ব্যবহারকারী:Gyanxct/খেলাঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মলুকদাস[সম্পাদনা]

মলুকদাস (সন ১৬৩১ বৈশাখ বদি ৫ - সন ১৭৩৯ বৈশাখ বদি ১৪) এক সন্ত কবি ছিলেন। ওনার জন্ম, সন ১৬৩১ এর বৈশাখর বদি ৫, কড়া (জি. ইলাহাবাদ) এর কক্কড খত্রী সুন্দরদাস এর ঘরে হয়েছিল। ওনার পূর্বের নাম 'মল্লু' ছিল আর ওনার আর তিন ভাই ছিল, ভাইদের নাম: যথাক্রমে হরিশ্চন্দ্র, শৃঙ্গার তথা রামচন্দ্র।[১] ওনার 'পরিচয়' এক লেখক, তথা ওনার ভাগ্নে এবং শিষ্য মধুরাদাসের অনুসারে তাঁর পিতামহের নাম জহরমল ছিল। আর ওনার প্রপিতামহের নাম রেণীরাম ছিল। তিনি বলতেন যে মল্লু তার ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত উদার এবং কোমল হৃদয়ের ছিল। তথা ওনার মধ্যে ভক্তের লক্ষণ পাওয়া যেতে লাগে।

এই লক্ষণ তার মাতা পিতার পছন্দ হত না। আর জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্য, তিনি তাকে কেবল বিক্রি করার কাজ দিয়েছিলেন। কিন্তু এতে সফলত হতে পারেননি,

আর বহুধা মঙ্গতো দিয়ে যাওয়ার কম্বল এর পরিস্থিতি শুনে আরো কলেশ হতে লাগে।

বালক মূল্লুকে শিক্ষার দেওয়ার বিবরণ আমাদের উপলব্ধ নেই। তাই এমন অনুমান করা যায় যে খুব বেশি শিক্ষিত ছিলেননা হয়তো। বলা হয়, ওনার প্রথম গুরু কোন পুরুষোত্তম ছিলেন যিনি দেবনাথের পুত্র ছিলেন। আর পূরে তিনি মুরারিস্বামী থেকে দীক্ষা গ্রহণ করেন যার বিষয়ে তিনি স্বয়ং বলেছেন, আমাকে মুরালি সতগুরু প্রাপ্ত হয়েছে যিনি আমার উপর বিশ্বাসের ছাপ লাগিয়ে দিলেন, (সুখসাগর প্রাস্ট ১৯২)[২]



সতগুরু এবং পরমাত্মা মিলন[সম্পাদনা]

বলা হয় যে আদরণীয় মলুক দাস জী ৪২ বছর বয়সে পূর্ণ পরমাত্মা পেয়েছিলেন। তথা নিজের পরমধাম সতলোকে নিয়ে যান তথা দুই দিন পর পুনরায় পাঠিয়েছিলেন। শ্রী মলুক দাস জী দুদিন পর্যন্ত অচৈতন্য ছিলেন। তারপর সতলোক থেকে আসার পর নিম্ন বাণী উচ্চারণ করেন:

জপো রে মন সতগুরু নাম কবীর ।।টেক।।

এক সময় গুরু বংশী বজাই কালইন্দ্রি কে তীর।

সুর-নর মুনি থক গয়, রুক গয়া দরিয়া নীর।।

কাশি তজ গুরু মগহর আয়ে, দোনো দিন কে পীর।

কোই গাড়ে কোই অগ্নি জড়াবে, ঢুন্ডা ন পায়া শরীর।

চার দাগ সে সতগুরু ন্যারা, আজরো অমর শরীর।

দাস মলুক সলুক কহত হে, খোজো খসম কবীর।।

এই বাণীতে মুখ্য রূপে কবীর জির কথা উল্লেখ আছে, এবং মলুকদাস জিও কবীর জীকে সদগুরু বলেছেন।

এবং চার দাগ সে ন্যারা, অর্থাৎ কোন রকম নষ্ট না হওয়া অজর অমর শরীর যুক্ত কবীর জীকে বলেছেন। শেষে তে "খসম" অর্থাৎ স্বামী ও বলেছেন, যা প্রমাণ করে মলুকদাস জি কবীর জীকে নিজের পরম গুরু এবং পরমাত্মা মানতেন। এটা এই কথারও সংকেত যে মুরারি কবীর জিকেই বলা হয়।[৩]



