছে যে সাল্ব দিয়ে বুঝাতে পারে "শক্তকরন" এবং তার ফলে, পুংযৌনাঙ্গ, কোনো প্রমান নেই যে তারাইব মানে যোনি।বুকাইলি ও গিরদ দেখা যায় ধারনা করে নিয়েছিলো যে তারাইব মানে 'নারীর যৌনাঙ্গ' কোনোরকম সমর্থনকারী প্রমান দেওয়া ছাড়াই. যদি তারাইব মানে তাও হয়ে থাকে যা বুকাইলি ও গিরদ চেয়েছিলো বুঝাতে, 'নারীর যৌনাঙ্গ' বাক্যটি অর্থপূর্ণ হবার চেয়ে বেশি অপরিস্কার। ধারনা করা যে এটার মানে যোনি সেটা কেবল একটা ধারনা, এবং উপাদানে হয়তো সমতুল্যতার হেত্বাভাসযুক্ত।

আহমেদ এ. আব্দ-আল্লাহ

[সম্পাদনা]

আব্দ-আল্লাহ বুকাইলির প্রস্তাবনাকে বিস্তৃত করে, অভিধান ও তাফসির সরবরাহ করে তার ঘটনাকে সমর্থন করে যে সাল্ব মানে 'শক্তকরন' এবং তারাইব মানে নারীর যৌনাঙ্গ।

এখানে সাল্ব বিষয়ে আব্দ-আল্লাহ এর সংজ্ঞা: "খেয়াল করবেন যে 'সাল্ব' একবচন। নিচে উদ্ধৃত wehr এর অভিধানে আপনি দেখবেন যে এটার মেরুদন্ড অনুবাদ কেবল তখন যখন আমরা সাল্ব এর বহুবচন নিবো (আস্লাব)। তার একবচন রুপে তার মানে হয় শক্তকরন।" কুরানের প্রায় সব প্রচলিত পাওয়া অনুবাদ সাল্বকে মেরুদন্ড হিসাবে নির্দেশ করে, যদিও কিছু নির্দেশ করে যৌনাঙ্গকে। এমনকি ইবনে কাথিরও মেরুদন্ড গ্রহন করে। Wehr হচ্ছে আধুনিক আরবির অভিধান। wehr কি আরো বেশি রাজত্বশীল ও জ্ঞানময় উৎস আরবি ভাষার উপরে ইবনে কাথিরের চেয়ে? এটা বিশ্বাস করা কঠিন।

যাই হোক, আব্দ-আল্লাহ এর প্রস্তাবনা তার নিজের তারাইবের সংজ্ঞা দিয়েই ধরা পড়ে। তিনি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে যে তার তাফসির ও অভিধানসমূহ তারাইবের ব্যাখ্যা বুঝায় যোনিকে। বরং, তারাইব সংজ্ঞায়িত হয়েছে উপরের বুক বা পাজর হিসাবে, অথবা কিছু উৎস অনুযায়ী দুই পাও বুঝাতে পারে, দুই হাত বা দুই চোখ। যদিও যৌনাঙ্গের অন্যান্য অঞ্চলরা যৌনখেলাতে গুরুত্বপূর্ণ, যৌনকর্ম সংঘটিত হতে যোনির দরকার। আবদ-আল্লাহ এর ইবনে কাথিরের তাফসিরনির্দেশকরনটাও প্রতিঘাতি, কারন তিনি কেবল অর্ধেকটা বর্ণনা করে বর্ণনাটার যা তার বিষয়কে সমর্থন করে (যেমন তারাইব নারীকে নির্দেশ করে), একইসময়ে অপর অর্ধেক নির্দেশ করেনি যা তাকে স্ববিরোধী করে (যেমন তারাইব হচ্ছে নারীর পাজর)।

জাকির নায়েক

[সম্পাদনা]

