কলম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ...
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী:শিক্ষা অপসারণ; বিষয়শ্রেণী:শিক্ষা উপকরণ যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
৩৬ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:
* [http://www.flickr.com/photos/seanaaberg/ Photo of Flair Fi Fo Fum package]
* [http://www.flickr.com/photos/seanaaberg/ Photo of Flair Fi Fo Fum package]


[[বিষয়শ্রেণী:শিক্ষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:শিক্ষা উপকরণ]]

০৪:৩৭, ১৪ আগস্ট ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

একটি বলপয়েন্ট কলম

কলম বা লেখনী বা পেন প্রধানত লেখালেখির কাজে ব্যবহৃত একটি উপকরণ। কলম দিয়ে কাগজ বা কোন পৃষ্ঠতলের উপরে কালি লেপনের কাজ করা হয়। বেশ কয়েক রকমের কলমের মধ্যে বলপয়েন্ট কলম, ঝর্ণা কলম (ফাউন্টেন পেন), ফেল্ট-টিপ কলম, জেল কলম, পালকের কলম (কুইল), খাগের কলম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

কলমের প্রকার

আধুনিক কলম

জেল কলম দিয়ে লেখা একটি অক্ষর এবং জেল কলমের নিবের ডগা

কলমের আধুনিক প্রকারভেদগুলো প্রধানত কলমের নিবের উপরে ভিত্তি করে করা হয়েছে।

  • বলপয়েন্ট কলম - এই কলমের ডগায় বা নিবে ০.৭-১.২ মি.মি. আকারের পিতল, স্টীল বা টাংস্টেন কার্বাইডের তৈরি একটি ছোট্ট শক্ত বল বা গোলক থাকে যা কলমের ভেতরে থাকা কালিকে কাগজ বা যার উপরে লেখা হচ্ছে তাতে মাখাতে সাহায্য করে[১]। বলপয়েন্ট কলমে যে কালি ব্যবহার করা হয় তা একটু ঘন প্রকৃতির এবং তা কাগজের সংস্পর্শে আসতে না আসতেই শুকিয়ে যায়। এই নির্ভরযোগ্য কলমগুলির দামও খুব কম। ফলে সহজেই নিত্যদিনের লেখালেখির কাজে বলপয়েন্ট কলম সবচেয়ে জনপ্রিয় উপকরণ হয়ে উঠেছে।
  • রোলারবল বা জেল কলম - এই কলমের ডগায়ও বলপয়েন্ট কলমের মত বল থাকে। কিন্তু এই কলমের কালি বলপয়েন্ট কলমের কালির চেয়ে পাতলা বা কম ঘন। এই কম ঘন কালি সহজেই কাগজ শুষে নিতে পারে, এবং কলমও অনেক মসৃণভাবে চলতে পারে। বলপয়েন্ট কলমের সুবিধা এবং ঝর্ণা কলমের কালির ভাবটাকে একত্রিত করার উদ্দেশ্যে জেল কলমের সূত্রপাত হয়েছিল। জেল কালি বিভিন্ন রঙের হয়, এমনকি ধাতব পেইন্ট ও ঝিকিমিকি রঙেরও জেল কালি পাওয়া যায়।
ঝর্ণা কলম বা ফাউন্টেন পেন
  • ঝর্ণা কলম - এই কলমে পানি ভিত্তিক তরল কালি দিয়ে নিবের সাহায্যে লেখা হয়। কলমের ভেতরে কালিদানিতে থাকা কালি কৈশিক পরিচলন প্রক্রিয়ায় এবং অভিকর্ষের সাহায্যে নিবের মাধ্যমে বাইরে আসে। এই নিবে কোন নড়নক্ষম অংশ থাকে না, একটা চিকন ফাটল দিয়ে কালি বেরিয়ে আসে। ভেতরের কালিদানিতে কালি শেষ হয়ে গেলে দোয়াত থেকে আবার কালি ভরা যায়।
  • ফেল্ট-টিপ কলম বা মার্কার কলম - এই কলমে আঁশ জাতীয় পদার্থের তৈরি স্পঞ্জের মত ডগা থাকে। সবচেয়ে ছোট এবং চিকন ডগার মার্কার কলম দিয়ে কাগজের উপরে লেখা হয়। মাঝারী আকারের ডগা সমৃদ্ধ মার্কারগুলো বাচ্চাদের আঁকাআঁকির জন্য ব্যবহৃত হয়। বড় আকারের ডগার মার্কারগুলো অন্য মাধ্যমে (যেমন কার্ডবোর্ডের বাক্স বা হোয়াইটবোর্ডে) লেখার কাজে ব্যবহার হয়। উজ্জ্বল এবং স্বচ্ছ কালিসহ চওড়া ডগার মার্কার লেখা দাগানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। এদেরকে "হাইলাইটার"ও বলা হয়। বাচ্চাদের জন্য বা হোয়াইটবোর্ডে লেখার জন্য যে মার্কারগুলো তৈরি করা হয়, সেগুলোর কালি সাধারণত অস্থায়ী ধরনের হয়। কিছু মার্কার যেগুলো প্যাকেজিং এবং চালানের বাক্সের গায়ে লেখার কাজে ব্যবহার করা হয় তাদের কালি হয় স্থায়ী।

প্রাচীন কলম

চিত্র:Quill Pen.JPG
পালকের কলম বা কুইল ও কালির দোয়াত
  • নিব কলম - সাধারণত কাঠের হাতলের সাথে একটি ধাতব নিব লাগিয়ে এই কলম তৈরি করা হয়। নিবটি ঝর্ণা কলমের নিবের মতই, তবে এই কলমে কোন কালি জমা রাখার উপযোগী কালিদানি নেই এবং লেখার সময়ে বারবার এটিকে কালিতে চুবিয়ে নিতে হয়। ঝর্ণা কলমের তুলনায় এই কলমে সুবিধা হল এই কলমে ঘন কালি (যেমন পিগমেন্ট) এবং ধাতব কালি ব্যবহার করা যায় যা ঝর্ণা কলমে জমে গিয়ে আটকে যায় অথবা মরিচা ধরে যায়। নিব কলম এখন প্রধানত অলংকরণ, ক্যালিগ্রাফি এবং কমিকস আঁকার কাজে ব্যবহার হয়।
  • কুইল বা পালকের কলম - সাধারণত রাজহাঁস বা বড়সড় পাখির পালকের তৈরি কলমকে কুইল (quill) বলে। ডিপ কলম, ঝর্ণা কলম ইত্যাদি আসার আগে কুইল ব্যবহৃত হত। পালকের ফাঁপা অংশ কালিদানি হিসেবে কাজ করত এবং কৈশিক পরিচলন প্রক্রিয়ায় কালির পরিচলন হত। মধ্যযুগে পার্চমেন্ট বা চামড়ার কাগজের উপরে কুইল দিয়ে লেখা হত। পালকের কলম বা কুইল এসে খাগের কলমকে প্রতিস্থাপিত করেছিল।
  • খাগের কলম - খাগ বা নলখাগড়া, বাঁশ ইত্যাদির একদিক সরু করে কেটে মাথাটা সূক্ষভাবে চিরে এই কলম তৈরি করা হত। এর যান্ত্রিক প্রক্রিয়া কুইলের মত।
ওয়াটারম্যান কোমপানীর কলম

তথ্যসূত্র

  1. "How does a ballpoint pen work?"Engineering। HowStuffWorks। ১৯৯৮–২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-১৬ 

বহিঃসংযোগ