বিসিজিএস বলেশ্বর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিসিজিএস বলেশ্বর (এইচপিবি৪৯০৩) ও বিসিজিএস তেতুলিয়া (এইচপিবি৪৯০৪), বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জেটি, পটুয়াখালী
ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বিসিজিএস বলেশ্বর
নির্মাতা:
অর্জন: ১৫ মার্চ, ২০১৫
শনাক্তকরণ: এইচপিবি৪৯০৩
অবস্থা: সক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: বলেশ্বর-শ্রেণীর হারবার প্যাট্রোল বোট
ওজন: ২৫ টন
দৈর্ঘ্য: ১৮ মিটার (৫৯ ফু)
প্রস্থ: ৫.৫১ মিটার (১৮.১ ফু)
গভীরতা: ১.৪০ মিটার (৪.৬ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × ৮০০ অশ্বশক্তি (৬০০ কিওয়াট) (২,৩০০ আরপিএম) বিশিষ্ট ভলভো পেন্টা ডি১৩-৮০০ ডিজেল ইঞ্জিন (সুইডেন);
  • ২ × ২১ অশ্বশক্তি (১৬ কিওয়াট) (১,৫০০ আরপিএম) বিশিষ্ট কোহলার ১৭ ইএফওজেডডি জেনারেটর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
  • ২ × জেডএফ ৩১১এ গিয়ার বক্স (জার্মানি);
  • ২ × ৪ পাখাযুক্ত ফিক্সড পিটচ প্রোপেলার;
  • ২ × শ্যাফট
গতিবেগ: ২৫ নট (৪৬ কিমি/ঘ; ২৯ মা/ঘ)
সীমা: ৩৫০ নটিক্যাল মাইল (৬৫০ কিমি; ৪০০ মা)
সহনশীলতা: ৭ দিন
লোকবল: ১৪ জন (৩ জন ক্রু, ১১ জন যাত্রী)
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
  • ১ × ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র‍্যাডার (জাপান);
  • ১ × ডিজিপিএস রিসিভার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
  • ১ × সাউন্ড ভেলোসিটি প্রোফাইলার (যুক্তরাজ্য);
  • ১ × ডাইকো টি-১৩০এসএল; স্টেইনার নেভিগেটর প্রো ৭×৫০ চৌম্বকীয় কম্পাস (জাপান);
  • ১ × ফুরুনো জিপি-১৭০ জিপিএস রিসিভার;
  • ১ × ইকো সাউন্ডার (কোডেন সিভিএস-১২৬);
  • ১ × রাডার অ্যাঙ্গেল ইন্ডিকেটর;
  • ১ × আইকম আইসি-এম৫০৬ ভিএইচএফ সেট;
  • ১ × আইকম আইসি-এম২৫ পোর্টেবল ভিএইচএফ;
  • ৩ × ভিএইচএফ ওয়াকিটকি সেট (আইকম/মটোরোলা)
রণসজ্জা: ২ × টাইপ ৫৬ ১২.৭ মিমি বিমান-বিধ্বংসী মেশিনগান

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ (শিপ) (সংক্ষেপেঃ বিসিজিএস) বলেশ্বর বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি বলেশ্বর-শ্রেণীর হারবার প্যাট্রোল বোট। এটি ডেসটিনি শিপবিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মালয়েশিয়া এর কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড দ্বারা নির্মিত হয়। নৌযানটি সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪][৫][৬]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এনহ্যান্সমেন্ট অব অপারেশনাল ক্যাপাবিলিটি অব বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬টি হারবার প্যাট্রোল বোট নির্মাণের জন্য ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায়, বিসিজিএস বলেশ্বর নৌযানটি নির্মাণ করা হয় এবং ১৫ মার্চ, ২০১৫ সালে কোস্ট গার্ডের বহরে সংযোজিত হয়। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফ্রান্স ভিত্তিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি ব্যুরো ভ্যারিটাস (বিভি) এর নীতিমালা অনুসরন করে নৌযানটি নির্মাণ করা হয়।

বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো এ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জলদস্যুতা, চোরাচালান, মাদক চোরাচালান এবং সামুদ্রিক দূষণ রোধের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড রক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নির্মিত এইচপিবি নৌযানটি এই ভূমিকাসমূহ সম্পাদন করতে কার্যকর হবে৷ নৌযানটির কার্যকরী সমুদ্র-রক্ষণ ক্ষমতা থাকার পাশাপাশি উপকূল এবং সৈকতের কাছাকাছি অগভীর জলে কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও, নৌযানটি উপকূলীয় অঞ্চলে গুরুতর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করতে সক্ষম।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বিসিজিএস বলেশ্বর নৌযানটির দৈর্ঘ্য ১৮ মিটার (৫৯ ফু), প্রস্হ ৫.৫১ মিটার (১৮.১ ফু), গভীরতা ১.৪০ মিটার (৪.৬ ফু) এবং ওজন ২৫ টন।

নৌযানটিতে প্রচালনশক্তি হিসেবে রয়েছে:

  • ২টি ৮০০ অশ্বশক্তি (৬০০ কিওয়াট) (২,৩০০ আরপিএম) বিশিষ্ট ভলভো পেন্টা ডি১৩-৮০০ ডিজেল ইঞ্জিন (সুইডেন);
  • ২টি ২১ অশ্বশক্তি (১৬ কিওয়াট) (১,৫০০ আরপিএম) বিশিষ্ট কোহলার ১৭ ইএফওজেডডি জেনারেটর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
  • ২টি জেডএফ ৩১১এ গিয়ার বক্স (জার্মানি);
  • ২টি ৪ পাখাযুক্ত ফিক্সড পিটচ প্রোপেলার;
  • ২টি শ্যাফট।

নৌযানটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৫ নট (৪৬ কিমি/ঘ; ২৯ মা/ঘ)। এছাড়াও নৌযানটি ১৪ জন (৩ জন ক্রু, ১১ জন যাত্রী) সদস্য নিয়ে একনাগাড়ে ৭ দিন সি স্টেট-৪ মাত্রায় ৩৫০ নটিক্যাল মাইল (৬৫০ কিমি; ৪০০ মা) বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকা জুড়ে অভিযান পরিচালনা করতে পারে এবং সি স্টেট-৬ মাত্রা অবধি টিকে থাকতে সক্ষম। সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি হিসেবে রয়েছে:

  • ১টি ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র‍্যাডার (জাপান);
  • ১টি ডিজিপিএস রিসিভার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
  • ১টি সাউন্ড ভেলোসিটি প্রোফাইলার (যুক্তরাজ্য);
  • ১টি চৌম্বকীয় কম্পাস (জাপান);
  • ১টি জিপিএস রিসিভার (ফুরুনো);
  • ১টি ইকো সাউন্ডার (কোডেন);
  • ১টি রাডার অ্যাঙ্গেল ইন্ডিকেটর;
  • ১টি ভিএইচএফ সেট (আইকম);
  • ৩টি ভিএইচএফ ওয়াকিটকি সেট (আইকম/মটোরোলা)।

জাহাজটির কর্মকর্তা এবং নাবিকদের জন্য রয়েছে:

  • ১টি কেবিন (কর্মকর্তার জন্য);
  • ১টি কেবিন (নাবিকদের জন্য- ৪টি বেডসহ);
  • ১টি কেবিন (অতিথিদের জন্য)।

প্রতিটি কেবিন রান্না, খাবার এবং বিনোদনের জন্য উপযুক্ত আসবাবপত্র এবং জিনিসপত্র সহ সজ্জিত।

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

বিসিজিএস বলেশ্বর নৌযানটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও এর সক্ষমতা আধুনিক বিশ্বে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ২টি টাইপ ৫৬ ১২.৭ মিমি বিমান-বিধ্বংসী মেশিনগান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "HARBOUR PATROL BOAT (HPB) Project Year: 2015"www.dewbn.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-২১ 
  2. "DOCKYARD AND ENGINEERING WORKS LTD, STATE OWNED BOAT BUILDING INDUSTRY." (পিডিএফ)www.dewbn.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-২১ 
  3. "DOCKYARD AND ENGINEERING WORKS LTD, CORPORATE BROCHURE FOR WEB." (পিডিএফ)www.dewbn.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-২১ 
  4. "Projects - Destini Berhad"destinigroup.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৮ 
  5. "ALL BOATS - BANGLADESH COAST GUARD" (পিডিএফ)coastguard.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৮ 
  6. "কোস্ট গার্ডের স্পিডবোট পাগলা গতিতে জেলেদের ধরতে ছুটে চলছে মেঘনা নদীতে | Fishing Boat v Coast Guard"