দিমিত্রি মেন্দেলিয়েভ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অসম্পাদনা সারাংশ নেই |
|||
২৮ নং লাইন: | ২৮ নং লাইন: | ||
==ছেলে বেলা ও পড়াশুনা== |
==ছেলে বেলা ও পড়াশুনা== |
||
মেন্ডেলিফ এর জন্ম [[ |
মেন্ডেলিফ এর জন্ম [[সাইবেরিয়া|সাইবেরিয়ার]] তবলস্কের ভার্খিনি আরেমজিয়েনি গ্রামে। তাঁর বাবা ইভান পাভলোভিচ মেন্ডেলিফ এবং মা মারিয়া দিমিত্রিয়েভনা মেন্ডেলিভা। মেন্ডেলিভের দাদা পাভেল ম্যাক্সিমোভিচ রাশিয়ান অর্থোডোক্স চার্চের একজন ধর্ম যাজক ছিলেন। ইভানোভিচ তাঁর ভাল নামটি পান ধর্মতাত্বিক শিক্ষা গ্রহণের সময়। তিনি একজন অর্থোডক্স খ্রিস্টান ছিলেন যা তাঁর পছন্দ ছিলনা। পরবর্তিতে তিনি ধর্ম ত্যাগ করেন এবং যৌক্তিক একেশ্বর বাদে বিশ্বাসী হোন।<ref>http://starina.library.tver.ru/us-35-1.htm</ref> |
||
মেন্ডেলিফের সম্ভবত ১৪ বা ১৭ জন ভাই-বোন ছিল যার মধ্যে উনি ছিলেন সবচাইতে ছোট। তাঁর বাবা ছিলেন চারুকলা, দর্শন ও [[ |
মেন্ডেলিফের সম্ভবত ১৪ বা ১৭ জন ভাই-বোন ছিল যার মধ্যে উনি ছিলেন সবচাইতে ছোট। তাঁর বাবা ছিলেন চারুকলা, দর্শন ও [[রাষ্ট্রবিজ্ঞান|রাষ্ট্রবিজ্ঞানের]] শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাবা মাঝ বয়সেই অন্ধ হয়ে যান এবং তাঁর চাকুরী হারান। তাঁর মায়ের কাধে সংসারের হাল ধরার দায়িত্ব বর্তায়। তিনি গ্লাস ফ্যাক্টরিতে চাকুরী নেন। মেন্ডেলিফের তের বছর বয়সে তিনি তাঁর পিতাকে হারান, যিনি দুর্ভাগ্যক্রমে মেন্ডেলিফের মায়ের ফ্যাক্টরিতে আগুনে পুড়ে মারা যান। মেন্ডেলিফ তবলস্কের জিমনেশিয়াম স্কুলে ভর্তি হন। |
||
১৮৪৯ সনে মেন্ডেলিফের মা |
১৮৪৯ সনে মেন্ডেলিফের মা তাঁকে সাইবেরিয়া থেকে মস্কো নিয়ে যান উচ্চ শিক্ষার জন্যে। [[মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়]] তাঁকে ছাত্র হিসেবে গ্রহণ করেনি। তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, যেখানে তিনি পেডালজিক্যাল ইন্সটিটিউট এ পড়াশোনা করেন। তাঁর পুরো পরিবার তাঁর সাথে সেন্ট পিটার্সবার্গে চলে আসে। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পরে তাঁর যক্ষা হয় এবং যার ফলে তিনি ক্রিমিন পেনিনসুলায় চলে যান, জায়গাটা ছিল [[কৃষ্ণ সাগর|কৃষ্ণ সাগরের]] দক্ষিণে। সেখানে থাকাকালীন সময়ে তিনি একটি বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে কিছুকাল শিক্ষকতা করেন। ১৮৫৭ সনে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে ফিরে আসেন। |
||
==পরবর্তি জীবন== |
==পরবর্তি জীবন== |
১৯:৩৭, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
দিমিত্রি মেন্দেলিয়েভ | |
---|---|
জন্ম | দিমিত্রি ইভানোভিচ মেন্ডেলিফ ৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৪ ভার্খিনি আরেমজিয়েনি, রাশিয়া |
মৃত্যু | ২ ফেব্রুয়ারি ১৯০৭ | (বয়স ৭২)
জাতীয়তা | রাশিয়ান |
মাতৃশিক্ষায়তন | সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | পর্যায় সারণি |