"মানুষ সৃষ্ট হয়েছে একটি ফোটা থেকে যা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও পাজরের মাঝ থেকে "এখন মানুষকে চিন্তা করতে দাও যে সে কি থেকে সৃষ্ট! সে সৃষ্ট একটি নির্গত ফোটা থেকে - নির্গত হয় মেরুদন্ড ও পাজরের মাঝ থেকে।" (কুরান ৮৬:৫-৭)

ভ্রুনের পর্যায়তে, পুরুষ ও নারীর বংশবৃদ্ধি অঙ্গগুলো, মানে অন্ডকোষ ও ডিমাশয়গুলো তাদের উন্নয়ন শুরু করে কিডনির কাছে মেরুদন্ড ও একাদশ দ্বাদশ বক্ষহাড়ের মাঝে। পরে তারা নেমে আসে, নারী যৌনাঙ্গগুলো (ডিমাশয়) কুচকিতে থামে আর পুরুষদের যৌনাঙ্গ (অন্ডকোষ) তাদের অবতরন চালিয়ে যেতে থাকে জন্মের আগে অন্ডথলিতে পৌছাতে, ইংগুইনাল পথের মধ্য দিয়ে। এমনকি প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যেও তাদের বংশবৃদ্ধি অঙ্গগুলোর অবতরনের পরে, এই অঙ্গগুলো তাদের স্নায়ু ও রক্ত সরবরাহ তলপেটের ধমনী থেকে পায়, যা হচ্ছে মেরুদন্ড ও পাজরের মধ্যে। এমনকি লিম্ফভিত্তিক নালা ও শিরাভিত্তিক ফেরতব্যবস্থাও একই জায়গায় ফিরে।"

নায়েক এর ভ্রুনবিদ্যা গোজামিল। যেসব কোষগুলো স্পার্মাটোগোনিয়া তৈরি করবে তাদের অবস্থান কিডনির উপরে মাঝে না (যেখানে তারা নিঃসন্দেহে তৈরি হয়) কিন্তু কুসুমথলির মধ্যে।

অন্ডকোষ ও ডিমাশয় উৎপাদিত হয় mesodermal epithelium (mesothelium) থেকে যা পিছনের দিকের তলপেটের দেয়ালে লেগে থাকে, তার নিচে থাকা mesenchyme ও primordial germ cell থেকে। primordial germ cell তৈরি হয় কুসুমথলির মধ্যে সপ্তাহ ৪ এ। তারা পরে উন্নয়নশীল যৌনাঙ্গের দিকে যায় সপ্তাহ ৬ হলে এবং সংজ্ঞাযোগ্য germ cell এ পার্থক্যকৃত হয়। (oogonia / spermatogonia)

যদি নায়েকের দাবি যে আয়াত দিয়ে ভ্রুনের অন্ডকোষ বুঝানো হয় তা গ্রহন করা হয়, এটা অস্পষ্ট যে যৌনাঙ্গরা সে জায়গায় কিনা যেটা সে দাবি করে, মানে মেরুদন্ড ও একাদশ দ্বাদশ বক্ষহাড়ের মাঝে। নিচের চিত্রতে দেখানো হয়েছে placenta তে যৌনাঙ্গের অবস্থানগুলো।


তাই, এটা শক্তভাবে সত্য না যে ভ্রুনীয় অন্ডকোষরা নির্দিষ্টভাবে মেরুদন্ড ও একাদশ দ্বাদশ বক্ষহাড়ের মাঝে অবস্থিত যেহেতু gonadal or genital ridge হিসাবে (যৌনাঙ্গের পূর্বসুরি) সাধারনত তা mesonephros এর নিচের দিকে থাকে, এবং প্রাপ্তবয়স্কের কিডনি তৈরি হয় আসলে metanephros থেকে।

