ভবানী পাঠক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
need inter wiki links, |
অ বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা? |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{niwl}} |
{{niwl}} |
||
'''ভবানী পাঠক''' [[ভারতবর্ষ|অবিভক্ত ভারতে]] ইংরেজ শাসন-শোষণ এবং অত্যাচারী দেশীয় জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে সংঘঠিত দীর্ঘস্থায়ী বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক। ভবানী পাঠকের জন্মসাল সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। সম্ভবত তিনি ভোজপুরী ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ইংরেজ লেখক গ্লেজিয়ার রচিত [[রংপুর জেলা|রংপুর জেলার]] বিবরণ গ্রন্থে তাঁকে এই জেলার বাজপুর এলাকার অধিবাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর দলে নিগৃহীত কৃষক-প্রজার পাশাপাশি বেশ কিছু বিহারী ও পাঠান মুসলমানও ছিলো। ফকির বিদ্রোহের নায়ক [[মজনু শাহ|মজনু শাহের]] সংগে পাঠকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিলো এবং প্রথম থেকেই ভবানী এই বিদ্রোহের সংগে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। ইংরেজদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রধান ক্ষেত্র ছিলো [[রংপুর]], [[বগুড়া]], [[দিনাজপুর]], [[কোচবিহার]] |
'''ভবানী পাঠক''' [[ভারতবর্ষ|অবিভক্ত ভারতে]] ইংরেজ শাসন-শোষণ এবং অত্যাচারী দেশীয় জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে সংঘঠিত দীর্ঘস্থায়ী বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক। ভবানী পাঠকের জন্মসাল সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। সম্ভবত তিনি ভোজপুরী ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ইংরেজ লেখক গ্লেজিয়ার রচিত [[রংপুর জেলা|রংপুর জেলার]] বিবরণ গ্রন্থে তাঁকে এই জেলার বাজপুর এলাকার অধিবাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর দলে নিগৃহীত কৃষক-প্রজার পাশাপাশি বেশ কিছু বিহারী ও পাঠান মুসলমানও ছিলো। ফকির বিদ্রোহের নায়ক [[মজনু শাহ|মজনু শাহের]] সংগে পাঠকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিলো এবং প্রথম থেকেই ভবানী এই বিদ্রোহের সংগে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। ইংরেজদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রধান ক্ষেত্র ছিলো [[রংপুর]], [[বগুড়া]], [[দিনাজপুর]], [[কোচবিহার]] ও [[ময়মনসিংহ|ময়মনসিংহের]] বিস্তৃতঅঞ্চল। তিনি তাঁর তৎপরতার ক্ষেত্রে এই বিদ্রোহের অন্যতম নায়িকা দেবী চৌধুরানীর সক্রিয় সাহায্য ও সমর্থন লাভ করেন। [[১৭৮৭]] সালের মাঝামাঝি থেকে ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর নামের পাশাপাশি উল্লেখ দেখা যায়। তাদের যৌথ আক্রমনে ময়মন সিংহ এবং বগুড়া জেলার একটি বিস্তীর্ণ এলাকায় শাসন ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ফলে ইংরেজ শাসকদের তরফ থেকে তাদের দু জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭৮৭ সালের জুন মাসে রংপুর জেলার গোবিন্দগঞ্জের কাছে পুনরায় তিনি ইংরেজদের সাথে জলযুদ্ধে অবতীর্ণ হন, এবং সেই যুদ্ধে তিনি পরজিত ও নিহত হন। আহত ও বন্দী হয়েছিলো আরো ৫০ জন। এ ছাড়া বিদ্রহীদের অস্ত্র-শস্ত্র পূর্ণ আরো সাতখানি নৌকা ইংরেজ বাহিনীর হস্তগত হয়। এই জলযুদ্ধের সময় দেবী চৌধুরানী উপস্থিত ছিলেন না। ভবানী পাঠকের মৃত্যুর পরেও এই বিদ্রোহ আরো কিছুকাল অব্যহত থাকে। |
||
[[বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের]] [[দেবী চৌধুরাণী (উপন্যাস)|দেবীচৌধুরাণী]] উপন্যাস দেবী চৌধুরাণী ও ভবানী পাঠকের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে রচিত। |
[[বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের]] [[দেবী চৌধুরাণী (উপন্যাস)|দেবীচৌধুরাণী]] উপন্যাস দেবী চৌধুরাণী ও ভবানী পাঠকের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে রচিত। |
||
৭ নং লাইন: | ৭ নং লাইন: | ||
{{অসম্পূর্ণ}} |
{{অসম্পূর্ণ}} |
||
[[ |
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতবর্ষে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন]] |
১৬:৫৯, ৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
অনুগ্রহ করে এই নিবন্ধে অন্যান্য ভাষাসমূহের আন্তঃউইকিসংযোগ যুক্ত করুন। অতিরিক্ত তথ্যের জন্য আলাপ পাতা দেখতে পারেন।
|
ভবানী পাঠক অবিভক্ত ভারতে ইংরেজ শাসন-শোষণ এবং অত্যাচারী দেশীয় জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে সংঘঠিত দীর্ঘস্থায়ী বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক। ভবানী পাঠকের জন্মসাল সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। সম্ভবত তিনি ভোজপুরী ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ইংরেজ লেখক গ্লেজিয়ার রচিত রংপুর জেলার বিবরণ গ্রন্থে তাঁকে এই জেলার বাজপুর এলাকার অধিবাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর দলে নিগৃহীত কৃষক-প্রজার পাশাপাশি বেশ কিছু বিহারী ও পাঠান মুসলমানও ছিলো। ফকির বিদ্রোহের নায়ক মজনু শাহের সংগে পাঠকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিলো এবং প্রথম থেকেই ভবানী এই বিদ্রোহের সংগে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। ইংরেজদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রধান ক্ষেত্র ছিলো রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, কোচবিহার ও ময়মনসিংহের বিস্তৃতঅঞ্চল। তিনি তাঁর তৎপরতার ক্ষেত্রে এই বিদ্রোহের অন্যতম নায়িকা দেবী চৌধুরানীর সক্রিয় সাহায্য ও সমর্থন লাভ করেন। ১৭৮৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর নামের পাশাপাশি উল্লেখ দেখা যায়। তাদের যৌথ আক্রমনে ময়মন সিংহ এবং বগুড়া জেলার একটি বিস্তীর্ণ এলাকায় শাসন ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ফলে ইংরেজ শাসকদের তরফ থেকে তাদের দু জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭৮৭ সালের জুন মাসে রংপুর জেলার গোবিন্দগঞ্জের কাছে পুনরায় তিনি ইংরেজদের সাথে জলযুদ্ধে অবতীর্ণ হন, এবং সেই যুদ্ধে তিনি পরজিত ও নিহত হন। আহত ও বন্দী হয়েছিলো আরো ৫০ জন। এ ছাড়া বিদ্রহীদের অস্ত্র-শস্ত্র পূর্ণ আরো সাতখানি নৌকা ইংরেজ বাহিনীর হস্তগত হয়। এই জলযুদ্ধের সময় দেবী চৌধুরানী উপস্থিত ছিলেন না। ভবানী পাঠকের মৃত্যুর পরেও এই বিদ্রোহ আরো কিছুকাল অব্যহত থাকে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবীচৌধুরাণী উপন্যাস দেবী চৌধুরাণী ও ভবানী পাঠকের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে রচিত।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |