মেদিনীপুরের যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
| conflict = মেদিনীপুরের যুদ্ধ
| conflict = মেদিনীপুরের যুদ্ধ
| partof = [[বর্গির হাঙ্গামা]] এবং [[বাংলায় মারাঠা আক্রমণ (১৭৪৫–১৭৪৯)]]
| partof = [[বর্গির হাঙ্গামা]] এবং [[বাংলায় মারাঠা আক্রমণ (১৭৪৫–১৭৪৯)]]
| date = ডিসেম্বর ১৭৪৬<ref name=''মারাঠা আক্রমণ''>ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম. "মারাঠা আক্রমণ". বাংলাদেশের ইতিহাস. পৃ. ২৯৩–২৯৯.</ref>
| date = ডিসেম্বর ১৭৪৬<ref name="মারাঠা আক্রমণ">ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম. "মারাঠা আক্রমণ". বাংলাদেশের ইতিহাস. পৃ. ২৯৩–২৯৯.</ref>
| place = [[মেদিনীপুর]], [[বঙ্গ|বাংলা]] (বর্তমান [[মেদিনীপুর]], [[পশ্চিমবঙ্গ]], [[ভারত]])
| place = [[মেদিনীপুর]], [[বঙ্গ|বাংলা]] (বর্তমান [[মেদিনীপুর]], [[পশ্চিমবঙ্গ]], [[ভারত]])
| result = বাংলার নবাবের বিজয়<ref name=''মারাঠা আক্রমণ''/><ref name=''''>http://scroll.in/article/776978/forgotten-indian-history-the-brutal-maratha-invasions-of-bengal</ref>
| result = বাংলার নবাবের বিজয়<ref name="মারাঠা আক্রমণ"/><ref name="">http://scroll.in/article/776978/forgotten-indian-history-the-brutal-maratha-invasions-of-bengal</ref>
* নবাবের সৈন্যরা [[মেদিনীপুর]] পুনর্দখল করে নেয়<ref name=''মারাঠা আক্রমণ''/><ref name=''''/>
* নবাবের সৈন্যরা [[মেদিনীপুর]] পুনর্দখল করে নেয়<ref name="মারাঠা আক্রমণ"/><ref name=""/>
| territory =
| territory =
| combatant1 = [[File:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG|22px]] [[বঙ্গ|বাংলা]]
| combatant1 = [[File:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG|22px]] [[বঙ্গ|বাংলা]]
| combatant2 = [[File:Flag of the Maratha Empire.svg|25px]] [[মারাঠা সাম্রাজ্য]]
| combatant2 = [[File:Flag of the Maratha Empire.svg|25px]] [[মারাঠা সাম্রাজ্য]]
| commander1 = [[File:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG|22px]] [[মীর জাফর]]
| commander1 = [[File:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG|22px]] [[মীর জাফর]]
| commander2 = [[File:Flag of the Maratha Empire.svg|25px]] সাঈদ নূর<ref name=''''/>
| commander2 = [[File:Flag of the Maratha Empire.svg|25px]] সাঈদ নূর<ref name=""/>
| strength1 = [[File:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG|22px]] অজ্ঞাত
| strength1 = [[File:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG|22px]] অজ্ঞাত
| strength2 = [[File:Flag of the Maratha Empire.svg|25px]] অজ্ঞাত
| strength2 = [[File:Flag of the Maratha Empire.svg|25px]] অজ্ঞাত
| casualties1 = [[File:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG|22px]] অজ্ঞাত
| casualties1 = [[File:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG|22px]] অজ্ঞাত
| casualties2 = [[File:Flag of the Maratha Empire.svg|25px]] অজ্ঞাত, তবে প্রচুর<ref name=''''/>
| casualties2 = [[File:Flag of the Maratha Empire.svg|25px]] অজ্ঞাত, তবে প্রচুর<ref name=""/>
}}
}}


'''মেদিনীপুরের যুদ্ধ''' ১৭৪৬ সালের ডিসেম্বরে [[মেদিনীপুর|মেদিনীপুরে]] [[মারাঠা সাম্রাজ্য|মারাঠা]] বাহিনী এবং [[বঙ্গ|বাংলার]] নবাবের বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়<ref name=''মারাঠা আক্রমণ''/><ref name=''''/>। যুদ্ধটিতে মারাঠারা সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয়<ref name=''''/>।
'''মেদিনীপুরের যুদ্ধ''' ১৭৪৬ সালের ডিসেম্বরে [[মেদিনীপুর|মেদিনীপুরে]] [[মারাঠা সাম্রাজ্য|মারাঠা]] বাহিনী এবং [[বঙ্গ|বাংলার]] নবাবের বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়<ref name="মারাঠা আক্রমণ"/><ref name=""/>। যুদ্ধটিতে মারাঠারা সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয়<ref name=""/>।