এটা বেঠিক হবে ভ্রুনিয় যৌনাঙ্গের অবস্থান প্রাপ্তবয়স্ক কিডনির অবস্থান থেকে নির্ণয়, যেহেতু যৌনাঙ্গ ও কিডনির ভ্রুনীয় অবস্থান তাদের প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থানের মতো না। যৌনাঙ্গ অবতরন করে যতক্ষনে কিডনি বড় হয় ও উর্ধারোহন করে। এটা লিপি করা উচিত যে উন্নয়নশীল যৌনাঙ্গগুলো mesonephros এর নালি-মধ্যে। (যেমনটা হয় ভ্রুনীয় কিডনি) এবং metanephros এ না। (যা উন্নয়ন হয়ে প্রাপ্তবয়স্ক কিডনিতে পরিনত হবে)। তাই এ থেকে দেখা যায় যে জাকির নায়েক জানেনা মূত্রজনন ব্যবস্থার ভ্রুনবিদ্যা সম্পর্কে এবং mesonephros ও metanephros এ পার্থক্য করতে পারেনা।

এমনকি যদি নায়েকের নির্দেশিত ভ্রুনিয় ও প্রাপ্তবয়স্ক শরীরবৃত্তিক অবস্থানগুলো গ্রহন করা হয়, তিনি তারপরেও ভুল কারন cryptorchidism এর ক্ষেত্রে যেখানে অন্ডকোষ নামেনি, না নামা অন্ডকোষের সর্বোচ্চ অবস্থানটা হচ্ছে কিডনির নিচে।

লিপি করুন যে কিডনির নিম্নতর ভিত্তিদন্ড থাকে L3 (তৃতীয় lumbar মেরুদন্ড) তে, তাই ভ্রুনিয় অন্ডকোষ অবশ্যই L3 এর নিচে থাকতে হবে। দ্বাদশ বক্ষহাড় L2 এর নিচে যায়না। যেহেতু অন্ডকোষরা কিডনির নিচে, সেক্ষেত্রে কোনো সম্ভাবনা নেই যে অন্ডকোষরা কোনোদিনই পাজর ও মেরুদন্ডের মাঝে ছিলো ভ্রুনিয় অথবা প্রাপ্তবয়স্ক পর্যায়ে।

এটা আরো দেখে মনে হয় যে এটা প্রতিবৌদ্ধিক বা বোকামি যে 'ফোটা নিঃসারিত, মেরুদন্ড ও পাজরের মাঝ থেকে' এর অনুবাদকরনে বুঝানো যে তা দিয়ে ভ্রুনিয় উন্নয়ন বুঝায় অন্ডকোষের, যেহেতু 'ফোটা নিঃসারিত' দিয়ে বুঝায় পূর্ণ উন্নত ও চালু অন্ডকোষ, কোনো ভ্রুনিয় গঠনের চেয়ে। ভ্রুনিয় অন্ডকোষ নির্গত, নির্গমন, তীব্রস্খলন করেনা কোনো বস্তুুর জন্যই। কেবল peri- ও post-pubertal অন্ডকোষ তা করে।

নায়েকের ব্যাখ্যা স্নায়ু, রক্ত এবং লিম্ফীয় চালনা তলপেটের ধমনী থেকে হওয়ার ব্যাপারটাই অপ্রাসঙ্গিক এবং উপাদান হয় লাল হেরিং হেত্বাভাস এর। এটার কারন আয়াত ৮৫:৬ বলে 'একটা নির্গত ফোটা' নিয়ে, প্রচলিতভাবে যা বুঝা হয় বির্য ও কেবল বির্য বুঝাতে, যেহেতু এই ফোটাটা সরাসরি দায়ি মানব বংশবৃদ্ধির জন্য, এমনকিছু যা দাবি করা সম্ভব না স্নায়ু সিগনাল, রক্ত বা লিম্ফ এর জন্য। আরো, চলনব্যবস্থা ও স্নায়ু সরবরাহ ভ্রুনিয় উৎপন্নের সাথে সহসম্পর্কিত না। যেমন, রক্ত সরবরাহ, লিম্ফাবলি ও স্নায়ু সরবরাহ সবগুলো নিম্নাঙ্গের জন্য শুরু হয় তলপেট ও কুচকিতে। এর মানে এই না যে নিম্নাঙ্গগুলো ভ্রুনিয়ভাবে উৎপত্তি হয়েছিলো তলপেট ও কুচকিতে।