পিতা-মাতা | ইভান পাভলোভিচ মেন্ডেলিফ মারিয়া দিমিত্রিয়েভনা মেন্ডেলিভা |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | রসায়ন, পদার্থ বিদ্যা |
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী | Dmitri Petrovich Konovalov, Valery Gemilian, Alexander Baykov |
স্বাক্ষর | |
দিমিত্রি ইভানোভিচ মেন্ডেলিফ (রুশ: ⓘ)
একজন রুশ রসায়নবিদ ও উদ্ভাবক। তিনি মৌলিক পদার্থসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম বিশ্লেষণ করে মৌল সমূহের পর্যায়ভিত্তিক ধর্ম আবিষ্কার করেন এবং তা কাজে লাগিয়ে সর্বপ্রথম সার্থক পর্যায় সারণী তৈরি করেন। তাঁর সময়ে যে মৌলসমূহ আবিষ্কার হয়নি তিনি সেগুলিরও ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম সম্পর্কে সফল ভবিষ্যতবাণী করে যান।
ছেলে বেলা ও পড়াশুনা
মেন্ডেলিফ এর জন্ম সাইবেরিয়ার তবলস্কের ভার্খিনি আরেমজিয়েনি গ্রামে। তাঁর বাবা ইভান পাভলোভিচ মেন্ডেলিফ এবং মা মারিয়া দিমিত্রিয়েভনা মেন্ডেলিভা। মেন্ডেলিভের দাদা পাভেল ম্যাক্সিমোভিচ রাশিয়ান অর্থোডোক্স চার্চের একজন ধর্ম যাজক ছিলেন। ইভানোভিচ তাঁর ভাল নামটি পান ধর্মতাত্বিক শিক্ষা গ্রহণের সময়। তিনি একজন অর্থোডক্স খ্রিস্টান ছিলেন যা তাঁর পছন্দ ছিলনা। পরবর্তিতে তিনি ধর্ম ত্যাগ করেন এবং যৌক্তিক একেশ্বর বাদে বিশ্বাসী হোন।[১]
মেন্ডেলিফের সম্ভবত ১৪ বা ১৭ জন ভাই-বোন ছিল যার মধ্যে উনি ছিলেন সবচাইতে ছোট। তাঁর বাবা ছিলেন চারুকলা, দর্শন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাবা মাঝ বয়সেই অন্ধ হয়ে যান এবং তাঁর চাকুরী হারান। তাঁর মায়ের কাধে সংসারের হাল ধরার দায়িত্ব বর্তায়। তিনি গ্লাস ফ্যাক্টরিতে চাকুরী নেন। মেন্ডেলিফের তের বছর বয়সে তিনি তাঁর পিতাকে হারান, যিনি দুর্ভাগ্যক্রমে মেন্ডেলিফের মায়ের ফ্যাক্টরিতে আগুনে পুড়ে মারা যান। মেন্ডেলিফ তবলস্কের জিমনেশিয়াম স্কুলে ভর্তি হন।
১৮৪৯ সনে মেন্ডেলিফের মা তাঁকে সাইবেরিয়া থেকে মস্কো নিয়ে যান উচ্চ শিক্ষার জন্যে। মস্কো বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ছাত্র হিসেবে গ্রহণ করেনি। তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, যেখানে তিনি পেডালজিক্যাল ইন্সটিটিউট এ পড়াশোনা করেন। তাঁর পুরো পরিবার তাঁর সাথে সেন্ট পিটার্সবার্গে চলে আসে। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পরে তাঁর যক্ষা হয় এবং যার ফলে তিনি ক্রিমিন পেনিনসুলায় চলে যান, জায়গাটা ছিল কৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণে। সেখানে থাকাকালীন সময়ে তিনি একটি বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে কিছুকাল শিক্ষকতা করেন। ১৮৫৭ সনে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে ফিরে আসেন।
পরবর্তি জীবন
১৮৫৯ থেকে ১৮৬১ সন পর্যন্ত মেন্ডেলিফ তরলের কৌশিকতা ও বর্ণালীমাপক যন্ত্র নিয়ে গবেষনা করেন। তখন তিনি হিডেলবার্গে ছিলেন।পরবর্তিতে ১৮৬১ সালে তিনি তাঁর প্রথম বই প্রকাশ করেন যা ছিল বর্ণালীমাপক যন্ত্র সম্বন্ধে।