বেঙ্গালুরুর নীল আঙুর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বেঙ্গালুরুর নীল আঙুর
আঙ্গুর (ভিটিজ)
বেরি ত্বকের রঙকালো
প্রজাতিভাইটিস ল্যাব্রুস্কা
এছাড়াও ডাকা হয়ইসাবেল্লা
উল্লেখযোগ্য অঞ্চলব্যাঙ্গালুরু নগরী, চিকবল্লাপুর জেলা, কোলার জেলা

বেঙ্গালুরু নীল আঙ্গুর হল ভাইটাস লাব্রুস্কা আঙ্গুরের একটি জাত যা ভারতের ব্যাঙ্গালুরের আশেপাশের জেলাগুলিতে জন্মে। এই আঙ্গুরকে সাধারণভাবে বেঙ্গালুরু ব্লু-ও বলা হয়। এটি কর্ণাটক রাজ্যের আঙ্গুরের তিনটি প্রধান জাতের একটি (অন্য দুটি হল বীজবিহীন থমসন এবং আনাব-ই-শাহী দিলকুশ)। [১] ২০১৩ সালে ভারত সরকার এটিকে ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে চিহ্নিত করে। [২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বেঙ্গালুরু নগরী, চিক্কাবল্লাপুর এবং কলার জেলাগুলিতে গত দেড়শ বছর ধরে এই জাতটি জন্মে আসছে। মূলত নন্দী উপত্যকায় প্রায় ৫,০০০ হেক্টর জমিতে এটি একচেটিয়াভাবে চাষ করা হয়;[৩] এবং এখানে বছরে প্রায় ৪,৫০,০০০ টন ফল উৎপাদিত হয়।

উপস্থিতি এবং ব্যবহার[সম্পাদনা]

বেঙ্গালুরু ব্লু আমেরিকার কনকর্ড জাতের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। ফিলোক্সেরা পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে এটির শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এই আঙ্গুরের আবরণ নরম। আধুনিক গবেষণার দ্বারা দেখা যায়, এটি ক্যান্সার প্রতিরোধী ও এজিং প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। [৪]

এই আঙ্গুরের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অনুকূল পরিবেশ হল: লাল বালির লোমশ ধরনের মাটি, দিনের তাপমাত্রা ৩৫° থেকে ৩৭° সেঃ এবং রাতের তাপমাত্রা ১২°সে থেকে ১৫°সে। বেঙ্গালুরু অঞ্চলের আশেপাশে এই অনুকূল পরিব পাওয়া যায়, তাই সেখানে এগুলো একচেটিয়াভাবে জন্মে।

এই আঙ্গুর মূলত কাঁচা খাওয়া হয়, এছাড়া জ্যাম এবং জেলি, জুস, মদ তৈরীতে এটি ব্যবহৃত হয়।[৫]

ভৌগোলিক নির্দেশক[সম্পাদনা]

ভৌগোলিক নির্দেশক আইন ১৯৯৯ অনুযায়ী, ভারতের উদ্যানপালন বিভাগ চেন্নাইয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন, ও ট্রেডমার্ক নিয়ন্ত্রক জেনারেল কার্যালয়ে বেঙ্গালুরুর নীল আঙ্গুর নিবন্ধন করার প্রস্তাব করে, যাতে এটি ঐ অঞ্চলের চাষীদের একচেটিয়া ব্যবসা করতে এবং এর ব্র্যান্ডের মান বাড়াতে সাহায্য করে। [৬] তিন বছর পরে, ২০১৩ সালে এটিকে ভৌগোলিক নির্দেশক স্ট্যাটাস প্রদান করা হয়। এর ফলে চিক্কল্লাপুরপুরের অবস্থিত বেঙ্গালুরু ব্লু গ্রেপ গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এই জাত চাষের পেটেন্ট অধিকার লাভ করে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Vineyards in Karnataka"। karnataka.com। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. Kundu, Rhik। "Bangalore Blue Grapes gets Geographical Indication status"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. "Grape farmers get the blues"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. Aravamudan, Sriram। "Grapefully yours"Bangalore Mirror। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  5. Subramanya, K V। "Building brand value for Bangalore Blue grapes"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  6. Prabhu, Nagesh। "Know your onions about Bangalore Blue and Rose"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