জামাল বাদাউই

[সম্পাদনা]

"বাদাউই অবশ্যই ধারনা করে যে "তীব্রস্খলিত তরল সামনে ঢালা" নির্দেশ করে ধমনীকে যা তার নির্দেশিত একটা বই অনুযায়ি, "ক্লিনিকাল অ্যানাটমি", অন্ডকোষ ও ডিমাশয়কে সরবরাহ করে প্রয়োজনীয পুষ্টি দিয়ে ও এটা হচ্ছে যা কুরান নির্দেশ করে।" বাদাউই এর প্রস্তাবনা প্রমানিত যে একই ভুলে আছে সাথে ব্যাখ্যাও একই হবে যা নায়েকের রক্তসঞ্চালন প্রস্তাবনাতে দেওয়া হয়েছে।

==ইবনে কাথির-- ""ইয়াখরুজু মিন্ বায়নি আস-সাল্বি ওয়াত-তারাইব" চালিত হয় মেরুদন্ড ও পাজরের মাঝখান থেকে

এটা উপসংহারিত করে আয়াত ৫ এ শুরু হওয়া বর্ণনাকে। নিম্নোক্ত হচ্ছে এই আয়াতের উপরে মন্তব্যবলী থেকে সংগৃহিত, তাফসির ইবনে কাথির থেকে:

মানুষের সৃষ্টি একটা তরলের ফোটা থেকে যা তীব্রস্খলিত হয় মেরুদন্ড ও পাজরের মাঝ থেকে তা নির্দেশিত করে, আল্লাহ জোরদার বর্ণনা করে মানুষের অন্তরীন দূর্বলতাকে...আল্লাহ বলে যে মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের বির্যতরল থেকে যা মেরুদন্ড থেকে স্খলন হয় এবং নারীর হলুদে তরল যা নির্গত হয় তার পাজর থেকে।'"

আধুনিক মেডিকেল বিজ্ঞান দেখিয়েছে যে বির্য পুরুষের মেরুদন্ড থেকে উৎপাদিত হয়না, নারীর যৌনরসও পাজর থেকে উৎপাদিত হয়না।

মুহাম্মাদ আসাদ

[সম্পাদনা]

"(5) মানুষকে পর্যবেক্ষন করতে দাও যে সে কি থেকে সৃষ্টি হয়েছে (6) সে সৃষ্টি হয়েছে বির্যতরল থেকে (7) পুরুষের যৌনাঙ্গ ও নারীর কোমরসন্ধির বাক থেকে

বহুবচন তারাইব, যা আমি অনুবাদ করেছি "কোমরের বাক" হিসাবে, তার আরেকটি অর্থ আছে পাজর বা হাড়ের বাক হিসাবে। অধিকাংশ উৎসের হিসাবে যারা বিরল কুরানিক বচনে বিশেষত্ব রাখতো, এই কথনটা নির্দিষ্টভাবে নারীর শরীরবৃত্তকে বুঝায় (তাজ আল আরুস)"

