কাটোয়ার যুদ্ধ (১৭৪৫)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাটোয়ার দ্বিতীয় যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: বর্গির হাঙ্গামা এবং বাংলায় মারাঠা আক্রমণ (১৭৪৫–১৭৪৯)
তারিখডিসেম্বর ১৭৪৫[১]
অবস্থান
ফলাফল বাংলার নবাবের বিজয়[১][২][৩]
বিবাদমান পক্ষ
বাংলা মারাঠা সাম্রাজ্য
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
আলীবর্দী খান প্রথম রঘুজী ভোঁসলে[১]
মীর হাবিব
শক্তি
অজ্ঞাত ~২০,০০০[১]
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
অজ্ঞাত অজ্ঞাত

কাটোয়ার দ্বিতীয় যুদ্ধ ১৭৪৫ সালের ডিসেম্বরে বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কাটোয়ায় বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের সৈন্যবাহিনী এবং প্রথম রঘুজী ভোঁসলেমীর হাবিবের নেতৃত্বাধীন মারাঠা বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়[১]। যুদ্ধে মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়[৩]। এই যুদ্ধে পরাজয়ের পর রঘুজী নাগপুরে ফিরে যান, আর মীর হাবিব মেদিনীপুরের দিকে পলায়ন করেন[১]

পটভূমি[সম্পাদনা]

১৭৪৫ সালে নাগপুরের মারাঠা মহারাজা প্রথম রঘুজী ভোঁসলে বাংলায় অভ্যন্তরীণ গোলযোগের সুযোগ নিয়ে বাংলা আক্রমণ করেন এবং উড়িষ্যা থেকে বীরভূম পর্যন্ত অঞ্চল দখল করে নেন[১][২]। কিন্তু তাঁর বিহার আক্রমণ ব্যর্থ হয়[১], এবং মুর্শিদাবাদ লুণ্ঠনের প্রচেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়[২]

যুদ্ধের ঘটনাবলি[সম্পাদনা]

মুর্শিদাবাদ আক্রমণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর রঘুজী উড়িষ্যার দিকে পশ্চাৎপসরণ করার সিদ্ধান্ত নেন[১][২]। বাংলার নবাব আলীবর্দী খান সসৈন্যে তাদেরকে অনুসরণ করেন এবং ১৭৪৫ সালের ডিসেম্বরে কাটোয়ার নিকটে মারাঠাদের আক্রমণ করেন[১][২]। মারাঠারা এ যুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয়[১][২][৩] এবং বাংলা থেকে তাদের লূণ্ঠিত দ্রব্যসামগ্রী পেছনে ফেলে পলায়ন করে। নবাব তাদের দ্রব্যসামগ্রী হস্তগত করেন[১]

ফলাফল[সম্পাদনা]

কাটোয়ার যুদ্ধে পরাজয়ের পর রঘুজী নাগপুরে প্রত্যাবর্তন করেন এবং মীর হাবিব মারাঠা-অধিকৃত মেদিনীপুরের দিকে পালিয়ে যান[১]। অন্যদিকে, যুদ্ধক্লান্ত সৈন্যদের বিশ্রাম দেয়ার জন্য আলীবর্দীও মারাঠাদের অনুসরণ না করে মুর্শিদাবাদে ফিরে আসেন[১][২]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম, (বাংলাদেশের ইতিহাস), আলীবর্দী ও মারাঠা আক্রমণ", পৃ. ২৯৩–২৯৯
  2. "Forgotten Indian history: The brutal Maratha invasions of Bengal" 
  3. Jacques, Tony. Dictionary of Battles and Sieges. Greenwood Press. p. 516. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩১৩-৩৩৫৩৬-৫.