কেলাসবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''কেলাসবিজ্ঞান''' বিজ্ঞানের একটি ব্যবহারিক শাখা যেখানে [[কেলাসিত কঠিন পদার্থ|কেলাসিত কঠিন পদার্থে]]র অভ্যন্তরে পরমাণুসমূহের বিন্যাস ও [[পারমাণবিক বন্ধন|বন্ধন]] নিয়ে এবং [[কেলাস পিঞ্জর]]সমূহের (crystal lattice) জ্যামিতিক কাঠামো বের করা নিয়ে গবেষণা করা হয়। চিরায়তভাবে কেলাসসমূহের [[আলোকবিজ্ঞান|আলোকীয় ধর্ম]]গুলিকে খনিজবিজ্ঞান ও রসায়নবিজ্ঞানে বিভিন্ন পদার্থ চিহ্নিত করতে ব্যবহার করা হত। আধুনিক কেলাসবিজ্ঞানে কেলাসের ভেতরে [[রঞ্জনরশ্মি]] চালনা করে সেগুলির অপবর্তন পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়, যেখানে কেলাসগুলি এক ধরনের আলোক গরাদ বা জালি হিসেবে কাজ করে। [[রঞ্জনরশ্মি কেলাসবিজ্ঞান|রঞ্জনরশ্মি কেলাসবিজ্ঞানের]] বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে রসায়নবিদেরা বিভিন্ন খনিজ ও জৈব পদার্থের (যেমন [[প্রোটিন]] বা [[ডিএনএ]]) জটিল, বৃহদাকার অণুর আভ্যন্তরীণ কাঠামো ও এদের অন্তর্নিহিত বিভিন্ন রাসায়নিক বন্ধন নির্ণয় করতে পারেন। রঞ্জনরশ্মি ছাড়াও ইলেকট্রন ও নিউট্রন রশ্মির অপবর্তন-ভিত্তিক কেলাসবিজ্ঞানও বিদ্যমান। |
'''কেলাসবিজ্ঞান''' বিজ্ঞানের একটি ব্যবহারিক শাখা যেখানে [[কেলাসিত কঠিন পদার্থ|কেলাসিত কঠিন পদার্থে]]র অভ্যন্তরে পরমাণুসমূহের বিন্যাস ও [[পারমাণবিক বন্ধন|বন্ধন]] নিয়ে এবং [[কেলাস পিঞ্জর]]সমূহের (crystal lattice) জ্যামিতিক কাঠামো বের করা নিয়ে গবেষণা করা হয়। চিরায়তভাবে কেলাসসমূহের [[আলোকবিজ্ঞান|আলোকীয় ধর্ম]]গুলিকে খনিজবিজ্ঞান ও রসায়নবিজ্ঞানে বিভিন্ন পদার্থ চিহ্নিত করতে ব্যবহার করা হত। আধুনিক কেলাসবিজ্ঞানে কেলাসের ভেতরে [[রঞ্জনরশ্মি]] চালনা করে সেগুলির অপবর্তন পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়, যেখানে কেলাসগুলি এক ধরনের আলোক গরাদ বা জালি হিসেবে কাজ করে। [[রঞ্জনরশ্মি কেলাসবিজ্ঞান|রঞ্জনরশ্মি কেলাসবিজ্ঞানের]] বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে রসায়নবিদেরা বিভিন্ন খনিজ ও জৈব পদার্থের (যেমন [[প্রোটিন]] বা [[ডিএনএ]]) জটিল, বৃহদাকার অণুর আভ্যন্তরীণ কাঠামো ও এদের অন্তর্নিহিত বিভিন্ন রাসায়নিক বন্ধন নির্ণয় করতে পারেন। রঞ্জনরশ্মি ছাড়াও ইলেকট্রন ও নিউট্রন রশ্মির অপবর্তন-ভিত্তিক কেলাসবিজ্ঞানও বিদ্যমান। |
||
জাতিসংঘ ক্ষেত্রটিকে মর্যাদা দিয়ে |
জাতিসংঘ ক্ষেত্রটিকে মর্যাদা দিয়ে ২০১৪ সালকে কেলাসবিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক বছর হিসেবে ঘোষণা দেয়।<ref name="UN Resolution">[http://www.iycr2014.org/about/resolution UN announcement "International Year of Crystallography"]. iycr2014.org. 12 July 2012</ref> |
||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
২০:২৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কেলাসবিজ্ঞান বিজ্ঞানের একটি ব্যবহারিক শাখা যেখানে কেলাসিত কঠিন পদার্থের অভ্যন্তরে পরমাণুসমূহের বিন্যাস ও বন্ধন নিয়ে এবং কেলাস পিঞ্জরসমূহের (crystal lattice) জ্যামিতিক কাঠামো বের করা নিয়ে গবেষণা করা হয়। চিরায়তভাবে কেলাসসমূহের আলোকীয় ধর্মগুলিকে খনিজবিজ্ঞান ও রসায়নবিজ্ঞানে বিভিন্ন পদার্থ চিহ্নিত করতে ব্যবহার করা হত। আধুনিক কেলাসবিজ্ঞানে কেলাসের ভেতরে রঞ্জনরশ্মি চালনা করে সেগুলির অপবর্তন পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়, যেখানে কেলাসগুলি এক ধরনের আলোক গরাদ বা জালি হিসেবে কাজ করে। রঞ্জনরশ্মি কেলাসবিজ্ঞানের বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে রসায়নবিদেরা বিভিন্ন খনিজ ও জৈব পদার্থের (যেমন প্রোটিন বা ডিএনএ) জটিল, বৃহদাকার অণুর আভ্যন্তরীণ কাঠামো ও এদের অন্তর্নিহিত বিভিন্ন রাসায়নিক বন্ধন নির্ণয় করতে পারেন। রঞ্জনরশ্মি ছাড়াও ইলেকট্রন ও নিউট্রন রশ্মির অপবর্তন-ভিত্তিক কেলাসবিজ্ঞানও বিদ্যমান।
জাতিসংঘ ক্ষেত্রটিকে মর্যাদা দিয়ে ২০১৪ সালকে কেলাসবিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক বছর হিসেবে ঘোষণা দেয়।[১]
তথ্যসূত্র
- ↑ UN announcement "International Year of Crystallography". iycr2014.org. 12 July 2012