বিসিজি হারিকেন-শ্রেণীর বোট
শ্রেণি'র সারাংশ | |
---|---|
নাম: | বিসিজি হারিকেন-শ্রেণীর বোট |
নির্মাতা: |
|
ব্যবহারকারী: | বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড |
নির্মিত: | ২০১৪-২০১৫ |
পরিষেবাতে: | ২০১৫-বর্তমান |
অনুমোদন লাভ: | ২০১৫-বর্তমান |
সম্পন্ন: | ৪টি |
সক্রিয়: | ৩টি |
অবসরপ্রাপ্ত: | ১টি |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | বিসিজি হারিকেন-শ্রেণীর বোট |
ওজন: | ১১.৮ টন |
দৈর্ঘ্য: | ১৪ মিটার (৪৬ ফু) |
প্রস্থ: | ৪.২৫ মিটার (১৩.৯ ফু) |
গভীরতা: | ১.২০ মিটার (৩.৯ ফু) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | ২৫ নট (৪৬ কিমি/ঘ; ২৯ মা/ঘ) |
সীমা: | ৩০০ নটিক্যাল মাইল (৫৬০ কিমি; ৩৫০ মা) |
সহনশীলতা: | ৭ দিন |
লোকবল: | ৩৬ জন |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
বিসিজি হারিকেন-শ্রেণীর বোট হলো নেদারল্যান্ডে নির্মিত উদ্ধারকারী নৌযানের শ্রেণী যা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক ব্যবহৃত হয়। উক্ত নৌযানসমূহ ডাচ হেলথ বিভি, নেদারল্যান্ড এবং ইউরো অফশোর ট্রেডিং- ওয়ারকেন্ডাম-হল্যান্ড কোম্পানি দ্বারা নির্মিত হয়। প্রতিটি নৌযান সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর জন্য "দি প্রজেক্ট ফর দি ইমপ্রুভমেন্ট অফ রেসকিউ ক্যাপাসিটিস ইন দি কোস্টাল অ্যান্ড ইনল্যান্ড ওয়াটার্স" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৪টি হারিকেন-শ্রেণীর উদ্ধারকারী নৌযান সংগ্রহের পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়। এরই অংশ হিসেবে উক্ত নৌযানসমূহ ডাচ হেলথ বিভি, নেদারল্যান্ড এবং ইউরো অফশোর বিভি-ওয়ারকেন্ডাম-হল্যান্ড কোম্পানি কর্তৃক নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকাজ শেষে ২ ডিসেম্বর, ২০১৫ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়-এর তৎকালীন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট নৌযানসমূহ হস্তান্তর করেন। বর্তমানে কোস্ট গার্ডের বহরে ৩টি নৌযান সক্রিয় রয়েছে।
বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]
বিসিজি হারিকেন-শ্রেণীর রেসকিউ বোটের দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার (৪৬ ফু), প্রস্হ ৪.২৫ মিটার (১৩.৯ ফু), গভীরতা ১.২০০ মিটার (৩.৯৪ ফু) এবং ওজন ১১.৮ টন।
নৌযানে প্রচালনশক্তি হিসেবে রয়েছে:
- ২টি ৯৬৫ অশ্বশক্তি (৭২০ কিওয়াট) বিশিষ্ট মেরিন ডিজেল ইঞ্জিন (জাপান);
- ২টি ২১ অশ্বশক্তি (১৬ কিওয়াট) (১,৫০০ আরপিএম) বিশিষ্ট কোহলার ১৭ ইএফওজেডডি জেনারেটর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ২টি জেডএফ ৩১১এ গিয়ার বক্স (জার্মানি);
- ২টি ৪ পাখাযুক্ত ফিক্সড পিটচ প্রোপেলার;
- ২টি শ্যাফট।
নৌযানের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৫ নট (৪৬ কিমি/ঘ; ২৯ মা/ঘ)। এছাড়াও নৌযানসমূহ ৩৬ জন সদস্য নিয়ে একনাগাড়ে ৭ দিন সি স্টেট-৪ মাত্রায় ৩০০ নটিক্যাল মাইল (৫৬০ কিমি; ৩৫০ মা) বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকা জুড়ে অভিযান পরিচালনা করতে পারে এবং সি স্টেট-৬ মাত্রা অবধি টিকে থাকতে সক্ষম। সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি হিসেবে রয়েছে:
- ১টি ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র্যাডার (জাপান);
- ১টি ডিজিপিএস রিসিভার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি সাউন্ড ভেলোসিটি প্রোফাইলার (যুক্তরাজ্য);
- ১টি চৌম্বকীয় কম্পাস (জাপান);
- ১টি জিপিএস রিসিভার (ফুরুনো);
- ১টি ইকো সাউন্ডার (কোডেন);
- ১টি রাডার অ্যাঙ্গেল ইন্ডিকেটর;
- ১টি ভিএইচএফ সেট (আইকম);
- ৩টি ভিএইচএফ ওয়াকিটকি সেট (আইকম/মটোরোলা)।
জাহাজের কর্মকর্তা এবং নাবিকদের জন্য রয়েছে:
- ১টি কেবিন (কর্মকর্তার জন্য);
- ১টি কেবিন (নাবিকদের জন্য- ৪টি বেডসহ);
- ১টি কেবিন (অতিথিদের জন্য)।
প্রতিটি কেবিন রান্না, খাবার এবং বিনোদনের জন্য উপযুক্ত আসবাবপত্র এবং জিনিসপত্র সহ সজ্জিত।
জাহাজসমূহ[সম্পাদনা]
পরিচিতি সংখ্যা | নাম | নির্মাতা | নির্মাণ শুরু | হস্তান্তর | সংযোজন | অবস্থা |
সক্রিয় (৩টি) | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
আরবি২০০১ | - | ডাচ হেলথ বিভি, নেদারল্যান্ড | - | ২ ডিসেম্বর, ২০১৬ | - | সক্রিয় |
আরবি২০০২ | - | |||||
আরবি২০০৩ | - | |||||
আরবি২০০৪ | - |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "ALL BOATS - BANGLADESH COAST GUARD" (পিডিএফ)। coastguard.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৮।
- ↑ NL4WorldBank (২০১৫-১২-২৪)। "Dutch Health delivers four boats to Bangladesh"। Netherlands for the World Bank (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-২৫।
- ↑ "Custom works boats"।
- ↑ "Commissioning Ceremony of 4 x 14 meter SAR/AMbulance Boats to the Coast Guard in Chittagong Bangladesh to the Minister of Disaster Management built by Dutch Health"। www.facebook.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-২৫।