আসাদের নিজস্ব আবিষ্কৃত সংজ্ঞা তারাইব এর ক্ষেত্রে এটা নয় যে এটার মানে কোমরসন্ধি, কিন্তু কোমরসন্ধির বাক যেটা হচ্ছে কোমরসন্ধির একটা অংশ।. এমনকি যদি এটা এবং আসাদের সংজ্ঞা সাল্ব এর ক্ষেত্রে পুরুষ যৌনাঙ্গ (আধুনিক অর্থের ভিত্তিতে, তার প্রাচীন ও প্রাথমিক অর্থ পিঠের বদলে) গৃহীত হয়, এটা অনেক দূরের ব্যাপার যে যৌনৎপাদন হচ্ছে পুরুষ যৌনাঙ্গ ও নারীর কোমরসন্ধির বাকের মিলনে হয়। অধিকন্তু, "কোমরসন্ধির বাক" হচ্ছে তার নিজস্ব চিন্তামূলক সংজ্ঞা, তারাইবের। এবং সে এমনকি কোনো প্রমান দেয়না যে তারাইব মানে "হাড়ের বাক" হতে পারে। তার আসল অর্থ হচ্ছে উপরের পাজর।

হামজা ট্জরট্জিস

[সম্পাদনা]

"তারাইব শব্দটির মানে হচ্ছে বুকের হাড়, পাজর বা কোমরসন্ধির বাক, এবং এই শব্দ অধিকাংশ লেখকের কথা অনুযায়ি নির্দিষ্টভাবে মেয়েদেরকে নির্দেশ করে।" হামজা ট্জরট্জিস এর ওয়েবসাইটে একটা লিখনি আছে যেটাতে সে মুহাম্মাদ আসাদ যা বলেছে তা ভুল বুঝেছে, নির্দেশ করতে চেয়েছে যে কোমরসন্ধির বাক সংজ্ঞাটা এসেছে তাজ আল আরুস থেকে, যা সে সরাসরি উদ্ধৃত করে এই দাবির জন্য আসাদের সাথে।. হামজা একটা ভুল করেছে, এবং ব্যাপারটা নিয়ে সে সচেতন (এই ব্যাপারটা ধরিয়ে দেওয়া প্রাইভেট মেসেজ অগ্রাহ্য করা, এবং একই দাবিযুক্ত একটা বড় পত্রকে সরিয়ে ফেলা সেটা সম্পূর্ণ ধরা পড়ার পরে)। উপরে যেমনটা দেখানো হলো, কোমরসন্ধির বাক হচ্ছে আসাদের নিজস্ব সংজ্ঞা শব্দটার।

মইজ আমজাদ

[সম্পাদনা]

মইজ আমজাদ ৩ টা দাবি করে:

1.সাল্ব এবং তারাইব দিয়ে অন্ডকোষের রক্ত সরবরাহকে বুঝায় যা মানুষের পিঠ ও পাজরের মাঝ থেকে আসে।

এই প্রস্তাবনাটা প্রমানিত ভুল, একই ব্যাখ্যা যা জাকির নায়েকের জন্য দেওয়া

2. ভ্রনিয় যৌনাঙ্গ এই এলাকাতে শুরু হয়

এই প্রস্তাবনাটা প্রমানিত ভুল, একই ব্যাখ্যা যা জাকির নায়েকের জন্য দেওয়া

3. সাল্ব ও তারাইব শব্দদুটা পুরুষ যৌনাঙ্গের জন্য লুকোশব্দ

আমজাদ এটা দেখানোর চেষ্টা করে মানুষের কংকালের ছবির উপরে দাগ একে। কিন্তু, যেকোনো দাগই মানুষের যেকোনো অঙ্গকে ধরতে পারবে যদি সে দাগটা শরীরের উপরে আকা হয়।

একইভাবে, তর্কসমূহ যা দাবি করে যে সাল্ব ও তারাইব হচ্ছে পুরুষ ও নারী যৌনাঙ্গের লুকোশব্দ তা কম বোধ তৈরি করে। এর চেয়ে ভালো লুকোশব্দ আছে যৌনাঙ্গ প্রকাশের জন্য, যেহেতু বির্য কখনো আলাদা অঙ্গসমূহের মধ্যে প্রবাহিত হয়না। সেটা যেখানেই হোক, তা সবসময়ে একটা অঙ্গের ভেতরে প্রবাহিত হয়।

তাহির উল কাদরি

[সম্পাদনা]