সৃষ্টি এবং প্রচার[সম্পাদনা]

শন্ত মূলকদাসের রচনার সংখ্যা ২১ পর্যন্ত বলা হয়েছে, আর সেখানে' 'অলখবাণী', ' গুরুপ্রতাপ', 'জ্ঞানবোধ', 'পুরুষবিলাস', 'ভগত বাচ্ছাবলি', 'ভগত বিরুদাবলি', 'রতনখান', 'রামাবতার লীলা', 'সাখী', 'সুখসাগর' তথা 'দশরত্ন' বিশেষ রূপে উল্লেখ্যনীয়।

  এরমধ্যে থেকে কিছু সোজা সম্বন্ধ সন্তমতের সঙ্গে বোঝা হয়। আর অন্যদের জন্য বলা হয়েছে যে তাদের মুখ্য বিষয় সগুণ ভক্তি। ইনাদের কতিপয় বেছে নেওয়া রচনার আধারে বলা যেতে পারে যে ইনাদের পরমাতমার অস্তিত্ব প্রবল আস্তা ছিলেন আর এই না কেবল তার সতনাম সমিরন কে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন, অর্থাৎ নিজের ভিতরে তার প্রত্যক্ষ অনুভব করতে পারছিলেন।

কোন বিশেষ পরিস্থিতি আসলে ঘবরাতেন না সম্পূর্ণ বিশ্ব কল্যাণ এর  দৃষ্টিতে সমস্ত দুঃখ নিজের উপর নিতে চাইছিলেন। নিজের আধ্যাত্মিক বৃত্তি এবং হৃদয়ের বিশালতার কারণ, এই ক্রমশ: অনেক বিখ্যাত হয়ছে আর ইনার উপদেশ এর প্রচার উত্তর প্রদেশ এর প্ৰযাগ, লখনও ইত্যাদি থেকে শুরু করে পশ্চিমের জয়পুর, গুজরাত, কাবুল ইত্যাদি পর্যন্ত তথা পূরব আর পশ্চিম দিকে পটনা এবং নেপাল পর্যন্ত হয়েছে আর প্রসিদ্ধি আছে যে ইনার কোন গদ্দি শ্রীকাকুলম (অন্ধ্রপ্রদেশ) পর্যন্ত পাওয়া যায়। কিন্তু ইনার অনুযায়ীদের সর্বপ্রথম কেন্দ্র কডা ই মানা যায়।[৪]

রিচার্ড জে. ফিনেগান (১৮৮৪-১৯৫৫) ২০ শতকের শিকাগো সংবাদপত্রের একজন বিশিষ্ট সম্পাদক ছিলেন। অল্প বয়সে, ফিনেগান শিকাগো ক্রনিকলের অফিস বয় হিসেবে কাজ করতেন। ১৯০৩ ইরোকুইস থিয়েটার ফায়ার কভার করা ছিল তার প্রথম বড় গল্প এবং একটি স্থায়ী রিপোর্টার চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। পরে তিনি শিকাগো আন্তঃ মহাসাগরে চলে যান, তিনি দুই বছর ধরে রিপোর্ট করেন এবং রাতে আইন অধ্যয়ন করেন। তারপরে তিনি সন্ধ্যায় শিকাগো ডেইলি জার্নালে চলে যান, অবশেষে ১৯১৬ সালে সেই কাগজের ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের ভূমিকায় উঠে আসেন। যখন মালিক স্যামুয়েল এমোরি থমাসন ১৯২৯ সালে শিকাগো ডেইলি নিউজের কাছে জার্নালের নাম এবং প্রচলন বিক্রি করেছিলেন (কিন্তু জার্নাল বিল্ডিং এবং সরঞ্জাম বজায় রেখেছিলেন), তখন তিনি শিকাগোর ফাই প্রতিষ্ঠায় থমাসনের সাথে যোগ দেন এবং ১৯৪৮ সালে, তিনি শিকাগো সান-টাইমস গঠন করতে সেই কাগজটিকে শিকাগো সান-এর সাথে একত্রিত করতে সাহায্য করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সান-টাইমস-এর সাথে ছিলেন।

  1. "भगवान के भेजे दूत थे संत मलूकदास"Dainik Jagran (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-৩১ 
  2. "Google"www.google.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৩ 
  3. "Google"www.google.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৩ 
  4. "Google"www.google.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৩