বেঞ্জামিন রবিন্স কার্টিস
বেঞ্জামিন রবিন্স কার্টিস | |
---|---|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সহযোগী বিচারপতি | |
কাজের মেয়াদ ২২ সেপ্টেম্বর, ১৮৫১[১] – ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৮৫৭ | |
মনোনয়নকারী | মিলার্ড ফিলমোর |
পূর্বসূরী | লেভি উডবারি |
উত্তরসূরী | নেথান ক্লিফোর্ড |
বেঞ্জামিন রবিন্স কার্টিস (ইংরেজি: Benjamin Robbins Curtis) (জন্ম: ৪ নভেম্বর, ১৮০৯ – ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৭৪) একজন মার্কিন আইনজীবী, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি। তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আইন বিষয়ে শিক্ষা পাওয়া ও ড্রিগিধারী প্রথম বিচারপতি এছাড়া তিনি রাষ্ট্রপতি অ্যান্ড্রু জনসনের অভিশংসন মামলার প্রধান কাউন্সেল হিসেবেও কার্যপরিচালনা করেছেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]বেঞ্জামিন কার্টিসের জন্ম ৪ নভেম্বর, ১৮০৯ সালে, ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ওয়াটারটাউনে। তার মায়ের নাম লুইস রবিন্স ও বাবার নামও বেঞ্জামিন কার্টিস। তার বাবা ছিলেন বাণিজ্যিক জাহাজের একজন ক্যাপ্টন। নিউটনের স্থানীয় একটি স্কুলেই কার্টিসের পড়াশোনা শুরু হয়। ১৮২৫ সালে তিনি হার্ভার্ড কলেজে পড়াশোনা করতে যান, এবং সেখানে গদ্য লেখার এক প্রতিযোগীতায় পুরস্কার লাভ করেন। ১৮২৯ সালে তিনি সেখান থেকে তার স্নাতক সম্পন্ন করেন।[২] পরবর্তীকালে ১৮৩১ সালে তিনি হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন ও একই বছরে তিনি বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন।
১৮৩৪ সালে তিনি বোস্টনে চলে যান এবং সেখানকার চার্লস পি কার্টিস এসকোয়ার ল ফার্মে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। ১৮৪৯ সালে তিনি ম্যাসাচুসেটস হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের একজন সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।[৩]
সুপ্রিম কোর্টে কার্যকাল
[সম্পাদনা]যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি মিলার্ড ফিলমোর ১৮৫১ সালে ২২ সেপ্টেম্বরে বেঞ্জামিন কার্টিসকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ প্রদান করেন। বিচারপতি হিসেবে তার নিয়োগের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করেছিলেন ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর ড্যানিয়েল ওয়েবস্টার[৪]
তিনি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টে আইন বিষয়ে ডিগ্রিধারী প্রথম বিচারপতি। তার পূর্বসূরি লেভি উডবারি ১৮৮৬ সালে সুপ্রিম কোর্টে যোগদান করেন। তিনি কানেক্টিকাটের এক আইন স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন মাত্র, কিন্তু ডিগ্রি গ্রহণের আগেই আইন স্কুল ত্যাগ করেছিলেন।[৪][৫][৬]
১৮৫৭ সালে ড্রেড স্কট বনাম স্যানফোর্ড মামলার অগ্রহণযোগ্য অনুভূতির কারণে কার্টিস সুপ্রিম কোর্ট থেকে পদত্যাগ করেন।[৬][৭] এছাড়া আরো বলা হয় যে, তিনি তার অপর্যাপ্ত বেতনসীমার কারণেও সুপ্রিমকোর্ট থেকে পদত্যাগ করে থাকতে পারেন।[৮] তিনি মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের একমাত্র ব্যক্তি যিনি নীতির প্রশ্নে কোর্ট থেকে পদত্যাগ করেন।[৪]
পদত্যাগ পরবর্তী জীবন
[সম্পাদনা]পদত্যাগের পর বেঞ্জামিন কার্টিস তার পূর্বের আইন পেশায় ফিরে যান। পরবর্তীকালে তিনি দেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী আইনজীবী হিসেবে আবির্ভূত হন। প্রায় দেড় দশকের আইন পেশাজীবনে সুপ্রিম কোর্টের বহু মামলায় তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।[৯]
১৮৬৮ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি অ্যান্ড্রু জনসনের অভিশংসন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি নিজেই অভিশংসন পত্র পাঠ করেছিলেন। অভিশংসন বিচারের পর তিনি রাষ্ট্রপতির যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।[৯] সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্যামন পি. চেইসের মৃত্যুর পর তিনি ছিলেন প্রধান বিচারপতি হওয়ার একজন শক্তিশালী প্রতিযোগী, যদিও পরবর্তী সময়ে তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হননি।[৯] ১৮৭৪ সালে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন, যা ব্যর্থ হয়েছিলো।[১০] সে বছর তার মোট উপার্জন ছিলো প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।[৯]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]ব্যক্তিগত জীবনে কার্টিস তিন বার বিয়ে করেছিলেন। তার সন্তান সংখ্যা ছিলো ১২।[৪]
১৮৭৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কার্টিস মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ম্যাসাচুসেটসের ক্যামব্রিজে অবস্থিত মাউন্ট অবার্ন সিমেট্রিতে কবরস্থ করা হয়।[১১][১২][১৩]
প্রকাশিত কাজ
[সম্পাদনা]- Reports of Cases in the Circuit Courts of the United States (2 vols., Boston, 1854)
- Judge Curtis's Edition of the Decisions of the Supreme Court of the United States, with notes and a digest (22 vols., Boston: Little Brown & Company, 1855).
