পম্পেই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Dexbot (আলোচনা | অবদান)
Removing Link FA template (handled by wikidata)
রচনাশৈলী
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Infobox World Heritage Site
{{Infobox World Heritage Site
| Name = পম্পেই নগরির প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা, [[হেরকুলেনিয়াম]], এবং [[তোররে আনুনজাতা]]
| Name = পম্পেই নগরীর প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা, [[হেরকুলেনিয়াম]], এবং [[তোররে আনুনজাতা]]
| infoboxwidth= 250px
| infoboxwidth= 250px
| Image = [[চিত্র:PompeiiStreet.jpg|230px|A quiet street in Pompeii]]
| Image = [[চিত্র:PompeiiStreet.jpg|230px|A quiet street in Pompeii]]
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
| Session = ২১শ}}
| Session = ২১শ}}


'''পম্পেই নগরি''' ([[লাতিন ভাষা|লাতিন]]: Pompeii, [[ইতালীয় ভাষা|ইতালীয়]]: Pompei), একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত
'''পম্পেই নগরী''' ([[লাতিন ভাষা|লাতিন]]: Pompeii, [[ইতালীয় ভাষা|ইতালীয়]]: Pompei) হল একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত
[[রোমান সাম্রাজ্য|রোমান]] ছোট নগর-শহর যা [[ইতালি|ইতালির]] [[কাম্পানিয়া]] অঞ্চলের আধুনিক [[নাপোলি|নেপলসের]] ([[নাপোলি]]) কাছে পম্পেই ইউনিয়নে অবস্থিত। [[৭৯|৭৯ খ্রিস্টাব্দে]] [[ভিসুভিয়াস|ভিসুভিয়াস পর্বতের]] সর্বনাশা আগ্নেয়গিরির দুই দিন স্থায়ী অগ্নুৎপাতে পম্পেই নগরি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। ৬০ ফুট উঁচু ছাই এবং ঝামাপাথরের নিচে শহরটি চাপা পড়ে যায়।
[[রোমান সাম্রাজ্য|রোমান]] ছোট নগর বা শহর; [[ইতালি|ইতালির]] [[কাম্পানিয়া]] অঞ্চলের আধুনিক [[নাপোলি|নেপলসের]] ([[নাপোলি]]) কাছে পম্পেই ইউনিয়নে এর অবস্থান। [[৭৯|৭৯ খ্রিস্টাব্দে]] [[ভিসুভিয়াস|ভিসুভিয়াস পর্বতের]] আগ্নেয়গিরির দুই দিনব্যাপী সর্বনাশা অগ্নুৎপাতে পম্পেই নগরী সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। ৬০ ফুট উঁচু ছাই এবং ঝামাপাথরের নিচে শহরটি চাপা পড়ে যায়।


এর ঠিক কয়েক বছর আগে [[৬২|৬২ খ্রিস্টাব্দে]], একটি ভয়াবহ ভূকম্পন হয়েছিলো যা কাম্পানিয়া অঞ্চলের পম্পেই নগরি, [[হেরকুলেনিয়াম]]এবং অন্যান্য শহরেও আঘাত করেছিলো। এটি একটি সতর্কীকরণ ছাড়া আর কিছুই ছিলো না যে, কয়েক বছরের মধ্যে এর থেকে আর বড় ধরনের বিপর্যয়, শহরটিতে আঘাত করবে। পম্পেই নগরী এতে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, কিন্তু সাথে সাথেই এর পুনর্নিমাণ কাজ শুরু করা হয়েছিলো। ১৭ বছর পরে, যখন পুণর্নিমাণ কাজ একই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলো (যদিও বাসস্থানগুলোকে পুনরুদ্ধার করার দরকার ছিলো), শহর এবং তার বাসিন্দা প্রাচীন ইতিহাসের একটি দুঃখজনক ঘ্টনা অতিবাহিত করে। আজ সময়কে আটকিয়ে ফেলেছে এবং সেই মুহূর্তটিকে উপরিভাগে তুলে আনা হয়েছে এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় প্রত্নত্তাত্ত্বিক অঞ্চল যা সর্বাপেক্ষা পরিদর্শন করা হয়েছে। [[কারলো দি বোরবোনে]]-এর আর্থিক সহায়তায় শহরটি [[১৭৪৮]] খ্রিস্টাব্দে পূণরায় মাটির নিচ থেকে আলোতে নিয়ে আসা হয়।
এর ঠিক ১৭ বছর আগে, [[৬২|৬২ খ্রিস্টাব্দেও]] একটি ভয়াবহ ভূকম্পনের ফলে কাম্পানিয়া অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পম্পেই নগরী এবং পার্শ্ববর্তী [[হেরকুলেনিয়াম]] অন্যান্য শহরেও তার অভিঘাতে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। পম্পেই নগরীও এতে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, কিন্তু সাথে সাথেই এর পুনর্নিমাণের কাজ শুরু করা হয়েছিল। ১৭ বছর পরে, যখন পুণর্নিমাণ কাজ একই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলো (যদিও বাসস্থানগুলোকে তখনও অনেকাংশেই পুনরুদ্ধার করার দরকার ছিল), এই শহর এবং তার হতভাগ্য বাসিন্দারা প্রাচীন ইতিহাসের একটি অন্যতম দুর্ভাগ্যজনক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকারে পরিণত হয়। [[কারলো দি বোরবোনে]]-এর আর্থিক সহায়তায় শহরটি [[১৭৪৮]] খ্রিস্টাব্দে পুনরায় মাটির নিচ থেকে আলোতে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় প্রত্নত্তাত্ত্বিক অঞ্চল যা সর্বাপেক্ষা বেশি পরিদর্শন করা হয়েছে।
পম্পেই নগরীর সাথে পার্শ্ববর্তী শহর [[হেরকুলেনিয়াম]] এবং [[অপলেন্টস|অপলন্তেসকেও]] [[ইউনেস্কো]] [[বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান]] হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। [[২০০৮]] খ্রিস্টাব্দে এই স্থানটিকে ২,২৫৩,৬৩৩ জন<ref name="static.touring">[http://static.touring.it/store/document/21_file.pdf The dossier of the Italian Touring Club], Dossier Museums 2009. Page-5. {{it icon}}</ref> পরিদর্শন করেছিলেন। আজ, ইতালির সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণের একটি হলো এই নগরী।