তাহির উল-কাদরি নিম্নোক্ত দাবিগুলো করে ""তো মানুষকে চিন্তা করতে দেওয়া হোক যে সে কি থেকে সৃষ্ট।

সে সৃষ্ট একটি তীব্রস্খলিত তরল থেকে যা তৈরি হয়

sacrum ও symphisis pubis এর মাঝ থেকে" আরবি শব্দ অন্যান্য বহু ভাষার মতো প্রায় একটা শব্দের একটার বেশি অর্থ বহন করে। For instance the Arabic word ‘salat’ has 60 meaningsউদাহরনস্বরুপ আরবি শব্দ 'সালাত' এর ৬০ টা অর্থ আছে। ... অধিকন্তু বির্যপ্রবাহের পথটা sacrum যাকে সাল্ব বলা হয় কুরানের আয়াতে এবং symphisis pubis যাকে তারাইব বলা হয়, তাদের মাঝে থাকে।"

এমন কোনো প্রমান নেই যে তারাইবকে অনুবাদ করা যায় pubic symphysis হিসাবে। এমনকি যদি কাদরির দাবি মতো একটা শব্দের বড় সংখ্যক অর্থ থাকাটা সত্য ও প্রযোজ্য হতো এই ব্যাপারে, তারাইব দিয়ে হয়তো বহু অঙ্গ বোঝাতো pubic symphsis বাদে। ওসব অঙ্গদের কোনো সম্পর্ক থাকতো না বির্য প্রবাহের জায়গার সাথে। এটা সাধারন টেক্সাস নিখুতগোলন্দাজ হেত্বাভাস যেখানে কেবল সাদৃশ্যগুলো দেখা হয় দুই সেট তথ্যের মধ্যে ও উপসংহার টানা হয় পার্থক্যগুলো বাদ দিয়ে। কাদরি অন্ডকোষগুলো এড়িয়ে গেছে যা তৈরি করে প্রয়োজনীয় বির্য। এগুলো তার উল্লেখিত এলাকাতে অবস্থিত না কিন্তু symphisis এর নিচে।

ইউসুফ আলি

[সম্পাদনা]

"একজন পুরুষের বিজ হচ্ছে তার শরীরের প্রধানাংশ। এটা এজন্যই রুপক আকারে বলা হয় যে তা তার loin থেকে আসে, মানে তার পিঠ থেকে, কোমররসন্ধির হাড় ও তার পাজরের মাঝ থেকে।তার মেরুদন্ড হচ্ছে তার শক্তি ও ব্যক্তিত্বের উৎস ও চিহ্ন। তার মেরুরজ্জু ও মগজে কেন্দ্রীয় স্নায়ুবিক ব্যবস্থার নির্দেশকারি শক্তি আছে।, এবং এটা শারীরিক ও মানসিক সকল শক্তিকে চালিত করে। মেরুরজ্জুটা মগজের medulla oblongata এর সাথে ক্রমচলমান থাকে।"

  • প্রথমত ইউসুফ আলি ব্যাখ্যা করেনি যে বিজ দিয়ে সে কি বুঝায়: বির্যকোষ, বির্য, ডিমকোষ অথবা ভ্রুন। এটা স্পষ্ট করা উচিত ছিলো কারন আয়াতটা সাধারনত নেওয়া হয় পুরুষের তরলকে বুঝাতে কিন্তু একজন মানুষ নারির ডিমকোষ ছাড়া তৈরি হয়না। যদি বিজ দিয়ে একটা লিঙ্গকে বুঝায়, তাহলে তা পক্ষপাতগ্রস্ত ও বেঠিক; কিন্তু যদি তা উভয় লিঙ্গকে বুঝায়, মেরুদন্ড ও পাজরের অনুবাদটা তাহলে উভয়ের জন্য প্রযোজ্য হতে হবে।
  • যদি মেরুদন্ড এত জরুরি হয় পুরুষের অস্তিত্বের জন্য, তাহলে এটা বুঝা কঠিন যে কেনো একইরকম প্রয়োজনীয় বিজ বা ফোটাটা মেরুদন্ডের কাছে প্রবাহিত হবে উভয়ই একই জিনিস রুপক অর্থে না হয়ে। একজন পুরুষের মেরুদন্ড প্রায়ই রুপক হতে পারে কিন্তু তা কোনোভাবেই তার বংশধরের সাথে সম্পর্কিত না।
  • medulla oblongata এর নাম নিবার কোনো কারনই নেই।