- Digest of the Decisions of the Supreme Court of the United States from the origin of the court to 1854 Little Brown & Co., (1864).
- Memoir and Writings (2 vols., Boston, 1880), the first volume including a memoir by George Ticknor Curtis, and the second "Miscellaneous Writings," edited by Benjamin R. Curtis, his son.[৯][১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Federal Judicial Center: Benjamin Robbins Curtis"। ২০০৯-১২-০৯। ২০০৯-০৫-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৯।
- ↑ Supreme Court Justices Who Are Phi Beta Kappa Members ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে, Phi Beta Kappa website, accessed Oct 4, 2009
- ↑ The Political Graveyard
- ↑ ক খ গ ঘ Fox, John, The First Hundred Years: Biographies of the Robes, Benjamin Robinson Curtis. Public Broadcasting Service.
- ↑ Henry Julian Abraham, Justices, Presidents, and Senators: A History of the U.S. Supreme Court Appointments from Washington to Bush II (2007), p. 49.
- ↑ ক খ "Ariens, Michael, Benjamin Curtis."। ২৪ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ "Ariens, Michael, Roger B. Taney."। ১৬ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ Oyez.org Official Supreme Court Media, Benjamin Robbins Curtis.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ New Publications, Judge Benjamin R. Curtis, A Memoir of Benjamin Robbins Curtis, LL.D. With Some of his Professional and Miscellaneous Writings, Edited by his son, Benjamin R. Curtis,(October 19, 1879). New York Times
- ↑ ক খ Wilson, James Grant. Benjamin Robbins Curtis, Appletons Encyclopedia
- ↑ Christensen, George A. (1983) Here Lies the Supreme Court: Gravesites of the Justices, Yearbook Supreme Court Historical Society at Internet Archive.
- ↑ Benjamin Robbins Curtis memorial at Find a Grave.
- ↑ Christensen, George A., Here Lies the Supreme Court: Revisited, Journal of Supreme Court History, Volume 33 Issue 1, Pages 17 - 41 (Feb 19, 2008), University of Alabama.
আরো পড়ুন
[সম্পাদনা]- Abraham, Henry J. (১৯৯২)। Justices and Presidents: A Political History of Appointments to the Supreme Court (3rd সংস্করণ)। New York: Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-506557-3।
- Cushman, Clare (২০০১)। The Supreme Court Justices: Illustrated Biographies, 1789–1995 (2nd সংস্করণ)। (Supreme Court Historical Society, Congressional Quarterly Books)। আইএসবিএন 1568021267।
- Flanders, Henry. The Lives and Times of the Chief Justices of the United States Supreme Court. Philadelphia: J. B. Lippincott & Co., 1874 at Google Books.
- Frank, John P. (১৯৯৫)। Friedman, Leon; Israel, Fred L., সম্পাদকগণ। The Justices of the United States Supreme Court: Their Lives and Major Opinions। Chelsea House Publishers। আইএসবিএন 0791013774।
- Hall, Kermit L., সম্পাদক (১৯৯২)। The Oxford Companion to the Supreme Court of the United States। New York: Oxford University Press। আইএসবিএন 0195058356।
- Huebner, Timothy S.; Renstrom, Peter; coeditor. (2003) The Taney Court, Justice Rulings and Legacy. City: ABC-Clio Inc.আইএসবিএন ১-৫৭৬০৭-৩৬৮-৮.
- Leach, Richard H. Benjamin Robins Curtis, Judicial Misfit. The New England Quarterly, Vol. 25, No. 4 (Dec., 1952), pp. 507-523 (article consists of 17 pages) Published by: The New England Quarterly, Inc.
- Leach, Richard H. Benjamin R. Curtis: Case Study of a Supreme Court Justice (Ph.D. diss., Princeton University, 1951).
- Lewis, Walker (১৯৬৫)। Without Fear or Favor: A Biography of Chief Justice Roger Brooke Taney। Boston: Houghton Mifflin।
- Martin, Fenton S. (১৯৯০)। The U.S. Supreme Court: A Bibliography। Washington, D.C.: Congressional Quarterly Books। আইএসবিএন 0871875543। অজানা প্যারামিটার
|coauthor=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Simon, James F. (2006) Lincoln and Chief Justice Taney: Slavery, Secession, and the President's War Powers (Paperback) New York: Simon & Schuster, 336 pages. আইএসবিএন ০-৭৪৩২-৯৮৪৬-২.
- Urofsky, Melvin I. (১৯৯৪)। The Supreme Court Justices: A Biographical Dictionary। New York: Garland Publishing। পৃষ্ঠা 590। আইএসবিএন 0815311761।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Benjamin Robbins Curtis at Find A Grave
- Fox, John, 'The First Hundred Years, Biographies of the Robes, Benjamin Robinson Curtis. Public Broadcasting Service.
- New Publications, Judge Benjamin R. Curtis, A Memoir of Benjamin Robbins Curtis, LL.D. With Some of his Professional and Miscellaneous Writings, Edited by his son, Benjamin R. Curtis, (October 19, 1879). New York Times.