পম্পেই নগরির সাথে [[হেরকুলেনিয়াম]] এবং [[আপলেন্টস|আপলেন্টসকেও]], [[ইউনেস্কো]] [[বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান]] হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিলো। [[২০০৮]] খ্রিস্টাব্দে এই স্থানটিকে ২,২৫৩,৬৩৩ জন<ref name="static.touring">[http://static.touring.it/store/document/21_file.pdf The dossier of the Italian Touring Club], Dossier Museums 2009. Page-5. {{it icon}}</ref> পরিদর্শন করেছিলেন। আজ, ইতালির সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় পর্যটণ আকর্ষণের একটি হলো এই নগরী।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৭:১৯, ২৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পম্পেই নগরীর প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা, হেরকুলেনিয়াম, এবং তোররে আনুনজাতা
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
A quiet street in Pompeii
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: iii, iv, v
সূত্র৮২৯
তালিকাভুক্তকরণ১৯৯৭ (২১শ সভা)
স্থানাঙ্ক40°44'58"N 14°29'5"E

পম্পেই নগরী (লাতিন: Pompeii, ইতালীয়: Pompei) হল একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রোমান ছোট নগর বা শহর; ইতালির কাম্পানিয়া অঞ্চলের আধুনিক নেপলসের (নাপোলি) কাছে পম্পেই ইউনিয়নে এর অবস্থান। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াস পর্বতের আগ্নেয়গিরির দুই দিনব্যাপী সর্বনাশা অগ্নুৎপাতে পম্পেই নগরী সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। ৬০ ফুট উঁচু ছাই এবং ঝামাপাথরের নিচে শহরটি চাপা পড়ে যায়।

এর ঠিক ১৭ বছর আগে, ৬২ খ্রিস্টাব্দেও একটি ভয়াবহ ভূকম্পনের ফলে কাম্পানিয়া অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পম্পেই নগরী এবং পার্শ্ববর্তী হেরকুলেনিয়াম ও অন্যান্য শহরেও তার অভিঘাতে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। পম্পেই নগরীও এতে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, কিন্তু সাথে সাথেই এর পুনর্নিমাণের কাজ শুরু করা হয়েছিল। ১৭ বছর পরে, যখন পুণর্নিমাণ কাজ একই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলো (যদিও বাসস্থানগুলোকে তখনও অনেকাংশেই পুনরুদ্ধার করার দরকার ছিল), এই শহর এবং তার হতভাগ্য বাসিন্দারা প্রাচীন ইতিহাসের একটি অন্যতম দুর্ভাগ্যজনক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকারে পরিণত হয়। কারলো দি বোরবোনে-এর আর্থিক সহায়তায় শহরটি ১৭৪৮ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় মাটির নিচ থেকে আলোতে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় প্রত্নত্তাত্ত্বিক অঞ্চল যা সর্বাপেক্ষা বেশি পরিদর্শন করা হয়েছে। পম্পেই নগরীর সাথে পার্শ্ববর্তী শহর হেরকুলেনিয়াম এবং অপলন্তেসকেও ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে এই স্থানটিকে ২,২৫৩,৬৩৩ জন[১] পরিদর্শন করেছিলেন। আজ, ইতালির সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণের একটি হলো এই নগরী।

তথ্যসূত্র

  1. The dossier of the Italian Touring Club, Dossier Museums 2009. Page-5. (ইতালীয়)

বহিঃসংযোগ