বিবিধ দাবি

[সম্পাদনা]

"মেরুদন্ড ও পাজরের মাঝে দুই মেরুরজ্জু কেন্দ্রের কাজ মেরুরজ্জু ও যৌনাঙ্গকে যুক্ত রাখা এবং স্নায়ুগুলো প্রস্রাবনালির ভাল্ভ নিয়ন্ত্রন করে বির্যপাত ঘটায়।"

এই দাবিটি ভুলে ভরা কারন এটা আয়াতের অর্থকে উল্টিয়ে দাবি করে যে বির্যপাতের বলটা আসে মেরুদন্ড ও পাজরের মাঝ থেকে। আসল আয়াতে দাবি করে "তরল প্রবাহ" এর এবং তার কারনটা না।

"coccyx এর মাথা থেকে যেকোনো seminal vesicle এর উপরের দিকে আকা রেখা পাজরের দিকে যাবে। যেসব বির্যনালি থেকে বির্য বের হয়, তা পাজর ও coccyx বা লেজহাড়ের মাঝে থাকে।"

পাজরগুলো seminal vesicle এর উপরে যারা coccyx এর মাথার উপরে যখন দাড়ানো ব্যক্তির শরীরবৃত্ত দেখা হয়। যেহেতু কেবল উপরের দিকটাই coccyx ও পাজরের মাঝে পড়ে, vesicle টা আসলে loin ও পাজরের মাঝে না।

"তারাইব শব্দ দিয়ে নারির জরায়ুকে বুঝায় যেহেতু তার চারপাশে পাজর থাকে গর্ভবতী অবস্থায়।"

যদিও পাজর প্রায় গোলাকৃতি, জরায়ু কখনোই তার ভেতরে নেই। আরো, ভ্রুনটা "তৈরি" হয়ে থাকে গর্ভাবস্থার বহু আগে যেহেতু আয়াতটা নিষিক বুঝায়। এখানে আলোচিত তরলটা কখনোই নারির পাজরের কাছে প্রবাহিত হয়না।

"যে germ cell গুলো পরে বির্যকোষে পরিনত হয়, তা মেরুদন্ডের কাছে তৈরি হয়।"

এটাও ভুল। spermatogonium থেকে sperm পর্যন্ত সবকিছু অন্ডকোষে তৈরি হয়।

উপসংহার

[সম্পাদনা]

কুরান সঠিকভাবে বির্য উৎপাদন বর্ণনা করে তা দেখানোর বিভিন্ন চেষ্টাগুলো আধুনিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান দিয়ে সমর্থিত না।

এই প্রস্তাবনাগুলো প্রায়ই পরস্পরবিরোধি, উদাহরনস্বরুপ, ইবনে কাথির নির্দেশ করে তারাইব হচ্ছে নারির অঙ্গ, যখনন অন্য তাফসিরগুলো দাবি করে তা পুরুষের অঙ্গ। আরেকটা পরস্পরবিরোধিতা হচ্ছে সাল্ব মানে হয় মেরুদন্ড নয় শক্তকরন নয় যৌনাঙ্গ বুঝানো।

  1. http://iknowledge.islamicnature.com/quran/surah/86/lang/englishliteral/ ৮৬. আত-তারিক - সকালের নক্ষত্র (سورة الطارق) - Revealed in Makkah (English: Literal)] - IslamicNature, accessed November 15, 2011