সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:
| office = [[জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের]] মন্ত্রী
| office = [[জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের]] মন্ত্রী
| term_start = ১৬ জুলাই ২০১৫
| term_start = ১৬ জুলাই ২০১৫
| term_end = ৩ জানুয়ারি ২০১৮
| term_end = ৩ জানুয়ারি ২০১৯
| primeminister = শেখ হাসিনা
| primeminister = শেখ হাসিনা
| predecessor =
| predecessor =

১৭:৪৯, ৩ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
এমপি
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৬ জুলাই ২০১৫ – ৩ জানুয়ারি ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
সংসদীয় এলাকাকিশোরগঞ্জ-১
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
৬ জানুয়ারি, ২০০৯ – ৯ জুলাই ২০১৫
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
উত্তরসূরীখন্দকার মোশাররফ হোসেন
আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক
কাজের মেয়াদ
২০০৯ – ২৩ অক্টোবর, ২০১৬
পূর্বসূরীআব্দুল জলিল
উত্তরসূরীওবায়দুল কাদের
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৫২-০১-০১)১ জানুয়ারি ১৯৫২
ময়মনসিংহ, পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমানে বাংলাদেশ
মৃত্যু৩ জানুয়ারি ২০১৯(2019-01-03) (বয়স ৬৭)
ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীশীলা ইসলাম
পিতাসৈয়দ নজরুল ইসলাম

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (১ জানুয়ারি ১৯৫২ - ৩ জানুয়ারি ২০১৯) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুখপাত্র, জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-১ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। এর পূর্বে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।[১]

প্রাথমিক জীবন

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫০ সালের ১লা জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতা বাংলাদেশের মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। আশরাফুল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন

১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য তিন জাতীয় নেতার সাথে আশরাফুলের পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছিল। পিতার মৃত্যুর পর সৈয়দ আশরাফুল যুক্তরাজ্যে চলে যান[৩] এবং লন্ডনের হ্যামলেট টাওয়ারে বসবাস শুরু করেন। লন্ডনে বসবাস কালে তিনি বাংলা কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। সেসময় তিনি লন্ডনস্থ বাংলাদেশ যুব লীগের সদস্য ছিলেন। আশরাফুল ফেডারেশন অব বাংলাদেশী ইয়ুথ অর্গানাইজেশন (এফবিওয়াইইউ) এর শিক্ষা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিল।

১৯৯৬ সালে আশরাফুল দেশে ফিরে আসেন এবং জুন ১৯৯৬ সালের ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩] এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ২০০১ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। যখন আব্দুল জলিল গ্রেপ্তার হন, তখন সৈয়দ আশরাফুল আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে মন্ত্রীসভা গঠিত হলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পুনরায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৫ সালের ৯ জুলাই তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করেন। এক মাস এক সপ্তাহ দপ্তরবিহীন মন্ত্রী থাকার পর ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নিজের অধীনে রাখা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।[৪]

ব্যক্তিগত জীবন

ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দ আশরাফুল ব্রিটিশ ভারতীয় শীলা ঠাকুরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শীলা লন্ডনে শিক্ষকতা করতেন এবং ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সালে তিনি মৃত্যুবরন করেছেন। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে (রীমা ঠাকুর), যে লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে চাকরি করেন।[৫]

অসুস্থতা

২৪ অক্টোবর ২০১৭ সালে সৈয়দ আশরাফুলের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি প্রায়ই অসুস্থ হন।[৫] তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। নভেম্বর ২০১৮ সালে তার ফুসফুসের ক্যান্সার ৪র্থ ধাপে পৌঁছে।[৬] ২০১৯ সালের ৩রা জানুয়ারি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।[৭]

তথ্যসূত্র

  1. "সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই"দৈনিক ইত্তেফাক। ৩ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. "সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই | বাংলাদেশ প্রতিদিন"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৩ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৯ 
  3. "Ministry of Public Administration (MOPA)"www.mopa.gov.bd। ২০১৮-০৪-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-১২ 
  4. "জনপ্রশাসন মন্ত্রী হলেন সৈয়দ আশরাফ"মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-১২ 
  5. "অসুস্থ সৈয়দ আশরাফ, চিনতে পারছেন না প্রিয়জনদেরও"প্রিয়.কম। ২০১৮-১১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-১২ 
  6. "মেয়েকেও চিনতে পারছেন না সৈয়দ আশরাফ"একুশে টেলিভিশন। ৫ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৮ 
  7. "সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৩ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৯