== পটভূমি ==
== পটভূমি ==


১৭৪৫ সালের অক্টোবরে [[নাগপুর|নাগপুরের]] [[মারাঠা সাম্রাজ্য|মারাঠা]] মহারাজা [[রঘুজী ভোঁসলে]] [[বঙ্গ|বাংলা]] আক্রমণ করেন এবং [[ওড়িশা|উড়িষ্যা]] থেকে [[মেদিনীপুর]] পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল দখল করে সেখানে লুটপাট চালাতে থাকেন<ref name=''মারাঠা আক্রমণ''/><ref name=''''/>। [[কাটোয়ার যুদ্ধ (১৭৪৫)|কাটোয়ার যুদ্ধে]] বাংলার নবাব [[আলীবর্দী খান]] মারাঠাদেরকে পরাজিত করেন<ref name=''মারাঠা আক্রমণ''/><ref name=''''/>, কিন্তু সেনাপতিদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সৃষ্ট গোলযোগের কারণে তাঁকে মারাঠাদের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত রাখতে হয়<ref name=''মারাঠা আক্রমণ''/>। অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দূর করার পর ১৭৪৬ সালের নভেম্বরে নবাব তাঁর সেনাপতি [[মীর জাফর]]কে মারাঠাদের দখলকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রেরণ করেন<ref name=''মারাঠা আক্রমণ''/><ref name=''''/>।
১৭৪৫ সালের অক্টোবরে [[নাগপুর|নাগপুরের]] [[মারাঠা সাম্রাজ্য|মারাঠা]] মহারাজা [[রঘুজী ভোঁসলে]] [[বঙ্গ|বাংলা]] আক্রমণ করেন এবং [[ওড়িশা|উড়িষ্যা]] থেকে [[মেদিনীপুর]] পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল দখল করে সেখানে লুটপাট চালাতে থাকেন<ref name="মারাঠা আক্রমণ"/><ref name=""/>। [[কাটোয়ার যুদ্ধ (১৭৪৫)|কাটোয়ার যুদ্ধে]] বাংলার নবাব [[আলীবর্দী খান]] মারাঠাদেরকে পরাজিত করেন<ref name="মারাঠা আক্রমণ"/><ref name=""/>, কিন্তু সেনাপতিদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সৃষ্ট গোলযোগের কারণে তাঁকে মারাঠাদের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত রাখতে হয়<ref name="মারাঠা আক্রমণ"/>। অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দূর করার পর ১৭৪৬ সালের নভেম্বরে নবাব তাঁর সেনাপতি [[মীর জাফর]]কে মারাঠাদের দখলকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রেরণ করেন<ref name="মারাঠা আক্রমণ"/><ref name=""/>।


== যুদ্ধের ঘটনাবলি ==
== যুদ্ধের ঘটনাবলি ==


[[মীর জাফর]] তাঁর সৈন্যবাহিনী নিয়ে মারাঠা-অধিকৃত [[মেদিনীপুর|মেদিনীপুরের]] দিকে অগ্রসর হন। ১৭৪৬ সালের ডিসেম্বরে তিনি মেদিনীপুরের নিকটে মারাঠা সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হন। মারাঠা বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন [[মীর হাবিব|মীর হাবিবের]] সেনাপতি সাঈদ নূর<ref name=''''/>। উভয়পক্ষে তীব্র যুদ্ধ হয় এবং মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়<ref name=''মারাঠা আক্রমণ''/><ref name=''''/>। পরাজিত মারাঠারা পশ্চাৎপসরণ করে এবং মীর জাফর মেদিনীপুর পুনরুদ্ধার করে নেন<ref name=''মারাঠা আক্রমণ''/>।
[[মীর জাফর]] তাঁর সৈন্যবাহিনী নিয়ে মারাঠা-অধিকৃত [[মেদিনীপুর|মেদিনীপুরের]] দিকে অগ্রসর হন। ১৭৪৬ সালের ডিসেম্বরে তিনি মেদিনীপুরের নিকটে মারাঠা সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হন। মারাঠা বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন [[মীর হাবিব|মীর হাবিবের]] সেনাপতি সাঈদ নূর<ref name=""/>। উভয়পক্ষে তীব্র যুদ্ধ হয় এবং মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়<ref name="মারাঠা আক্রমণ"/><ref name=""/>। পরাজিত মারাঠারা পশ্চাৎপসরণ করে এবং মীর জাফর মেদিনীপুর পুনরুদ্ধার করে নেন<ref name="মারাঠা আক্রমণ"/>।


== ফলাফল ==
== ফলাফল ==


মীর জাফরের সাফল্যে খুশি হয়ে নবাব আলীবর্দী তাঁকে [[ওড়িশা|উড়িষ্যার]] প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন<ref name=''''/> (যদিও উড়িষ্যা এসময় মারাঠাদের দখলে ছিল)। কিন্তু মীর জাফরের সাফল্য ছিল ক্ষণস্থায়ী, কারণ কিছুদিন পরেই [[ওড়িশা|উড়িষ্যা]] থেকে [[মীর হাবিব]] এবং [[জানুজী ভোঁসলে]]র নেতৃত্বে মারাঠা সৈন্যরা আবার মেদিনীপুর আক্রমণ করে এবং মীর জাফর বিনা যুদ্ধে পলায়ন করেন<ref name=''মারাঠা আক্রমণ''/><ref name=''''/>।
মীর জাফরের সাফল্যে খুশি হয়ে নবাব আলীবর্দী তাঁকে [[ওড়িশা|উড়িষ্যার]] প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন<ref name=""/> (যদিও উড়িষ্যা এসময় মারাঠাদের দখলে ছিল)। কিন্তু মীর জাফরের সাফল্য ছিল ক্ষণস্থায়ী, কারণ কিছুদিন পরেই [[ওড়িশা|উড়িষ্যা]] থেকে [[মীর হাবিব]] এবং [[জানুজী ভোঁসলে]]র নেতৃত্বে মারাঠা সৈন্যরা আবার মেদিনীপুর আক্রমণ করে এবং মীর জাফর বিনা যুদ্ধে পলায়ন করেন<ref name="মারাঠা আক্রমণ"/><ref name=""/>।


== আরো দেখুন ==
== আরো দেখুন ==

১৯:১৬, ২২ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মেদিনীপুরের যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: বর্গির হাঙ্গামা এবং বাংলায় মারাঠা আক্রমণ (১৭৪৫–১৭৪৯)
তারিখডিসেম্বর ১৭৪৬[১]
অবস্থান
ফলাফল

বাংলার নবাবের বিজয়[১][২]

বিবাদমান পক্ষ
চিত্র:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG বাংলা মারাঠা সাম্রাজ্য
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
চিত্র:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG মীর জাফর সাঈদ নূর[২]
শক্তি
চিত্র:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG অজ্ঞাত অজ্ঞাত
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
চিত্র:Coat of Arms of Nawabs of Bengal.PNG অজ্ঞাত অজ্ঞাত, তবে প্রচুর[২]

মেদিনীপুরের যুদ্ধ ১৭৪৬ সালের ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে মারাঠা বাহিনী এবং বাংলার নবাবের বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়[১][২]। যুদ্ধটিতে মারাঠারা সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয়[২]

পটভূমি

১৭৪৫ সালের অক্টোবরে নাগপুরের মারাঠা মহারাজা রঘুজী ভোঁসলে বাংলা আক্রমণ করেন এবং উড়িষ্যা থেকে মেদিনীপুর পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল দখল করে সেখানে লুটপাট চালাতে থাকেন[১][২]কাটোয়ার যুদ্ধে বাংলার নবাব আলীবর্দী খান মারাঠাদেরকে পরাজিত করেন[১][২], কিন্তু সেনাপতিদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সৃষ্ট গোলযোগের কারণে তাঁকে মারাঠাদের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত রাখতে হয়[১]। অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দূর করার পর ১৭৪৬ সালের নভেম্বরে নবাব তাঁর সেনাপতি মীর জাফরকে মারাঠাদের দখলকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রেরণ করেন[১][২]

যুদ্ধের ঘটনাবলি

মীর জাফর তাঁর সৈন্যবাহিনী নিয়ে মারাঠা-অধিকৃত মেদিনীপুরের দিকে অগ্রসর হন। ১৭৪৬ সালের ডিসেম্বরে তিনি মেদিনীপুরের নিকটে মারাঠা সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হন। মারাঠা বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মীর হাবিবের সেনাপতি সাঈদ নূর[২]। উভয়পক্ষে তীব্র যুদ্ধ হয় এবং মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়[১][২]। পরাজিত মারাঠারা পশ্চাৎপসরণ করে এবং মীর জাফর মেদিনীপুর পুনরুদ্ধার করে নেন[১]

ফলাফল

মীর জাফরের সাফল্যে খুশি হয়ে নবাব আলীবর্দী তাঁকে উড়িষ্যার প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন[২] (যদিও উড়িষ্যা এসময় মারাঠাদের দখলে ছিল)। কিন্তু মীর জাফরের সাফল্য ছিল ক্ষণস্থায়ী, কারণ কিছুদিন পরেই উড়িষ্যা থেকে মীর হাবিব এবং জানুজী ভোঁসলের নেতৃত্বে মারাঠা সৈন্যরা আবার মেদিনীপুর আক্রমণ করে এবং মীর জাফর বিনা যুদ্ধে পলায়ন করেন[১][২]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম. "মারাঠা আক্রমণ". বাংলাদেশের ইতিহাস. পৃ. ২৯৩–২৯৯.
  2. http://scroll.in/article/776978/forgotten-indian-history-the-brutal-maratha-invasions-of-bengal